আফিফ বাংলাদেশের অন্যতম মেধাবী ব্যাটার: পার্নেল
.jpg)
ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
দুর্দান্ত ঢাকাকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে খুলনা টাইগার্স। টানা ৫ ম্যাচে হারের পর ঢাকাকে হারিয়ে আবারও জয়ের ধারায় ফিরতে চলেছে দলটি। তবে ঢাকার বিপক্ষে আফিফ হোসেন ধ্রুবর রানে ফেরা বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেবে দলটিকে।
এই ম্যাচে ২১ বলে ৪৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন তিনি। ৪টি ছক্কার সঙ্গে ২টি চারে সাজানো ছিল তার এই ইনিংস। এমন পারফরম্যান্সের পর ওয়েইন পার্নেলের প্রশংসা কুড়িয়েছেন আফিফ। পার্নেলের চোখে আফিফ বাংলাদেশের অন্যতম মেধাবী ব্যাটার।

আফিফের প্রশংসা করে তিনি বলেন, 'ব্রিলিয়ান্ট ইনিংস। আমার চোখে বাংলাদেশের অন্যতম মেধাবী ব্যাটার। অনেক তরুণ ব্যাটার। ফাস্ট বোলিং, স্পিন বোলিং সবই খেলতে পারে। মাঠের চারপাশ দিয়ে খেলে। অনেক স্মার্ট ছেলে। তাকে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। তাকে ভালো করার ঐ আত্মবিশ্বাসটা দিতে হবে এবং সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। সে আজ যেসব শট খেলতে চেয়েছে সবই কাজে লেগেছে। খুব ভালো লাগছে।'
এখনও পর্যন্ত বিপিএলে ১০ ইনিংসে ব্যাট করে ২৭.৫ গড়ে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২২০ রান। ঢাকার বিপক্ষে ইনিংসটির আগে এবারের বিপিএলে তার সর্বোচ্চ ইনিংসটি ছিল ৩৭ রানের। ঢাকার বিপক্ষেই প্রথম দেখায় এই অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। আফিফের স্ট্রোকে মুগ্ধ হয়েছেন পার্নেলও।
এই প্রোটিয়া অলরাউন্ডার বলেন, 'সে একজন স্ট্রোক প্লেয়ার। একবার ভিন্নভাবে খেলতে গেলেই নিজের শক্তির জায়গা হারিয়ে ফেলবে। কোচিং কিছু কিছু খেলোয়াড়ের জন্য ক্ষতিকর। তাদের ন্যাচারাল খেলা খেলতে দেওয়া উচিত। ২০১৮ সালে যখন সিলেট সিক্সার্সের হয়ে খেলতে আসি, তখনই তাকে দেখে বিশেষ কিছু মনে হয়েছে। সে বাংলাদেশের হয়ে খেলেছে। উত্থানপতন থাকবেই, খুব স্বাভাবিক। বাংলাদেশের ক্রিকেটের ও তার নিজের গোল হওয়া উচিৎ ধারাবাহিকতা ধরে রাখা। তবে এজন্য সমর্থন প্রয়োজন। সমর্থন পেলে আত্মবিশ্বাস পাবে এবং আরও ধারাবাহিক হবে।'
পার্নেল নিজেও এই ম্যাচে দারুণ পারফর্ম করেছেন। ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ঢাকার টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দিয়েছেন তিনিই। এরপর বাকি কাজটা করেছেন আরেক পেসার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। তরুণ এই পেসার ১৮ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। উইকেট প্রত্যাশামাফিক না হলেও বোলাররা লাইন লেন্থ মেনে যেভাবে বোলিং করেছে তার প্রশংসা করেছেন তিনি।
পার্নেল বলেন, 'ফ্রেশ উইকেট, একটু ঘাস ছিল। আশা করছিলাম একটু মুভমেন্ট করবে। শুরুতে যেমন করেছে পরে আবার এতটা ছিল না। পেস বোলারদের ঠিক জায়গায় বল করতে হতো, আমরা সেটা করতে পেরেছি। টি-টোয়েন্টিতে দ্রুত প্রতিপক্ষের ৩-৪ উইকেট পড়ে গেলে তাদের জন্য ম্যাচে ফেরা কঠিন। ১৩০ রানের নিচে আটকে দেওয়া মানে তো সহজেই তাড়া করার যোগ্য।'