তরুণ ক্রিকেটারদের সুযোগ দিলে ৫ বছর পর সুপারস্টার পাবেন: তাহির

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সাউথ আফ্রিকার এসএ–২০ লিগের কোয়ালিফায়ার খেলেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) অংশ নিতে ঢাকায় এসেছেন ইমরান তাহির। ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে পা রেখেই তিনি নেমে পড়েছিলেন রংপুর রাইডার্সের জার্সিতে।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে প্রথম বলেই নিয়েছেন উইকেট। টম ব্রুসকে তিনি বোল্ড করে ফিরিয়েছিলেন। ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়ে নিজের বোলিং কোটা শেষ করেছিলেন তিনি। এর আগে ২০১৯ সালে বিপিএলে খেলতে এসে সিলেট সিক্সার্সের সাইড লাইনে বসে ছিলেন তিনি।
খেলার সুযোগ হয়নি কোনো ম্যাচেই। এবার অভিজ্ঞতার ঝুলি নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। তবে তাকে খুব বেশিদিন পাচ্ছেন না বিপিএলের দর্শকরা। মঙ্গলবার খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ম্যাচ শেষেই বাংলাদেশ ছাড়বেন তিনি। চট্টগ্রাম পর্বে মাঠে নামার আগে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন তাহির।

বিপিএলের মতো টুর্নামেন্টে তিনি তরুণ ক্রিকেটারদের সুযোগ দেয়ার পক্ষে। তিনি মনে করেন স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়মিত সুযোগ দিলে ৫ বছর পর সুফল পেতে পারে বাংলাদেশ। রংপুর রাইডার্সেও রয়েছেন অনেক তরুণ ক্রিকেটার। তাদের পারফরম্যান্সের দিকেই তাকিয়ে থাকবেন তাহির।
তিনি বলেন, 'আমি মনে করি এটি তরুণদের এটা এমন একটি সুযোগ যা সম্ভবত তারা কখনও পায়নি এবং আমরা বিদেশী খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে খেলতে পারিনি এবং আমাদের দক্ষতা দেখাতে পারিনি। আপনি যদি আপনার দেশের তরুণদের এই সুযোগটা এখন দেন তাহলে ৫ বছর পর আপনি কয়েকজন সুপারস্টার পাবেন।'
বিপিএলের শিরপা জিততে হলে তরুণ ক্রিকেটারদের ভালো করার বিকল্প নেই বলেই মনে করেন তাহির। তার ভাষ্য, 'আমি বিপিএলের কয়েকটি ম্যাচ টিভিতে দেখেছি এবং রংপুর রাইডার্সেরও অনেক তরুণ ক্রিকেটার আছে। আপনাকে টুর্নামেন্ট জিততে হলে স্থানীয় ক্রিকেটারদের ভালো খেলতে হয়। আমরা ভাগ্যবান যে আমাদের আছে।'
বিপিএলের মান নিয়েও সন্তুষ্ট তাহির। তিনি আশাবাদী প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্ট দেখার ব্যাপারে। প্রায় প্রতি ম্যাচেই ১৭০-২০০ রান হচ্ছে। এরকম রান হলে দর্শকরাও অনেক আনন্দ পান। তাহির চান বিদেশি ক্রিকেটাররা দেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পারফরম্যান্স করুক।
তিনি বলেন, 'বিশ্বের যেখানেই যাবেন আপনি প্রতিযোগীতামূলক ক্রিকেট দেখতে পাবেন। আপনি এর মধ্যে তুলনা করতে পারবেন না। দর্শক একাহ্নে আসছে মানে অবশ্যই এটা উচ্চ মানের টুর্নামেন্ট। এখানে প্রতিটি দলই ১৭২-২০০ রান করছে ফলে বোঝাই যাচ্ছে এখানে মান আছে।'
'আমার মনে হয় এই টুর্নামেন্টের মান অনেক ভালো কিন্তু আমি বলবো স্থানীয় ও বিদেশি ক্রিকেটার আমরা যারা আছি তারা একে অপরকে সাহায্য করতে হবে এবং নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নিতে হবে। তারপরে দেখতে হবে কিভাবে আমরা আমাদের দলকে এই সমস্ত যুদ্ধে জয়ী করতে পারি যা আমাদের সামনে রয়েছে।'