টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে আইপিএলই শেষ ভরসা চাহারের

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
কোহলির বেঙ্গালুরুর হয়ে ২০২৬ আইপিএলে খেলতে চান আমির
১৮ ঘন্টা আগে
অস্ট্রেলিয়া, সাউথ আফ্রিকা ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ভারতের টি-টোয়েন্টি সিরিজগুলো ছিল যেকোনো ভারতীয়র জন্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়ার বড় সুযোগ। কিন্তু সেই ১১টি ম্যাচের মাত্র একটিতে খেলেছেন দীপক চাহার। মূলত পারাবিরিক সমস্যার কারণে ম্যাচগুলোতে ছিলেন না তিনি। সামনে নেই কোনো টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ফলে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) পারফর্ম করে বিশ্বকাপ খেলতে চান এই পেসার।
চোটের কারণে সবশেষ দুই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলা হয়নি চাহারের। তাই সদ্য শেষ হওয়া সিরিজগুলো খেলে বিশ্বকাপ দলে ফিরতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু চাহারের বাবা ব্রেইন স্ট্রোক করে হাসপাতালে ভর্তি হলে সিরিজগুলো থেকে নিজের নাম সিরিয়ে নেন তিনি।

এদিকে বিশ্বকাপের আগে আর কোনো টি-টোয়েন্টি সিরিজ নেই ভারতের। তাই বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়া তার জন্য বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই দলে ফেরার জন্য চাহারের একমাত্র সুযোগ এখন আইপিএলে পারফর্ম করা। অবশ্য নিজের বাবার জন্য সিরিজগুলো হাতছাড়া হওয়ায় কোনো আক্ষেপ নেই ভারতীয় এই পেসারের।
চাহারের ভাষ্যমতে, 'আমার জন্য, আমার বাবা সবার আগে। আমি এখানে আসতে পেরেছি শুধুমাত্র তার জন্যই। আমি যা কিছু অর্জন করেছি তা আমার বাবার কারণেই। আমি যদি তার এমন পরিস্থিতিতে পাশে না থাকতে পারি। তাহলে আমি কেমন ছেলে? বাবার সঙ্গে থাকা একটি সহজ সিদ্ধান্ত ছিল। যেকোনো ছেলেই এটা করবে।'
২০২২ সালে বিশ্বকাপে খেলার বড় সুযোগ আসে চাহারের। কিন্তু আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলার সময় পিঠে চোট পেয়েছিলেন তিনি। রিজার্ভ ক্রিকেটারের হিসেবে দলে ছিলেন তিনি। কিন্তু চোট থেকে সেরে না উঠায় বিশ্বকাপে খেলা হয়নি তার। সেটা নিয়ে এখনো আক্ষেপ রয়েছে চাহারের। তবে এবার পারফর্ম করতে চান আইপিএলে এবং খেলতে চান বিশ্বকাপে।
মাঠে ফেরার ব্যাপারে চাহার বলেন, '(হাসপাতাল থেকে ফেরার পর) আমি ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (এনসিএ) গিয়েছিলাম। আমি আবার অনুশীলন শুরু করেছি এবং এখন আমি পুরোপুরি ফিট। সবকিছুই ভালো আছে। আমি আইপিএল এবং বিশ্বকাপের জন্য সত্যিই কঠোর অনুশীলন করেছি।'
এ সময় বিশ্বকাপ খেলার আক্ষেপ নিয়ে তিনি বলেন, 'ইনজুরির কারণে আমি দুটি (টি-টোয়েন্টি) বিশ্বকাপ মিস করেছি। যদি আমি পুরোপুরি ফিট থাকতাম, আমিও বিশ্বকাপ দলে থাকতাম। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী একজন বোলারের প্রয়োজন হয় যে ৭, ৮, ৯ নম্বরে ব্যাট করতে পারা। আমি সেটা করেছি এবং ভারতীয় দলের হয়ে রান করেছি।'