মা হাসপাতালে, কলকাতার টানে আইপিএলে খেলছেন গুরবাজ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে চতুর্থবারের মতো ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। হায়দরাবাদের বিপক্ষে ১৪ বলে ২৩ রান করে আউট হয়েছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ।
অবশ্য শ্রেয়াস আইয়ার ও ভেঙ্কাটেস আইয়ারের ব্যাটে ভর করে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে দলটি। ম্যাচ শেষে গুরবাজ জানিয়েছেন তিনি যখন কলকাতার হয়ে প্লে অফে ব্যস্ত তখন তার মা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। মূলত কলকাতার প্রতি নিজের দায়বদ্ধতার কারণেই আইপিএলে এখনও খেলছেন তিনি।

অবশ্য আইপিএলের মাঝেই মাকে দেখতে আফগানিস্তানের গিয়েছিলেন তিনি। তবে ফিল সল্ট না থাকায় কলকাতার অন্যতম ভরসা এখন গুরবাজ। তাই দলের ডাক ফেলতে পারেননি তিনি। কলকাতাকে নিজের আরেকটি পরিবার বলে মর্যাদা দিয়েছেন তিনি।
গুরবাজ বলেছেন, 'আমার মা এখনও হাসপাতালে আছেন এবং আমি সবসময়ই তার সঙ্গে কথা বলছি। তবে এটাও (কেকেআর) আমার পরিবার। আমার মা এবং কেকেআর পরিবার- দুটোকেই আমার ম্যানেজ করতে পারা উচিত। এটা কঠিন, কিন্তু তবুও ম্যানেজ করে যাওয়া আমার প্রয়োজন।'
আইপিএলের গত আসরে জেসন রয়ের সঙ্গে প্রায় নিয়মিত ওপেনিং করেছেন গুরবাজ। তবে এবার জেসন রয় না খেলায় তার বদলি হিসেবে সল্টকে দলে নেয় কলকাতা। তার সঙ্গে ওপেনিংয়ে পাঠানো হয় সুনীল নারিনকে। দুজনের জুটি জমে যাওয়ায় তাদের ওপরই ভরসা রাখে কলকাতা।
এর ফলে একাদশের বাইরে থাকতে হয় গুরবাজকে। সল্ট ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে আইপিএল ছেড়েছেন। ফলে বিকল্প ওপেনার হিসেবে গুরবাজকেই প্রথম পছন্দ দলটির। তাই তাকে ডেকে পাঠিয়েছিল কলকাতা। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ডাক ফেলতে পারেননি এই আফগান ব্যাটার।
তিনি বলেন, 'আমার মা এখনও অসুস্থ। আমি আফগানিস্তানে গিয়েছিলাম এবং যখন ফিল সল্ট চলে যাচ্ছিলেন তখন এখান থেকে একটা কল পাই। তারা আমাকে মেসেজ করেছিল, "গুরবাজ, আমাদের প্রয়োজন তোমাকে এবং আমাদের জন্য তোমার প্রতিক্রিয়া কী?" আমি বলেছি- হ্যাঁ, আমি আসবো।'