বিসিবির হস্তক্ষেপেই চলবে আঞ্চলিক ক্রিকেট

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা চালু হলেও প্রতিটি বিভাগ স্বতন্ত্র ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে কি না, সেটা নিয়ে প্রশ্ন ছিল আগে থেকেই। নতুন বার্ষিক সাধারণ সভায় পাওয়া গেল সেই প্রশ্নের উত্তরও। ক্রিকেট বিকেন্দ্রীকরণের জন্য আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা তৈরি করা হলেও ক্ষমতার বেশিরভাগই থাকছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অধীনে। নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, স্বাধীনভাবে নয় বরং বিসিবির হস্তক্ষেপেই চলবে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা।
২০১৩ সালে বিসিবি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ক্রিকেট বিকেন্দ্রীকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছিলেন পাপন। সবশেষ ২০২২ সালে আলোর মুখ দেখে বিসিবির আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা। দেশের সাতটি বিভাগের কাউন্সিলরদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছে এটি। বরিশাল ছাড়া দেশের বাকি ছয়টি বিভাগেই গঠন করা হয়েছে অ্যাডহক কমিটি।

বরিশাল থেকে উঠে আসা আলমগীর হোসেন আলো অসুস্থ থাকায় বরিশালের অ্যাডহক কমিটি আপাতত গঠন করা সম্ভবপর হয়ে উঠছে না। যদিও উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে বিসিবি। নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন হওয়ার পর বিসিবির অধীনে চলে আসবে তারা।
বিসিবি সভাপতি পাপন বলেন, ‘বড় আলোচনা যেটা হয়েছে, সেটা আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা নিয়ে। আমরা কিন্তু বরিশাল ছাড়া সব বিভাগে করে ফেলেছি। বরিশাল করতে পারছি না আমাদের পরিচালক (আলমগীর হোসেন) আলো ভাই অসুস্থ দেখে। এটা নিয়ে একটা কিছু করব।’
‘বাকিগুলো যেহেতু হয়ে গেছে, আমরা কমিটি করে দিয়েছি। অ্যাডহক কমিটি এখন সকলকে নিয়ে নির্বাচন করবে। নির্বাচনের মাধ্যমে একটা নির্বাচিত কমিটি লাগবে। সেই কমিটি হবে আমাদের প্রকৃত আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা।’
আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গঠন করা হলেও এখনই পূর্ণ স্বাধীনতা পাচ্ছে না তারা। আপাতত তাদের সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য ২০ টাকা করে দিচ্ছে বিসিবি। যার মাধ্যমে একটি টি-টোয়েন্টি লিগ চালু করবেন তারা। যদিও সেটা বিসিবির মন মতো আয়োজন করতে পারে তখনেই কেবল তাদের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়া হতে পারে।
পাপন বলেন, ‘এটা কেন্দ্রের হস্তক্ষেপমুক্ত হবে না। আপনারা ভুল বুঝছেন। একদম ঠিকভাবে আমি বলে দিচ্ছি। এটা হবে না, যতদিন পর্যন্ত আমরা সন্তুষ্ট না হব যে তারা স্বাধীনভাবে চালাতে পারবে, ততদিন না। আমরা যে ২০ লাখ টাকা দিচ্ছি, সেটা পরীক্ষামূলক হিসেবে। সেটা দেখতে হবে কীভাবে খরচ হয়।’