আইসিসির বর্ষসেরা কামিন্সকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সেরা মার্শ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা হচ্ছে না কামিন্স-হ্যাজেলউডেরও
৬ ফেব্রুয়ারি ২৫
পুরো বছরই বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন প্যাট কামিন্স। সেই সঙ্গে অধিনায়ক হিসেবে ২০২৩ সালে জিতেছেন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, অ্যাশেজ সিরিজ এবং সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এমন পারফরম্যান্সে কদিন আগেই আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পেয়েছেন কামিন্স। আইসিসিতে বছরসেরা ক্রিকেটার হলেও অস্ট্রেলিয়ায় মিচেল মার্শের সঙ্গে টেক্কা দিতে পারেননি তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ককে হারিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) বর্ষসেরা অ্যালান বোর্ডার পুরস্কার জিতেছেন মার্শ। যেখানে ৭৯ ভোটে কামিন্সকে হারিয়েছেন তারকা এই অলরাউন্ডার। এদিকে মেয়েদের ক্রিকেটে বর্ষসেরা নারী ক্রিকেটারের পুরস্কার পেয়েছেন অ্যাশলে গার্ডনার। টানা দ্বিতীয়বারের মতো এটি জিতলেন তিনি।

টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে দলে আগে থেকেই ছিলেন মার্শ। ২০২৩ সালে হওয়া অ্যাশেজ দিয়ে টেস্টেও ফেরেন পেস বোলিং এই অলরাউন্ডার। নিজের ফেরার ম্যাচেই হেডিংলিতে ১১৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। পুরো বছরে ৬ টেস্ট খেলে ৫৯৪ রান করেছেন মার্শ। শুধু টেস্টেই নয় বছরজুড়ে ওয়ানডেও দুর্দান্ত ছিলেন তিনি।
এক ভেন্যুতে খেলে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে ভারত: কামিন্স
২৫ ফেব্রুয়ারি ২৫
যেখানে ১১৩.৯৪ স্ট্রাইক রেট এবং ৪৭.৬৬ গড়ে ৮৫৮ রান করেছেন এই অজি অলরাউন্ডার। ওয়ানডে বিশ্বকাপেও ৪৪১ রান করেছেন মার্শ। বাংলাদেশের বিপক্ষে অপরাজিত ১৭৭ রানের ইনিংসও ছিল তার। এই সময়ে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন কামিন্সও। ৬৫ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ব্যাটিংয়ে করেছেন ৪২২ রান। তবুও মার্শের সঙ্গে পেরে উঠতে পারেননি অজি অধিনায়ক।
কামিন্সকে হারালেও অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ককে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন মার্শ। তারকা এই অলরাউন্ডার জানান, তিনি মোটা এবং বিয়ার খাওয়া পছন্দ করার পরও তার কাছ থেকে কামিন্স সেরাটা বের করে এনেছে। সেই সঙ্গে কামিন্স তার জীবন বদলে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
পদক গ্রহণ করার সময় মার্শ বলেন, ‘আমি কিছুটা মোটা, আমি বিয়ার খেতে বেশ পছন্দ করি। কিন্তু তুমি সর্বদা (প্যাট কামিন্স) আমার মাঝের সেরাটা বের করে নিয়ে এসেছ। তুমি আমার জীবন পরিবর্তন দিয়েছ। সবকিছু হয়েছে তোমার সাহায্য ও নেতৃত্বগুণে প্যাটি (কামিন্স)। তোমার নেতৃত্বে খেলা স্বপ্নের মতো।’
এদিকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো অস্ট্রেলিয়া বর্ষসেরা নারী ক্রিকেটারের পদক পেয়েছেন গার্ডনার। ব্যাটে-বলে পুরো বছরেই দারুণ ছন্দে ছিলেন তিনি। নারী অ্যাশেজে ব্যাট হাতে ১৬৫ রান করার সঙ্গে বোলিংয়ে নিয়েছিলেন ১২ উইকেট। যার ফলে অ্যাশেজ জিতে অস্ট্রেলিয়া। সতীর্থ অ্যালিস পেরিকে ১৩ ভোটে হারিয়ে বর্ষসেরা হয়েছেন গার্ডনার।