আমাদের কমিটমেন্ট ছিল ম্যাচ জিতে বের হবো: জয়

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে জয়ের জন্য শেষ দিন বিসিবি এইচপি দলের দরকার ছিল ৬ উইকেট, বিপরীতে পাকিস্তান শাহিনসের প্রয়োজন ছিল ১৬০ রান। এমন সমীকরণের ম্যাচে সকালের শুরুতে হাফ সেঞ্চুরিয়ান হাসিব উল্লাহকে ফেরালেও পাকিস্তান শাহীনসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন তাইয়াব তাহির ও ওমাইর বিন ইউসুফ। ৬৫ রানের জুটি গড়া তাদের দুজনকে ফিরিয়ে বিপদ মুক্ত করেন জয়।
যদিও বাংলাদেশের কাছ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন খুররাম শাহজাদ ও মুহাম্মদ আলী। তাদের দুজনের পঞ্চাশ পেরোনো জুটি ভেঙে বাংলাদেশের এইচপি দলকে ৫ রানের দারুণ এক জয় এনে দেন স্পিনার জয় ও হাসান মুরাদ। একটা সময় হারের খুব কাছে থাকলেও সবার মাঝে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার কমিটমেন্ট ছিল বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।
বিসিবির দেয়া এক ভিডিও বার্তায় জয় বলেন, ‘আমাদের সবার যে কমিটমেন্ট ছিল আমরা একবারে শেষ পর্যন্ত খেলাটাকে নিয়ে যাবো। তাই আমরা শেষ বল পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি ১০ উইকেট নেয়ার পর ম্যাচটা জিতে আমরা বের হবো। এটা আমাদের সবার মাঝে একটা কমিটমেন্ট ছিল তাই আমরা সফল হয়েছি জিতে।’

শেষ ম্যাচে জিতলেও প্রথম চারদিনের ম্যাচে পাকিস্তান শাহীনসের কাছে ১৪৮ রানে হেরেছিল বিসিবি এইচপি। সিরিজে সমতায় ফিরতে পারায় খুশি জয়। সবশেষ ম্যাচটিকে নিজেদের বাঁচা-মরার হিসেবে ধরে নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন ক্রিকেটাররা।
এইচপির অধিনায়ক বলেন, ‘এটাকে আমরা বাঁচা-মরার ম্যাচ হিসেবেই ধরে নিয়েছিলাম। আমরা প্রথম ম্যাচটা হেরে গিয়েছি, এটা আমাদের কামব্যাক ম্যাচ ছিল। এটা জেতায় সিরিজে সমতা এসেছে। আমরা খুব খুশি জিতেছি এবং সিরিজে সমতা এনে দেশে যাচ্ছি।’
সাদা পোশাকের ক্রিকেট শেষে বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটাররা খেলবে দুটি একদিনের ম্যাচ ও একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে। তাদের জন্য শুভ কামনা জানিয়ে জয় বলেন, ‘অবশ্যই, একটা কথা আছে যে শেষ ভালো যার সব ভালো তার। আমরা শেষ চারদিনের ম্যাচে জয় পেয়েছি। এখন যারা সাদা বলে যারা খেলবে ওদের জন্য শুভ কামনা। তারা যেন এই মোমেন্টামটা ধরে রাখে এবং ওয়ানডে সিরিজ ও টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটা যাতে ভালোভাবে শেষ করে।’
ব্যাটার হিসেবে দুই ইনিংসেই আলো ছড়িয়েছেন জয়। প্রথম ইনিংসে ৬৯ রানের ইনিংস খেলা এই ওপ??নার পরের ইনিংসে ৬৫ রান করেছেন তিনি। ব্যাটিংয়ে ভালো করা জয় অবশ্য দলকে জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন বল হাতে। ১৩ ওভারে ২১ রান নিয়ে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
নিজের বোলিং নিয়ে জয় বলেন, ‘বোলিংটা আমি সবসময় চেষ্টা করি নেটে বোলিং করার। এখন সুযোগ এসেছে ম্যাচ বোলিং করার, আমি নেটে যেটা করি ম্যাচে সেটা নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী করার চেষ্টা করেছি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। কারণ এটা আমার প্রথম প্রথম শ্রেণির ৫ উইকেট। আমি বলব যে এটা আমার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং এবং ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ম্যাচে আমরা জয় পেয়েছি।’