বাংলাদেশকে ২০০ রানের চ্যালেঞ্জ নিতে বলছেন সুজন

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
টস জিতলেও প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে আগে বোলিং করেছে বাংলাদেশ। বড় রান তাড়ায় নাজমুল হোসেন শান্তরা কেমন করেন এমন ভাবনার সঙ্গে গরমের ডালাসের গরমের সাথে মানিয়ে নেয়াও কাজ করেছে পরে ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে। যদিও জিম্বাবুয়ে তেমন কোন চ্যালেঞ্জ দিতে না পারায় উল্টো সমালোচনার মুখে বাংলাদেশ। এমন দলের বিপক্ষে টস জিতে কেন আগে বোলিং করছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে ক্রমশই।
যদিও এসবের পেছনে ঘরের মাঠে খেলা, গণমাধ্যম ও সমর্থকদের চাপের বিষয়টি তুলে এনেছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। চাপের কারণেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও খানিকটা সেইফ ক্রিকেট খেলছে বাংলাদেশ, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। তবে পরের ম্যাচে টস জিতলে আগে ব্যাটিং করে ২০০ রানের চ্যালেঞ্জ নিতে বলছেন আবাহনীকে শিরোপা জেতানো এই প্রধান কোচ।

এ প্রসঙ্গে সুজন বলেন, ‘আমি সত্যিকার্থে যদি বলি কথাগুলো আমরা যখন ঘরের মাঠে খেলি তখন আমরা চাপে থাকি। আমি ড্রেসিং রুমের সংস্কৃতিটা জানি তো। আমরা মিডিয়ার চাপে থাকি, সমর্থকদের চাপে থাকি, আমরা সেইফ থাকতে চাই, আমরা জিততে চাই। আপনি যেটা প্রশ্ন করলেন বাংলাদেশ পরের ম্যাচে টস জিতলে ব্যাটিং করা উচিত। যেটা বললেন আমরা দুইশ করতে পারি, এই চ্যালেঞ্জটা নেয়া উচিত। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আমার ৫-০ তে জিততে হবে আমি এটা বিশ্বাস করি না।’
জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আইসিসির টুর্নামেন্টের আগে খেলা সিরিজগুলোকে ধরে নেয়া হয় বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে। ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামের অংশ হলেও বাংলাদেশের কাছে জিম্বাবুয়ে সিরিজ বিশ্বকাপ প্রস্তুতিরই অংশ। এমনটা হলে কতটুকু ভালো ব্যাটিং করছে, কতটা আক্রমণাত্বক হচ্ছে কিংবা পাওয়ার প্লেতে ব্যাটাররা কিভাবে রান করছেন সেটা দেখা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন সুজন।
তিনি বলেন, ‘আমরা কতটুুকু ভালো ব্যাটিং করতে পারি, আমরা কতটুুক আক্রমণাত্বক হতে পারি, ছয় ওভারের সুবিধাটা আমরা কি নিতে পারছি এই অনুশীলনটা করা উচিত। আমার মনে হয় যে এটকে যদি আমরা বিশ্বকাপের প্রস্তুতি বলি তাহলে আমাদের এই প্রস্তুতিগুলো গুরুত্বপূর্ণ।’
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনদের দারুণ বোলিংয়ে মাত্র ১২৪ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। পরের ম্যাচে ব্রায়ান বেনেট ও জোনাথন ক্যাম্পবেলের ব্যাটে ১৩৮ রান তুলতে পেরেছিল সফরকারী। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৩৯ রান তাড়া করতে নেমেও ১৮.৩ ওভার খেলতে হয়েছে বাংলাদেশকে। যেখানে লিটন দাস, নাজমুল শান্তদের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ নিয়েও কথা উঠেছে। জিম্বাবুয়ে ১৪০ রানের বেশি করতে না পারলে এটা ১৩-১৪ ওভারে ম্যাচ জিতে দেখাতে বলছেন সুজন।
আবাহনীর এই প্রধান কোচ বলেন, ‘জিম্বাবুয়ে ১৩০-১৪০ রানে অল আউট হতেই পারে। আপনাকে তখন চ্যালেঞ্জ করতে হবে যে আমি ১৩ ওভারে ম্যাচ জিতব কিংবা ১৪ ওভারে। আপনি কাট অফ টাইম দেন আমি ১৫ ওভারের মধ্যে ১৪০ তাড়া করতে চাই। তাহলে আমি বলব যে সঠিক কাজটা করছে, প্রস্তুতির ব্যাপারগুলো।’