পাকিস্তান শাহীনসকে হারিয়ে সমতায় সিরিজ শেষ করল বাংলাদেশ এইচপি

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পাকিস্তান শাহীনসের বিপক্ষে শেষ দিনে ম্যাচ জিততে বাংলাদেশ এইচপির প্রয়োজন ছিল ৬ উইকেট, বিপরীতে পাকিস্তানের দরকার ছিল ১৬০ রান। ব্যাটারদের দৃঢ়তায় শেষদিনে ১৫৫ রান তুলেও ফেলে পাকিস্তান শাহীনস। ম্যাচটি তারা হারে পাঁচ রানে।
প্রথম ইনিংসে ২৫৮ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ২১৬ রান তুলে বাংলাদেশ। যার কারণে পাকিস্তান শাহীনসের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৯৬ রান। তিনশ ছুঁইছুঁই লক্ষ্য তাড়ায় তৃতীয় দিনেই পাকিস্তান শাহীনস তোলে ৪ উইকেটে ১৩৬ রান।
জয়ের জন্য ২৯৬ রান তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ৯৬ রান তোলে পাকিস্তান শাহীনস। শাহিবজাদা ফারহানের বিদায়ে ভাঙে তাদের এই জুটি। দারুণ ব্যাটিং করা পাকিস্তানের অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ৬৮ রান।

মাহমুদুল হাসান জয়ের বলে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হয়েছেন শাহিবজাদা। তিনে নামা কামরান গুলামকে ফেরান রাজা। শেষ বিকেলে উমর আমিনকে রাজা এবং ইরফান খানকে আউট করেন হাসান মুরাদ। শেষদিনে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে লড়াই করেও শেষপর্যন্ত হেরে গিয়েছে দলটি।
দিনে শুরুতেই রেজাউর রহমান রাজার বলে ৫১ রানে থামে তার ইনিংস। এরপর দুই মিডল অর্ডার ব্যাটার তাহির ও ইউসুফ টিকে যাওয়ায় এইচপি দলের দুশ্চিন্তা বাড়তে থাকে। দুজন মিলে ৬৫ রান যোগ করে পাকিস্তানের দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন।
কিন্তু এই দুজনকেই ফেরান জয়। তাহির ৪৩ ও ইউসুফ ৪৫ রান করে থামেন। শেষ দুই স্বীকৃত ব্যাটার আউট হওয়ার পরও পাকিস্তানের লোয়ার অর্ডার আতঙ্ক ছড়ায়। মোহাম্মদ আলী ও খুররাম শেহজাদ অষ্টম উইকেটে আরও ৫৭ রান যোগ করলে জমে ওঠে ম্যাচ।
জুটি ভাঙেন জয় নিজেই। জেতার জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিল তিন উইকেটে মাত্র ৯ রান, তখন ৯১তম ওভারে ২১ রান করা আলীকে আউট করেন জয়। ৯৩তম ওভারে এসে ২৮ রান করা শেহজাদকে থামিয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন আরও।
শেষ উইকেটে জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিল ৮ রান। বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদের ৯৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলেই ফয়সাল আকরাম বোল্ড হলে পাকিস্তানের ইনিংস থামে ২৯০ রানে। বাংলাদেশ এইচপি'র হয়ে জয় নেন মাত্র ২১ রান খরচায় পাঁচ উইকেট। এ ছাড়া ৮৫ রান খরচায় তিনটি উইকেট নেন রাজা। এই জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজটি ১-১ ব্যবধানে ড্র করল বাংলাদেশ।