রোহিত-কোহলিদের অনুপস্থিতিতে দলে জায়গা পাকা করতে চান গিল

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়নি শুভমান গিলের। যদিও দলের সঙ্গে রিজার্ভ খেলোয়াড় হিসেবে গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। তবে টুর্নামেন্টের মাঝ পথেই দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল তাকে। ফলে বিশ্বকাপ জয়ী দলের সঙ্গী হতে পারেননি এই ভারতীয় ব্যাটার।
বিশ্বকাপ জেতার পরই টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। তাদের অবর্তমানে ভারতীয় দলে জায়গা পাকা করতে চান গিল। সীমিত ওভারের সিরিজ খেলতে ভারত এখন জিম্বাবুয়ে সফরে। দলে নেই নিয়মিত তারকারা।

এর ফলে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ পেয়েছেন গিল। সেখানেই জানিয়েছেন নিজের লক্ষ্যের কথা। গিল বলেন, 'রোহিত ভাই ওপেনার ছিল। বিরাট ভাই বিশ্বকাপে ওপেন করেছে। আমিও টি-টোয়েন্টিতে আগে ওপেন করেছি। আগামী দিনেও এই ফরম্যাটে ওপেন করতে চাই।'
অবশ্য কোহলি-রোহিতদের জায়গা দখলের চিন্তা করে নিজেকে চাপে ফেলতে চান না গিল। তিনি জানিয়েছেন ভিন্ন লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে যেতে চান। কোহলি-রোহিতদের দেখা দেখি নিজের লক্ষ্য স্থির করে বাড়তি চাপের অংশ হতে চান না এই মারকুটে ব্যাটার।
গিল বলেছেন, 'চাপ এবং প্রত্যাশা সব সময়ে থাকে। কিন্তু রোহিত এবং বিরাট ভাই যা অর্জন করেছে সেটা করে দেখাতে গেলে আমার কাছে খুব চাপ হবে। প্রত্যেকের আলাদা লক্ষ্য থাকে যেটা সে অর্জন করতে চায়। আপনি যদি অন্যের দেখাদেখি কিছু অর্জন করতে চান তা হলে নিজেই চাপে পড়বেন।'
জিম্বাবুয়ে সিরিজে গিল ওপেনিং সঙ্গী হিসেবে পাচ্ছেন অভিষেক শর্মাকে। আইপিএলের গত আসরে ঝড়ো ব্যাটিং করে নজরে এসেছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের এই ক্রিকেটার। এ ছাড়া গিল নেতৃত্ব দিয়েছেন গুজরাট টাইটান্সকে। নিজের সেই অভিজ্ঞতাই জিম্বাবুয়েতে কাজে লাগাতে চান তিনি।
গিলের ভাষ্য, 'আইপিএলে প্রথমবার দলকে নেতৃত্ব দেয়ার সুবাদে অনেক কিছু শিখেছি। নিজেকে ভাল করে চিনেছি। নেতৃত্ব দেওয়ার ধরনও বুঝতে পেরেছি। আসলে অধিনায়কত্বের মূল সমস্যাটা হয় মানসিক দিক থেকে। কী ভাবে ছেলেদের চাঙ্গা করবেন, কী ভাবে সবার প্রতিভা কাজে লাগাবেন সে সব নিয়ে অনেক ভাবতে হয়। মাঠে সে রকম কঠিন কাজ থাকে না।'