‘মুস্তাফিজের স্লোয়ার খুবই বিভ্রান্তিকর’
.jpg)
ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে স্লোয়ার-কাটারে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের আতঙ্ক হয়ে উঠেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ব্যাটারদের কাছে গোলকধাঁধা হয়ে ওঠা স্লোয়ার-কাটারের ধার ফুরিয়ে যায় একটা সময় পর। লম্বা সময় পর চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে পুরনো মুস্তাফিজকে খানিকটা খুঁজে পাওয়া গেছে। ম্যাচ শেষে তাই বাংলাদেশের পেসারের প্রশংসা করলেন দীনেশ কার্তিক। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর এই ব্যাটার জানালেন, মুস্তাফিজের স্লোয়ার খুবই বিভ্রান্তিকর।
চেন্নাইয়ের হয়ে অভিষেকেই বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন মুস্তাফিজ। দীপক চাহার ও তুষার দেশপাণ্ডেকে দিয়ে বোলিং শুরু করা রুতুরাজ গায়কোয়াড় মুস্তাফিজকে বোলিংয়ে এনেছেন ইনিংসের পঞ্চম ওভারে। বোলিংয়ে এসেই ফাফ ডু প্লেসি এবং রজত পাতিদারকে আউট করেছেন বাঁহাতি এই পেসার। নিজের প্রথম ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।

এরপর ১২তম ওভারে মুস্তাফিজকে বোলিংয়ে আনেন রুতুরাজ। সেই ওভারে ৩ রান দিয়ে মুস্তাফিজ নিয়েছেন ২ উইকেট। ফিরিয়েছেন বিরাট কোহলি এবং ক্যামেরন গ্রিনের মতো ব্যাটারকে। নিজের তৃতীয় ও শেষ স্পেলে ২ ওভারে ২২ রান দিয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার। সব মিলিয়ে তিন স্পেলে ২৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন তিনি। কার্তিক জানান, মুস্তাফিজ সঠিক লেংথে বোলিং করেছে এবং তিন স্পেলেই নিজের সামর্থ্য দেখিয়েছে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে মুস্তাফিজের বোলিংয়ের প্রশংসা করতে গিয়ে কার্তিক বলেন, ‘আমার মনে হয় সে খুব ভালো বোলিং করেছে। তিনটা স্পেলেই সে তার সামর্থ্য দেখিয়েছে। সে সাধারণত যেমনটা করে তার চেয়ে অনেক বেশি দ্রুতগতির ছিল। তার জন্য এটা দারুণ ব্যাপার। সে সঠিক লেংথে হিট করেছে। তার স্লোয়ারগুলোও ভালো ছিল। তার জন্য খুবই ভালো একটা ম্যাচ।’
মুস্তাফিজের বোলিংয়ের সবচেয়ে বড় অস্ত্র স্লোয়ার এবং কাটার। বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে বেশ কয়েকটি স্লোয়ার এবং কাটার ছেড়েছেন বাঁহাতি এই পেসার। মুস্তাফিজের বিশেষত্ব হচ্ছে ১৩৮-১৩৯ কিলোমিটার থেকে হুট করেই ১২০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করেন। কার্তিক জানান, মুস্তাফিজের এমন স্লোয়ার খুবই বিভ্রান্তিকর। সেটার জন্য প্রস্তুতি নেয়া ভীষণ কঠিন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কার্তিক বলেন, ‘সে অনেক ভালো বোলিং করেছে। যে জিনিসটা ব্যাটারের কাজ কঠিন করে দেয় তা হলো, সে ১৩৮-১৩৯ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারে এবং এরপর সে একটা স্লোয়ার দেয়। এটা খুবই বিভ্রান্তিকর। ১২০-১২৫ কিলোমিটার গতিতে সে কাটার করে। এতে তার বিপরীতে প্রস্তুত হওয়াটা ভীষণ কঠিন হয়ে পড়ে। এটাই তার বিশেষত্ব। সে বিশ্বমানের বোলার।’
চেন্নাইয়ের উইকেট টার্নিং এবং ধীরগতির হলেও এদিন ছিল ভিন্নতা। কার্তিক জানান, চীপকের উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো ছিল। তিনি বলেন, ‘এটা খুবই ভালো পিচ ছিল। আমরা মনে মনে ভেবেছিলাম যে চীপকের প্রথাগত ধীরগতির টার্নিং পিচের মতোই এটা হবে। সেটা হয়নি। বল অনেক বেশি স্কিড করছিল। এটা ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো ছিল।’