ব্যাটারদের দোষে হারিনি, আমরা রান দিয়ে হেরেছি: মিরাজ

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
‘সে ভীষণ বিপজ্জনক’, বুমরাহর স্ত্রীকে মিরাজ
২০ ফেব্রুয়ারি ২৫
বড় রান তাড়ায় আহমেদ শেহজাদ ঝড় তুললেও ধীরগতির ছিলেন তামিম ইকবাল। আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করতে হলেও ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক আউট হয়েছেন ৩০ বলে মাত্র ৩৩ রান করে। শেষ দিকে ঝড়ো ব্যাটিংয়ের বদলে মুশফিকুর রহিম করেছেন ২২ বলে ২৩ রান। তাদের এমন ব্যাটিংয়ের পরও বরিশাল হেরেছে মাত্র ১০ রানে। ম্যাচ হারের জন্য মেহেদী হাসান মিরাজ অবশ্য দায় দিচ্ছেন শেষ ৪ ওভারে ৬৪ রান দেয়া বোলারদের।
নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ১৮৮ রানের পুঁজি নিয়েও হারতে হয়েছিল বরিশালকে। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে হলেও খুলনা সেটা টপকে গেছে ২ ওভার বাকি থাকতেই। বরিশালের বোলাররা এভিন লুইস, এনামুল হক বিজয়দের সেভাবে চ্যালেঞ্জই জানাতে পারেননি। পরের ম্যাচে জয়ে খুব কাছে থাকলেও শেষ ওভারে ১৩ রান দিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে জিতিয়ে দেন খালেদ আহমেদ।

এদিন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে শুরুটা ভালো করলেও ডেথ ওভারে গিয়ে ছন্দ পতন হয় বরিশালের। কামরুল ইসলাম রাব্বি, আব্বাস আফ্রিদিদের এলোমেলো বোলিংয়ে শেষ ৪ ওভারে ৬৪ রান তোলেন কার্টিস ক্যাম্ফার ও আভিস্কা ফার্নান্দো। যার ফলে ১৯৩ রানের বড় পুঁজি পায় চট্টগ্রাম। সেই রান তাড়া করার খুব কাছে গেলেও শেষ পর্যন্ত ১০ রানে হারতে হয় বরিশালকে। ম্যাচ হারের জন্য তাই বোলারদের ওপরই দায় দিচ্ছেন মিরাজ।
এমন বিপিএলে বিদেশিরা কেউ বিনিয়োগ করবে না: মিজানুর
১১ ফেব্রুয়ারি ২৫
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মিরাজ বলেন, ‘আসলে পাওয়ার হিটিংয়ের জন্য যে আমরা হেরে যাচ্ছি এমন না। যে জিনিসটা কার্যকর করতে পারছি না সেটা হলো বোলাররা। ব্যাটাররা কিন্তু ওই রকম ভাবে খারাপ খেলছে না। মুশফিক ভাই দুটো ফিফটি করেছে, উপরের দিকে সৌ্ম্য সরকার ছোট ছোট অবদান রেখেছে। তামিম ভাই ভালো করছে।’
‘টি-টোয়েন্টি খেলায় বোলাররা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে শেষ ৫ ওভার খুব গুরুত্বপূর্ণ। যে ম্যাচগুলো আমরা হেরেছি বেশিরভাগ ম্যাচ রান দিয়ে হেরেছি, ব্যাটারদের দোষের জন্য হারিনি। টি-টোয়েন্টি খেলায় এমন কিছু সময় আসে যে বোলার শেষদিকে কতটুকু কার্যকর করতে পারে। কারণ শেষের দিকে তো বিপক্ষ ব্যাটাররা প্রতি বলেই মারতে চাইবে। হয়ত আমাদের বোলারদের এই অংশতে এক্সিকিউট করতে পারছি না সেভাবে ‘
প্রথম ৬ ওভারে ৬০ রান তুললেও সেটার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি বরিশাল। বরং মাঝের দিকে দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে তারা। সৌম্য সরকার, তামিম এবং মাহমুদউল্লাহ দ্রুতই ফিরলে রানের চাপ বাড়তে থাকে। শেষ দিকে ওভার প্রতি ১৪-১৫ রান প্রয়োজন ছিল বরিশাল। মিরাজ মনে করেন, ওভারপ্রতি ১০ কিংবা ১১ রান প্রয়োজন হলে সেটা তাদের জন্য সহজ হতো।
মিরাজ বলেন, ‘ওরা মাঝখানে দুটা ওভার ভালো বোলিং করেছে। ওখানে আমাদের তিনটা উইকেটে চলে গেছে। উইকেটও পড়েছে আমাদের রান-রেটও বেড়েছে। একটা সময়ে আমাদের ১৪ করে রান লাগতেছিল। ওটা যদি ১০/১১ বা কাছাকাছি থাকতো, তাহলে হয়তো আমাদের জন্য সহজ হত। আমরা ১০ রানে হেরেছি, একটা ওভার বেশি রান হতেই পারে। উইকেটটা ভালো। আমাদের ছোট-ছোট যে ভুলগুলো ছিল এ জন্য আমরা হেরে গেছি।’