ডিসেম্বরে নতুন টি-টোয়েন্টি লিগ, অপেক্ষা অনুমোদনের

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আধুনিক ক্রিকেটে দিন দিন বাড়ছে টি-টোয়েন্টির জনপ্রিয়তা। বাড়ছে ম্যাচ সংখ্যাও। তবে এই ফরম্যাটে বরাবরই নিজেদের মেলে ধরতে পারে না বাংলাদেশ। দুই দশকেও এই ফরম্যাটে আসেনি বড় কোন সাফল্য। তবে এবার এই দুরাবস্থা দূর করতে চায় বিসিবি। নিয়েছে নতুন উদ্যোগ, আসছে নতুন লিগ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এখন পর্যন্ত দেশের একমাত্র টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট।
এবার তার একাকীত্ব ঘোচাতে পরিকল্পনা এঁটেছে বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটি। জাতীয় ক্রিকেট লিগে প্রথম শ্রেণির আসরের সাথে যোগ হতে যাচ্ছে নতুন একটা টি-টোয়েন্টি লিগ। বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটি জাতীয় ক্রিকেট লিগের সঙ্গে প্রতিবছর একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজনেরও পরিকল্পনা করছে। প্রাথমিক প্রস্তাব অনুযায়ী ৮ দল নিয়ে ২৯ ম্যাচের ‘জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টি’ টুর্নামেন্টে প্রতিটি দল ম্যাচ খেলবে ৭টি করে।
দুই ফাইনালিস্ট দল পাবে ৮টি করে ম্যাচ। টুর্নামেন্টের সম্ভাব্য ম্যাচ ফি ধরা হয়েছে ২০ হাজার টাকা করে। মঙ্গলবার কমিটির সভায় এ ব্যাপারে হয়েছে আলোচনাও। আলোচনা শেষে বিসিবির চিফ কো-অর্ডিনেটর অব প্রোগ্রামের প্রধান মিনহাজুল আবেদীন নান্নু গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নান্নু বলেন, ‘জাতীয় লিগ এবার ১৫ অক্টোবর শুরু হবে। তারপর জাতীয় লিগের দলগুলো নিয়ে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের প্রস্তাবনা বোর্ডে দেওয়া হয়েছে। বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে টুর্নামেন্টটি হবে। এত দিন ধরে যেভাবে হয়ে আসছিল, নির্বাচক প্যানেলই ৮টি দল বাছাই করবে। অনেকগুলো প্রস্তাবনা এসেছিল। সভায় সবাই সম্মতি দিয়েছে। এখন আমরা বোর্ডের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছি।’
‘অনেকদিন ধরে কিন্তু চিন্তা করা হচ্ছিল, স্থানীয় ক্রিকেটারদের জন্য একটা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট করা যায় কিনা। যেহেতু বিপিএল একটা হয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। এখানে বিদেশি ক্রিকেটাররা থাকে৷ তাই স্থানীয় ক্রিকেটারদের জন্য একটা টুর্নামেন্ট জরুরি ছিল। তাই এবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এনসিএলের ৮টি দল নিয়েই ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হবে। এখানে ১২৮ থেকে ১৩০ জন ক্রিকেটার সুযোগ পাবে এবং এই সংস্করণে যে ঘাটতিগুলো আছে তা পূরণের মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট উপকৃত হবে।’ আরও যোগ করেন তিনি।
খুব বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে পারেন না বলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে আছে অসন্তুষ্টিও। ভারতে এবারের টি-টোয়েন্টি আইপিএলের পাশাপাশি ভারতে আছে সৈয়দ মুশতাক আলী টুর্নামেন্ট, পাকিস্তানে ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি। এসব টুর্নামেন্ট তাদের ক্রিকেট সূচিরই গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
অথচ বাংলাদেশে শুধুই বিপিএল! টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে যোগ হচ্ছে ক্রিকেটার ধরে রাখা ও প্লেয়ার্স ড্রাফটের মাধ্যমে দল সাজানোর নিয়ম। প্রতিটি দল ৮ জন করে পুরোনো ক্রিকেটার ধরে রাখতে পারবে, বাকি ৬ জনকে দলে নিতে হবে ড্রাফটের মাধ্যমে। চার দিনের ম্যাচের আসর ও টি-টোয়েন্টি, জাতীয় লিগের দুটি টুর্নামেন্টের দলই হবে এই পদ্ধতিতে।
নান্নুর ভাষ্যমতে, ‘এবার বিসিএলটা এপ্রিলের শেষ দিক ও মে মাসে অনুষ্ঠিত হবে। এটা গরমে খেলার একমাত্র কারণ এখন আমাদের অনেকগুলো টেস্ট ম্যাচ গরমে খেলতে হয়। সেই কথা চিন্তা করেই যেহেতু এনসিএলটা একটা ভালো সময়ে হয় অক্টোবরের শেষ থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে৷ তাই এপ্রিল-মে মাসে একটু গরমের মধ্যে বিসিএলটা হবে।'
‘সব সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটকে উপকৃত করবে আমরা সবাই বিশ্বাস করি। আমাদের দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেবে। আমাদের জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা যেন বেশিসংখ্যক ম্যাচ খেলতে পারে সেটিও চিন্তাভাবনা করা হয়েছে।’ আরও যোগ করেন তিনি।