নিতিশ-ক্লাসেনদের ঝড়ের পর হায়দরাবাদকে শেষ বলে জেতালেন ভুবনেশ্বর

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
দিল্লির মেন্টর পিটারসেন
২৭ ফেব্রুয়ারি ২৫
ট্রাভিস হেড, নিতিশ কুমার রেড্ডি এবং হেনরিখ ক্লাসেনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের দিনে স্কোরবোর্ডে লড়াই চালানোর মতোই পুঁজি গড়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। যদিও ইয়াশভি জায়সাওয়াল এবং রায়ান পরাগের ব্যাটে সেই লক্ষ্যের কাছাকাছি খুব ভালো করেই পৌঁছে যায় রাজস্থান রয়্যালস। শেষদিকে প্যাট কামিন্স, ভুবনেশ্বর কুমারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ম্যাচটি নিজেদের দিকে টেনে নিয়ে যেতে থাকে হায়দরাবাদ। রভম্যান পাওয়েলের ফিনিশিংয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল রাজস্থানও। যদিও ভুবনেশ্বরের করা শেষ ওভারে ১৩ রান নিতে ব্যর্থ হয় দলটি। পাওয়েলকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলে মাত্র এক রানে ম্যাচটি জিতে নেয় হায়দরাবাদ। শেষ বলে দুই রান লাগলেও তা নিতে পারেননি এই ক্যারিবিয়ান। এই জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চতুর্থ স্থানে উঠল হায়দরাবাদ।
২০২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ও নিজের প্রথম বলেই ফিরে যান রাজস্থানের 'ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার' জস বাটলার। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে সাঞ্জু স্যামসনকেও দারুণ এক ইনসুইংয়ে বোল্ড করেন ভুবনেশ্বর কুমার। দুই নির্ভরযোগ্য ব্যাটার শূন্য রান করে ফেরায় চাপে পড়ে যায় ২০০৮ সালের শিরোপাজয়ীরা। এরপরও পাওয়ার প্লে'তে ৬০ রান তোলেন ইয়াশভি জায়সাওয়াল এবং রায়ান পরাগ।

১৩.৩ ওভারের মধ্যে ১৩৩ রানের দারুণ একটি জুটি গড়েন এই দুজন। যদি ৪০ বলে ৬৭ রান করে টি নাটারাজানের বলে বোল্ড হন জায়সাওয়াল। এর এক ওভার পর ফিরে যান পরাগও। ৪৯ বলে আটটি চার ও চারটি ছক্কায় ৭৭ রান করা পরাগকে ফেরান কামিন্স। শেষদিকে ১৫ বলে ২৭ রান করে জয়ের খুব কাছে নিয়ে গিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি পাওয়েল। সাত উইকেটে ২০০ রানে থামে হায়দরাবাদ। ৪১ রান খরচায় খুব গুরুত্বপূর্ণ তিনটি উইকেট নেন পাওয়েল।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে এ দিন পাওয়ার প্লে'তে ৩৫ রান তুলতেই দুই উইকেট হারায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে ফিরে যান ১০ বলে ১২ রান তোলা অভিষেক শর্মা। আভেষ খানের বলে ডিপ স্কয়ার লেগে ধ্রুব জুরেলকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।
পরের ওভারে আনমলপ্রীত সিংকে ফেরান সন্দীপ শর্মা। এই পেসারের উইকেট তাক করা বলে ফ্লিক করতে গিয়ে মিড উইকেটে জায়সাওয়ালকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান পাঁচ বলে পাঁচ রান করা আনমলপ্রীত।
আরেকপাশ দিয়ে ঝড়ো ব্যাটিং অব্যাহত রাখেন ট্রাভিস হেড। যার কারণে রানের চাকা সচল ছিল হায়দরাবাদের। দলীয় ১৩১ রানে ফিরে যান হেড। এ দিন ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কায় ৫৮ রান করে আভেষের বলে বোল্ড হন তিনি।
বাকি সময়টা হায়দরাবাদকে টেনে নেন হেডের সঙ্গে ৯৬ রানের জুটিতে থাকা নিতিশ কুমার রেড্ডি। তার সঙ্গে যোগ দেন ইনফর্ম উইকেটরক্ষক ব্যাটার হেনরিখ ক্লাসেনও। নিতিশ ৪২ বলে তিনটি চার ও আটটি ছক্কায় ৭৬ রান করেন। ক্লাসেন ১৯ বলে তিনটি চার ও তিনটি ছক্কায় করেন ৪২ রান। এই দুটি অপরাজেয় ইনিংসে তিন উইকেটে ২০১ রান তোলে হায়দরাবাদ।