আফ্রিদি-এরাসমাসকে পেছনে ফেলে মাসসেরা ওয়াসিম

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
রেকর্ডের পাতায় নাম লিখিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম। দেশটির প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসির প্লেয়ার অব দ্য মান্থ হয়েছেন তিনি। সেরা হওয়ার পথে তিনি পেছনে ফেলেছেন পাকিস্তানের পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদি অ নামিবিয়ার অধিনায়ক জেরহার্ড এরাসমাসকে।
এসিসি প্রিমিয়ার লিগে দারুণ খেলে ওয়াসিম পেয়েছেন মাসসেরার সম্মান। কুয়েতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে ফিরলেও পরের তিন ম্যাচে ৬৫, ৪৫ ও ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন ওয়াসিম। এসিসি প্রিমিয়ার কাপের ফাইনালে ৫৬ বলে ১০০ রানের ইনিংসে ওমানের বিপক্ষে আরব আমিরাতকে জিতিয়েছেন এই ব্যাটার।

আইসিসির প্লেয়ার অব দ্য মান্থের খেতাব জিতে এই ব্যাটার বলেছেন, 'এটা দারুণ সম্মানের, আইসিসি মেন্স প্লেয়ার অব দ্য মান্থের পুরষ্কার জেতা। বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে পুরষ্কার জেতা দারুণ সব ক্রিকেটারের নামের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত। এই পুরষ্কার ক্রিকেটারদের জন্য অনুপ্রেরণামূলক, বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মত দেশের ক্রিকেটারের জন্য। গেল মাসে আমাদের লক্ষ্য ছিল ওমানে এসিসি প্রিমিয়ার কাপে ভালো খেলে আগামী বছরের এশিয়া কাপের জন্য উত্তীর্ণ হওয়া। আমি আমার দলের পারফরম্যান্সে গর্বিত।'
সংযুক্ত আরব আমিরাতের অধিনায়ক আরও বলেছেন, 'ব্যক্তিগতভাবে আমি খুশি সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিতে পেরে, বিশেষ করে ফাইনালে। বড় মঞ্চে সেঞ্চুরি করা দারুণ মুহূর্ত, বিশেষ করে যখন সেটা দলের জয়ের কারণ হয়। আমি এশিয়া কাপের জন্য প্রস্তুতির দিকে তাকিয়ে আছি। ব্যাট হাতে আমি পারফর্ম করে যেতে চাই, অধিনায়ক হিসাবে উদাহরণ তৈরি করতে চাই।'
এদিকে মাসসেরা ক্রিকেটারের মনোনয়ন পাওয়া আফ্রিদি গত মাসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। প্রথম ম্যাচে ১ উইকেট নিলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ১৩ রান খরচায় নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। পরের ম্যাচে ৩৭ রান দিয়ে ছিলেন উইকেট শূন্য। আর চতুর্থ ম্যাচে তাকে খেলায়নি পাকিস্তান। সিরিজ নির্ধারণী শেষ টি-টোয়েন্টিতে ফিরে ৩০ রানে ৪ উইকেট নেন পাকিস্তানের এই পেসার। আর তাতেই ২-২ ব্যবধানে সিরিজ ড্র করে পাকিস্তান।
আড় ওমান সফরে ব্যাট-বলে দুর্দান্ত সিরিজ কেটেছে এরাসমাসের। তিনি পাঁচ ম্যাচের সিরিজে দুটিতেই ম্যাচসেরা হয়েছেন। এর মধ্যে একটি ম্যাচে নামিবিয়া হারলেও ম্যাচসেরা হন এরাসমাস। তিনি সেই ম্যাচে ৫৬ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন। পাশাপাশি বল হাতে নেন ৭ রানে ৩ উইকেট। এমন পারফরম্যান্সেই মাসসেরার পুরষ্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি।
এদিকে মেয়েদের প্লেয়ার অব দ্য মান্থ হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইলি ম্যাথিউস। তার সঙ্গে মাসসেরা হওয়ার দৌড়ে ছিলেন সাউথ আফ্রিকার লরা উলভার্ট ও শ্রীলঙ্কার চামারি আতাপাত্তু।