পিসিবির মিথ্যাচারে ক্ষুব্ধ আফ্রিদি!

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাদ পড়ার ‘ভয়ে’ বিরতি নিতে চাচ্ছেন বাবর-আফ্রিদিরা
২৮ ফেব্রুয়ারি ২৫
মাত্র এক সিরিজে নেতৃত্ব দিয়েই সেই অধ্যায় শেষ! ভীষণ হতাশ ছিলেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। এর মাঝেই তার নামে 'বাবর আজমকে সহযোগিতা' করার একটি বিবৃতি আসে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ওয়েবসাইটে। অথচ এমন কোনও বিবৃতি নাকি তিনি দেননি! পিসিবির এমন আচরণে ক্ষুণ্ণ হয়ে পাল্টা বিবৃতি দিতে গিয়েও শেষ মুহূর্তে দেননি আফ্রিদি। ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে এমনটাই।
নানান নাটকীয়তার পর পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব ফিরিয়ে দেয়া হয় বাবরকে। পাকিস্তান দলকে বিশ্বসেরা বানানোর ঘোষণাও দেন বাবর। সেই বিবৃতি এসেছে পিসিবির ওয়েবসাইটে। একইসঙ্গে বিদায়ী অধিনায়ক আফ্রিদির একটি বিবৃতিও ছাপায় পিসিবি।

যেখানে আফ্রিদি বলেন, '(নেতৃত্বের) সুযোগ পাওয়া ও স্মৃতিগুলোকে আমি সবসময়ই লালন করব। দলের একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমার দায়িত্ব আমাদের অধিনায়ক বাবর আজমের পাশে থাকা। তার নেতৃত্বে আগেও খেলেছি এবং তার প্রতি আমার কেবল সম্মানই আছে। মাঠের ভেতরে বাইরে তাকে সহায়তা করার চেষ্টা করব। আমরা সবাই এক, আমাদের লক্ষ্যও একই, পাকিস্তানকে বিশ্বের সেরা দল হয়ে ওঠায় সহায়তা করা।'
‘রিজওয়ান তুমি ফেরারি থেকে রিকশায় নেমে এসেছো’
২ মার্চ ২৫
অথচ আফ্রিদি নাকি এমন কোনও কথাই বলেননি। ক্রিকইনফো তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, নেতৃত্ব বদলের পুরো প্রক্রিয়া নিয়েই নাকি অসন্তোষ ছিলেন এই পেসার। পিসিবি তাকে দায়িত্ব দেয়ার সময় লম্বা সময় অধিনায়ক রাখার প্রতিশ্রুতি দেয়।
মূলত এমন প্রতিশ্রুতি পেয়েই পাকিস্তানে অধিনায়ক হতে রাজি হন আফ্রিদি। একে তো এমন সিদ্ধান্তে তিনি খুশি ছিলেন না, তার ওপর পিসিবির বিবৃতি দেখে পাল্টা বিবৃতি দিতেও চেয়েছিলেন তিনি। যদিও শেষ মুহূর্তে টের পেয়ে তাকে থামায় পিসিবির কর্তারা। এমনকি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির সঙ্গে সোমবার তার সঙ্গে বৈঠকও ঠিক করে পিসিবির কর্তারা।
নেতৃত্ব পাওয়ার পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছেন আফ্রিদি। যেখানে মাত্র একটি ম্যাচে জিততে পেরেছে পাকিস্তান। চারটিতেই হেরেছে তার দল। একইসঙ্গে পিএসএলেও খারাপ পারফরম্যান্স করে আফ্রিদির লাহোর কালান্দার্স। সবমিলিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই অনুমেয় ছিল, নেতৃত্ব হারাতে চলেছেন আফ্রিদি!