হেরে ব্যাটারদের দুষলেন গিল

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
উমেশ যাদব, রশিদ খানদের দারুণ বোলিংয়ে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসকে ১৬৩ রানে আটকে দিয়েছিল গুজরাট। উইকেট খানিকটা ধীরগতির হলেও মাঝারি লক্ষ্য তাড়ায় দারুণ শুরু করেছিলেন শুভমান গিল এবং সাই সুদর্শন। গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক ফেরার পর পথ হারায় বর্তমান রানার্সআপরা। লক্ষ্ণৌর কাছে ৩৩ রানে হেরে ব্যাটারদের দুষলেন গিল।
১৬৪ রান তাড়ায় শুরুট বেশ ভালো করেছিলেন গুজরাটের দুই ওপেনার সাই সুদর্শন এবং গিল। উদ্বোধনী জুটিতে তারা দুজনে যোগ করেন ৫৪ রান। ইয়াশ ঠাকুরের লেগ স্টাম্পে করা দ্রুতগতির ডেলিভারিতে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন গিল। তবে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হতে হয়েছে ২১ বলে ১৯ রান করা গুজরাটের অধিনায়ককে। তিনে নেমে দ্রুতই বিদায় নিয়েছেন ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে খেলতে নামা কেন উইলিয়ামসন। দেখেশুনে খেলতে থাকা ওপেনার সুদর্শনও আউট হয়েছেন একটু পরই।

ক্রুনালের লেগ এবং মিডল স্টাম্প বরাবর শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে খেলতে গিয়ে টপ এজ হয়েছেন তিনি। বিষ্ণইয়ের ক্যাচে ফিরতে হয় ২৩ বলে ৩১ রান করা সুদর্শনকে। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি গুজরাট। বাকিদের আসা-যাওয়ার মিছিলে গুজরাটের হারের ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেছেন রাহুল তেওয়াতিয়া। ধীরগতির ব্যাটিংয়ে ২৫ বলে করেছেন ৩০ রান। মারকুটে ব্যাটার হিসেবে পরিচিত হলেও লক্ষ্ণৌর বোলারদের বিপক্ষে নিজের সহজাত ব্যাটিং করতে পারেননি তেওয়াতিয়া।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নিজেদের ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিয়ে গিল বলেন, ‘আমার মনে হয় ব্যাটিং করার জন্য উইকেট খুব ভালো ছিল। আমাদের জন্য খুবই বাজে ব্যাটিং পারফরম্যান্স। আমরা দারুণ শুরু পেয়েছিলাম কিন্তু মাঝের ওভারে গিয়ে পথ হারাই। সেখান থেকে আমরা আর ফিরে আসতে পারিনি।’
ব্যাটিংয়ে হতাশ হলেও বোলারদের পারফরম্যান্সে খুশি গিল। গুজরাটের অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের বোলাররা দারুণ বোলিং করেছে এবং তাদেরকে ১৬৩ রানে আটকে দিয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম তারা হয়ত ১৭০ থেকে ১৮০ রান করবে কিন্তু আগেই তাদের আটকে দিয়েছি। বোলারদের পক্ষ থেকে এটা দারুণ এফোর্ট।’
শুরুর দিকে খেললেও পাঞ্জাব কিংসের ম্যাচের থেকে পাওয়া যায়নি ডেভিড মিলারকে। চোটের কারণে আগামী দুই সপ্তাহ সাউথ আফ্রিকার তারকা এই ব্যাটারকে পাবে না গুজরাট। মিলারের অভাব হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে তারা। গিল জানান, মিলারের মতো ক্রিকেটার যেকানো সময়ই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন।
গুজরাটের অধিনায়ক বলেন, ‘সে (ডেভিড মিলার) এমন একজন খেলোয়াড় যেকোন মুহূর্তে একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। আমাদের বেশ কয়েকটা ইনজুরি সমস্যা রয়েছে। যদিও এটা একেবারে প্রত্যাশিত ব্যাপার। তবে যাই হোক এই রান তাড়া করে আমাদের জেতা উচিত ছিল।’