তানভীরের ঘূর্ণির পর হৃদয়ের ক্যামিওতে জিতল কুমিল্লা

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সিলেট পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে উড়িয়ে দিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। মাত্র ৭২ রানে অল আউট করে দেয়ার পর ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতেছে তারা। ৪ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রামের ইনিংস গুঁড়িয়ে দিতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলাম। এরপর তাওহীদ হৃদয় ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে কুমিল্লা।
ছোটো লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রানখরায় ভুগতে থাকা লিটন দাস ব্যর্থ হয়েছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষেও। বিলাল খানের বলে কভারের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তানজিদ হাসান তামিমের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন মাত্র ২ রান করা লিটন। এরপর দ্রুত ফিরেছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনও। তিনি মাত্র ৫ রান করে আল আমিন হোসেনের বলে টম ব্রুসকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন।
এরপর উইকেটে এসেই দারুণ এক ক্যামিও খেলেছেন তাওহীদ হৃদয় ১৩ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলে দলকে বড় জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান এই ব্যাটার। ম্যাচের শেষদিকে তিনি জিয়াউর রহমানের ওপর চড়াও হয়েছিলেন। টানা দুই বলে ছক্কা ও চার হাঁকিয়েছিলেন তিনি। পরের বলে পুল করতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে তিনি ক্যাচ দেন নিহাদুজ্জামানকে। যদিও রিজওয়ান ও রেমন্ড রেইফার মিলে কুমিল্লাকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু পায়নি চট্টগ্রাম। তারা দলীয় ১ রানেই হারিয়েছে ওপেনার তানজিদ তামিমের উইকেট। বাঁহাতি এই ওপেনার। রেমন্ড রেইফারের ফুলার লেংথের ডেলিভারিতে এগিয়ে গিয়ে পাঞ্চ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে তাওহীদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।
এরপর আভিষ্কা ফার্নান্দোকে বেশিক্ষণ থিতু হতে দেননি তানভির ইসলাম। এই স্পিনারের লেংথ বলে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলে আভিষ্কা। তবে আউট সাইড এজ হয়ে প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো খুশদিল শাহর হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। এরপর আরেকটি উইকেট পেতে পারত কুমিল্লা।
আমির জামালের বলে পুল করতে চেয়েছিলেন শাহাদাত হোসেন দিপু। তবে ব্যাটে বলে হয়নি বল চলে যায় ডিপ থার্ড ম্যান অঞ্চলে। সেখানে সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করেন মুস্তাফিজুর রহমান। এরপর বাউন্ডারিও বাঁচাতে পারেননি। ৪ রানে জীবন পাওয়া দিপু পরের ওভারেই ব্যক্তিগত ৯ রানে তানভিরের বলে পুশ করতে গিয়ে কাভারে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে ক্যাচ দিয়েছেন।
ওভারের পঞ্চম বলে তানভির আউট করেছেন সৈকত আলীকে। তিনি তানভিরের ফুল লেংথের বলে আউট সাইড এজ হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন শূন্য রানে। তানভির নিজের শেষ ওভার করতে এসে এলবি ডব্লিউ করে আউট করেছেন ২৭ রান করা টম ব্রুসকে। মাত্র ৪৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছে চট্টগ্রাম।
জোড়া উইকেট নিয়ে চট্টগ্রামকে আরও বড় বিপদে ফেলেছেন আলিস আল ইসলাম। ১১তম ওভারে নিজের প্রথম বলে ১ রান করা নাজিবউল্লাহ জাদরান রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন। আর তৃতীয় বলে ওভার দ্য পিচ ডেলিভারিতে তিনি শর্ট কাভারে শূন্য রানে জিয়াউর রহমানকে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন শর্ট কাভারে লিটন দাসের হাতে।
আমির জামাল আউট করেছেন চট্টগ্রাম দলপতি শুভাগত হোমকে। মাত্র ৭ রান করে তিনি শর্ট কাভারে ক্যাচ দিয়েছেন লিটনকে। মুস্তাফিজুর রহমান নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে আউট করেছেন আল আমিন হোসেনকে। আর বিলাল খান রান আউট হলে চট্টগ্রাম অল আউট হয়ে যায়।