বোলারদের পারফরম্যান্সে হতাশ রুতুরাজ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ক্রিকেটবিশ্বকে আইপিএল বর্জন করতে বলছেন ইনজামাম
২ মার্চ ২৫
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে তেমন সুবিধা করতে পারেনি চেন্নাই সুপার কিংসের বোলাররা। যার কারণে ১৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিয়েও ম্যাচ হারতে হয়েছে চেন্নাইকে। ম্যাচ শেষ হলে বোলারদের পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়।
হায়দরাবাদের বিপক্ষে এই ম্যাচে খেলেননি মুস্তাফিজুর রহমান এবং মাথিশা পাথিরানা। চেন্নাইয়ের এই দুই বিদেশি পেসারের জায়গায় খেলেন মঈন আলী এবং মাহিশ থিকশানা। দলে দুজন স্পিনার নেয়ায় ব্যাটার সামির রিজভিকেও বাদ দেয় চেন্নাই। তার বদলে খেলেন পেসার মুকেশ চৌধুরী।

আর এই মুকেশ চৌধুরীর ওপরই বেশি চওড়া হন হায়দরাবাদের ওপেনাররা। দলটি রীতিমতো উড়ন্ত সূচনা পায়। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বোলিং করতে এসে ২৭ রান দেন মুকেশ। পরে আর বোলিংয়েই আসা হয়নি তার।
সেই উড়ন্ত সূচনার কারণে ২.৪ ওভারের মধ্যে হায়দরাবাদ তোলে ৪৬ রান। দীপক চাহার ১২ বলে ৩৭ রান করা অভিষেক শর্মাকে ফেরালেও রানের চাকা সচল থাকে হায়দরাবাদের। ট্রাভিস হেড এবং এইডেন মার্করাম দুজন মিলে দশ ওভারের আগেই গড়েন ৬০ রানের জুটি।
পরে চেন্নাইয়ের স্পিনাররা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিলে কিছুটা রয়েসয়ে খেলে হায়দরাবাদ। তবে শুরুর উড়ন্ত সূচনার কারণে ম্যাচ জিততে কষ্ট হয়নি দলটির। পাওয়ার প্লে'তে একটি ক্যাচও ছেড়েছে চেন্নাইয়ের ফিল্ডাররা।
ম্যাচ শেষে রুতুরাজ বলেন, 'পাওয়ার প্লে-তে আমরা অনেক রান দিয়েছি। শুরুতেই ক্যাচ পড়েছে। দ্বিতীয় ওভারে ২৭ রান হয়েছে। ওই দুটি কারণেই ম্যাচ হেরে গিয়েছি। তার পরেও আমরা লড়াই করেছি। স্পিনাররা নিজেদের কাজ করেছে। আরও কিছু রান করতে পারলে হয়তো ওদের পক্ষে জেতা কঠিন হত।'
'পিচ মন্থর ছিল। ওরা শেষ দিকে খুব ভালো বল করেছে। আমাদের রান আটকাতে পেরেছে। সেটা আমরা করতে পারিনি। খেলা যত গড়িয়েছে কালো মাটির উইকেট তত মন্থর হয়েছে। শট মারা সহজ ছিল না। কিন্তু ওরা বুদ্ধি করে ব্যাট করেছে।'