শেষ ১৮ বলে ৪৫ তোলার লক্ষ্য রেখেছিল গুজরাট

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
শেষ বলে জয়ের জন্য গুজরাটের প্রয়োজোন ছিল ২ রান। সেই সময়েই রশিদ খান বাউন্ডারি মেরে দলকে জিতিয়ে মাতেন উল্লাসে। শেষ ওভারে ১৫ তুলে রাজস্থান রয়্যালসকে এবারের আসরে প্রথম হারের স্বাদ দেয় শুভমান গিলের দল। আর এই জয়ের পর গুজরাট দলপতি জানিয়েছেন, শেষ ৩ ওভারে ৪৫ রান নেওয়ার লক্ষ্য ছিলো তাদের।
গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ১৯৬ রান তুলেও হারতে হয়েছে রাজস্থান রয়্যালসকে। এ বারের আইপিএলে এই প্রথম বার হারলেন সঞ্জু স্যামসনরা। ২০২৪ আইপিএলে টানা চার ম্যাচে জয় পাওয়ার পর, বুধবার রশিদ খানের দাপটে শেষ বলে ম্যাচ জেতে গুজরাট টাইটান্স।
রিয়ান পরাগ এবং সঞ্জু স্যামসনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ১৯৬ রানের পুঁজি পায় রাজস্থান। কিন্তু ঘরের মাঠে এতো বড় পুঁজি নিয়েও গুজরাটের কাছে ৩ উইকেটে হারে দলটি। যদিও শেষ বল পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা ছিল ম্যাচে।

২ বলে ৪ রান প্রয়োজন ছিল। পঞ্চম বলে ২ রান হলেও, রানআউট হন রাহুল তেওয়াটিয়া। শেষ বলে দরকার ছিল ২। চার মেরে গুজরাট টাইটান্সকে জেতান রশিদ খান। চার ম্যাচ পর থামল রাজস্থান রয়্যালসের বিজয়রথ। ৩ উইকেটে জেতেন শুভমন গিলরা।
ম্যাচ আশা কি তখন নিভু নিভু দেখছিলেন গুজরাট অধিনায়ক? পুরস্কার বিতরণী আয়োজনে তিনি জানান, 'একদমই না'। বরং পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে জেনেই হিসাব করে রেখেছিলেন তারা, 'আমরা আসলে তিন ওভারে ৪৫ তোলার লক্ষ্য নিয়েছিলাম, যেটা ছিলো নেওয়ার মতন।'
'ওভারপ্রতি ১৫ রান, দুইটা করে বল মারতে হবে। ওই মানসিকতাই ছিলো সেসময়। গাণিতিকভাবে দুই ব্যাটারেরই ৯ বলে ২২ করে হতো। ৯ বলের মধ্যে দুই তিনটা বল হিট করতে হতো যদি একজন কেউ ক্ষিপ্র হয়। দেখেছেন দুই-তিন বল আগেই ম্যাচ নাগালে চলে আসে' যোগ করেন গিল।
শেষ দিকে ক্যামিও ইনিংসের চাহিদা মেটে রাহুল তেওয়াতিয়া আর রশিদ খানের ব্যাটে। দুজনে মিলে সপ্তম উইকেটে মাত্র ১৪ বলে গড়েন ম্যাচ জেতানো ৩৬ রানের জুটি।
১১ বলে ২২ করে শেষ বলের আগে তেওয়াতিয়া রান আউটে বিদায় নিলেও ১১ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২৪ করে নায়ক রশিদ। এই দুজনকে তাই কৃতিত্ব দিলেন গিল, 'আমি শেষ করতে পারলে খুশি হতাম কিন্তু যেভাবে রশিদ (খান) ভাই ও রাহুল (তেওয়াতিয়া) ভাই কাজটা শেষ করেছেন সেটা দারুণ ছিলো আমাদের জন্য।'