আইপিএলে আসছে ফুটবলের নিয়ম!

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শুধু এখন একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে সীমাবদ্ধ নেই। সারা বছর ধরেই এই টুর্নামেন্ট নিয়ে চলে আলোচনা। চলতি বছর সেই আলোচনা যেন বেড়ে গেছে দ্বিগুণ-তিনগুণ। কারণ চলতি বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে আইপিএলের মেগা নিলাম।
এই নিলামে আইপিএলের অনেক নিয়মের পরিবর্তন হচ্ছে। বিশেষ করে রিটেইন পলিসি ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। এই সভাটি সবে বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়। এখানে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে আইপিএলের আগামী আসরে ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটারের নিয়ম থাকবে কি থাকবে না তা নিয়ে।
আইপিএলের গত আসরে ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটারের নিয়ম নিয়ে তুমুল সমালোচনা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী আইপিএলের দলগুলো ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে একজন বদলি ক্রিকেটার নামাতে পারে। এই নিয়মের কারনে বেশ কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি ও ক্রিকেটার কড়া সমালোচনা করেছে।

তবে সম্প্রচার স্বত্ত্ব পাওয়া প্রতিষ্ঠাগুলো চায় ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার আইন বহাল থাকুক। বিষয়টি নিয়ে বোর্ড ও ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকপক্ষ বিস্তর আলোচনা করবেন। ইমপ্যাক্ট নিয়মের কারণে মানসম্মত অলরাউন্ডার তৈরির পথে বাধা সৃষ্টি করছে বলে দাবি অনেকের।
এ কারণে ভারতের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফি থেকেও নিয়মটি তুলে দেওয়া হতে পারে। এদিকে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের চাওয়া অন্তত ৫-৬ জন ক্রিকেটারকে ধরে রাখার সুযোগ দেয়া হোক। অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজির চাওয়া আইপিএলের এবারের নিলামে রাইট টু ম্যাচ বা আরটিএম কার্ড দেয়া হোক। এই বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
এ ছাড়া পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ক্রিকেটারদের ইক্রিমেন্টের ব্যবস্থা নিয়েও আলোচনা করা হতে পারে। এর বাইরে কত বছর পরপর মেগা নিলাম হবে তা নিয়েও সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। সেই সঙ্গে থাকতে পারে কয়জন ক্রিকেটার রিটেইন করতে পারবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো তা নিয়েও। নিলাম থেকে অনেক উদীয়মান ক্রিকেটারকে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো দলে ভেড়ালেও অনেক ক্রিকেটারই খেলার সুযোগ পান না।
এর ফলে আইপিএলে চালু হতে পারে ধারে ফুটবলার ছেড়ে দেয়ার নিয়মও। এখন পর্যন্ত দলগুলো নিলাম ও রিটেইন ক্রিকেটারের মূল্য মিলিয়ে মোট ১০০ কোটি রুপি খরচ করতে পারে। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো সেই তহবিল বাড়াতেও আবেদন করবে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী সেটা বাড়িয়ে এবার ১১০ থেকে ১২০ কোটি পর্যন্ত করা হতে পারে। সব মিলিয়ে আইপিএলের ব্যবসা বাড়ানোর পরিকল্পনা বিস্তারিত আলোচনা থাকবে বিসিসিআইয়ের এই সভায়। ফলে বলে দেয়াই যায় এই সভাই আইপিএলের ভবিষ্যৎ চিত্র কেমন হবে তা তৈরি করে দেবে।