হেরেই চলেছে সিলেট, পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে চট্টগ্রাম

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশের প্রস্তুতির ঘাটতি ছিল, মানছেন সালাহউদ্দিনও
২৬ ফেব্রুয়ারি ২৫
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সিলেট পর্বের খেলায়ও সুবিধা করতে পারছে না 'হোম টিম' সিলেট স্ট্রাইকার্স। একটানা চার ম্যাচ হারল দলটি। এবার তাদের আট উইকেটে হারাল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। বিলাল খানের অসাধারণ বোলিংয়ের পর তানজিদ হাসান তামিম এবং টম ব্রুসের হাফ সেঞ্চুরিতে জিতেছে দলটি। পাঁচ ম্যাচে চার জয় নিয়ে বিপিএল পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেও উঠে গেল তারা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামের চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ২০ ওভারে চার উইকেটে ১৩৭ রান করেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। আল আমিন হোসেন- বিলাল খানদের অসাধারণ বোলিংয়ের সামনে এ দিন সুবিধা করতে পারেনি 'হোম টিম'।
গত ম্যাচেই ৯১ রানের অপরাজিত একটি ইনিংস খেলে ফরচুন বরিশালকে হারিয়েছেন আভিষ্কা ফার্নান্দো। কিন্তু লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সিলেটের বিপক্ষে সুবিধা করতে পারেননি এই শ্রীলঙ্কান। ১২ বলে ১৭ রান করে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে তানজিম হাসান সাকিবের বলে ফিরে গেছেন আভিষ্কা। সাকিবের শর্ট বলে ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ওপেনার।
২৩ রানে প্রথম উইকেট হারানোর টম ব্রুসের সঙ্গে ৮৯ রানের জুটি গড়েন তানজিদ হাসান তামিম। ৩৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। যদিও ৪০তম বলেই বোল্ড হয়ে ফিরে যেতে হয় তাকে। তিনটি চার ও দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে ৫০ রান করা তানজিদের অফ স্টাম্প ভাঙেন হ্যারি টেক্টর।

চট্টগ্রামকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন ব্রুস এবং শাহাদাত হোসেন দিপু। ৪১ বলে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকানো ব্রুস ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসটি ছিল তিনটি চার ও দুটি ছক্কায় সাজানো। দিপু অপরাজিত থাকেন ১১ বলে ১৩ রানে।
এর আগে টস জিতে এ দিন ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সিলেটের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। এই বিপিএলে এবারই প্রথম টস জিতে ব্যাটিং নিলো কোনো দল। যদিও ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সিলেটের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই মোহাম্মদ মিঠুন বোল্ড হয়ে ফিরে যান। এক রান করা মিঠুনকে বোল্ড করেন বিলাল খান।
ওমানের এই পেসার তিন বল পরই নাজমুল হোসেন শান্তকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন। সাত বলে পাঁচ রান করে ফিরে যেতে হয় শান্তকে। মাত্র আট রানে দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে সিলেট।
সেখান থেকে দলটিকে টেনে তোলেন হ্যারি টেক্টর এবং জাকির হাসান। পঞ্চাশ পেরুনো এই দুজনের জুটি ভেঙেছেন নিহাদুজ্জামান। নিহাদের টসড আপ ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপে নাজিবউল্লাহ জাদরানকে ক্যাচ দিয়েছেন ২৬ বলে ৩১ রান করা জাকির।
তারপর রায়ান বার্লকে সঙ্গে নিয়ে দলের রান বাড়াচ্ছিলেন টেক্টর। দুজনে মিলে গড়েন ৪০ রানের জুটি। এই জুটিও ভাঙেন বিলাল। তাকে ফ্লিক করতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ তুলে দেন টেক্টর। ৪২ বলে ৪৫ রান করে ফিরে যান এই আইরিশ ব্যাটার।
শেষদিকে রায়ান বার্লের ২৯ বলে ৩৪ এবং আরিফুল হকের ১২ বলে ১৭ রানের দুটি অপরাজিত ইনিংসে লড়াই করার মতো পুঁজি পায় সিলেট। চট্টগ্রামের হয়ে ২৪ রান খরচায় তিন উইকেট নেন বিলাল। নিহাদুজ্জামান ২৭ রান খরচায় নেন এক উইকেট। আল আমিন হোসেন চার ওভারে ২১ রান খরচা করলেও উইকেট পাননি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
সিলেট স্ট্রাইকার্স- ১৩৭/৪ (২০ ওভার) (টেক্টর ৪৫, বার্ল ৩৪*, জাকির ৩১; বিলাল ৩/২৪)
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স- ১৩৮/২ (১৭.৪ ওভার) (ব্রুস ৫১*, তানজিদ ৫০; সাকিব ১/১৯)