স্টাবসের ঝড় সামলে অবশেষ জিতল মুম্বাই

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
১৯ ওভার শেষে দিল্লি ক্যাপিটালসের রান ৫ উইকেটে ২০১ রান। ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩৪ রান। কঠিন এক সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা দিল্লির সামনে জয়ের খুব বেশি সুযোগ ছিল না। আগের ওভারে ২১ রান নেয়ায় আরও কাছে যাওয়ার সুযোগ ছিল তাদের সামনে। তবে মুম্বািই ইন্ডিয়ান্সের বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালানো ট্রিস্টিয়ান স্টাবস সুযোগই পেলেন না। শেষ ওভারে জেরাল্ড কোয়েতজির প্রথম তিন বলে ২ রান তুলে আউট হয়েছেন ললিত যাদব।
পরের তিন বলে ফিরেছেন কুমার কুশাগরা ও ঝাই রিচার্ডসন। শেষ ওভারে কোয়েতজি দিয়েছেন মাত্র ৪ রান, নিয়েছেন ৩ উইকেট। অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে দিল্লির হার দেখতে হয়েছে ২৫ বলে অপরাজিত ৭১ রান করা স্টাবসকে। দিল্লিকে ২৯ রানে হারিয়ে আইপিএলের এবারের আসরে প্রথম জয়ের দেখা পেল প্রথম তিন ম্যাচে হারা মুম্বাই। এদিকে পাঁচ ম্যাচের চারটিতে হারতে হয়েছে দিল্লিকে।

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ২৩৫ রান তাড়ায় শুরুতেই উইকেট হারায় দিল্লি। রোমারিও শেফার্ডের স্লোয়ার ডেলিভারিতে মিড অনের ওপর দিয়ে খেলতে গিয়ে হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। বাঁহাতি এই ওপেনারকে ফিরতে হয় মাত্র ১০ রানে। এরপর পৃথ্বী শর সঙ্গে জুটি গড়ে তোলেন অভিষেক পোরেল। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৮৮ রান। যদিও প্রত্যাশিত রান তুলতে পারেনি তারা।
পৃথ্বী শ এবং পোরেলের জুটি ভাঙেন জসপ্রিত বুমরাহ। ডানহাতি এই পেসারের দুর্দান্ত ইয়র্কারে বোল্ড হয়েছেন পৃথ্বী। হাফ সেঞ্চুরি করা পৃথ্বী আউট হয়েছেন ৪০ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলে। ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি পান্ত এবং অক্ষর প্যাটেল। তবে এক প্রান্তে ঝড় তোলেন স্টাবস। তবে ২৫ বলে অপরাজিত ৭১ রানের ইনিংস খেলেও দিল্লিকে জেতাতে পারেননি। মুম্বাইয়ের হয়ে কোয়েতজি চারটি এবং বুমরাহ নিয়েছেন দুটি উইকেট।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে মুম্বাইকে ভালো শুরু এনে দেন রোহিত শর্মা এবং ইশান কিশান। উদ্বোধনী জুটিতে তারা দুজনে যোগ করেন ৮০ রান। দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা রোহিতকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন অক্ষর। বাঁহাতি এই স্পিনারের স্কিড করা ডেলিভারিতে ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন২৭ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলা এই ব্যাটার। তিনে নেমে রানের খাতা খুলতে পারেননি সূর্যকুমার যাদব।
চোট কাটিয়ে ফিরে প্রথম ম্যাচে খেলতে নামা এই ব্যাটারকে আউট করেছেন অ্যানরিখ নরকিয়া। এদিকে রোহিতের মতো হাফ সেঞ্চুরির দেখা পাননি ইশানও। অক্ষরের বলে তারই হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে বাঁহাতি এই ওপেনার খেলেছেন ২৩ বলে ৪২ রানের ইনিংস। শেষদিকে ঝড় তোলেন টিম ডেভিড এবং শেফার্ড। ২১ বলে ডেভিড খেলেন ৪৫ রানের ইনিংস। নরকিয়ার ওপর তাণ্ডব চালানো শেফার্ড অপরাজিত ছিলেন ১০ বলে ৩৯ রানে। যেখান শেষ ওভারে ৩২ রান তুলেছেন তিনি। দিল্লির হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন নরকিয়া এবং অক্ষর।