আলিসের ঘুর্ণিতে সিলেটের হ্যাটট্রিক পরাজয়

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশের প্রস্তুতির ঘাটতি ছিল, মানছেন সালাহউদ্দিনও
২৬ ফেব্রুয়ারি ২৫
ঢাকা পর্বে টানা দুই ম্যাচ হেরে ব্যাকফুটে ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। সিলেট পর্বে ছন্দ খুঁজে পাওয়ার লক্ষ্যেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। কিন্তু ঘরের মাঠেও হোঁচট খেতে হল দলটিকে। কুমিল্লার বিপক্ষে ৫২ রানে হেরে আসরে টানা ৩ হারের স্বাদ পেল স্ট্রাইকার্স।
ঘরের মাঠে ১৩১ রানের মামুলি লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা সিলেটের ব্যাটিং অর্ডারে ধ্বস নামান আলিস আল ইসলাম। পাওয়ার প্লে'তে দারুণ বোলিং করে দুই উইকেট তুলে নেন তিনি। তা ছাড়া শুরুর ৬ ওভারে ৪ ব্যাটারকে হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় সিলেট।
রানের খাতা না খুলেই রান আউটে ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুন। একই ওভারে ৫ রানে নাজমুল হোসেন শান্তকে লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলেন আলিস। সামিত প্যাটেলকে ৪ রানে থাকাকালীন বোল্ড করেন ফোর্ড। এরপর ইয়াসিরকে আবার পাওয়ার প্লে'র শেষের দিকে বিদায় করেন আলিস।
৪ উইকেট হারিয়ে বসা সিলেটকে আরও বিপদে ফেলেন এই আলিসই। নিজের শেষ ওভারে জোড়া আঘাত হানেন সিলেট শিবিরে। বিদায় করেন কাটিং ও মাশরাফিকে। হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করে অবশ্য এই মাইলফলক তিনি ছুঁতে পারেননি।

৬ উইকেট হারিয়ে বসা সিলেট সেখান থেকে ম্যাচে ফিরতে লড়াই করে জাকির হাসান ও রায়ান বার্লের ব্যাটে। তবে নিজেদের মাঝে ৪০ রানের জুটি গড়লেও রস্টন চেজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ফেরেন বার্ল। এরপর পরই ফেরেন জাকির। ৪১ রানে জাকির ফিরলে সিলেটের পরাজয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। শেষ ব্যাটার হিসেবে এনগারাভাকে বিদায় করে কুমিল্লার জয় নিশ্চিত করেন চেজ।
বিপিএলে শাস্তি পেয়ে ডিপিএলে ২ ম্যাচ নিষিদ্ধ সাকিব
৩১ জানুয়ারি ২৫
কুমিল্লার ইনিংস-
এই ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা কুমিল্লাকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি ওপেনাররা। লিটন দাস মাত্র ৮ রান করে বেন কাটিংয়ের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে আউট হয়েছেন। এরপর অবশ্য রিভিউ নিয়েছিলেন তিনি। তবে রক্ষা হয়নি। এরপর কুমিল্লার ইনিংসের হাল ধরেন ইমরুল কায়েস ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। ইমরুল সবলীল থাকলেও রান পেতে শুরু থেকেই বেগ পেতে হয়েছে রিজওয়ানকে।
প্রথম ১০ বল খেলে ১ রান করেছিলেন তিনি। রেজাউর রহমান রাজার প্রথম ওভারে কুমিল্লার এই ওপেনার রানই নিতে পারেননি। রিজওয়ানকে ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে এজ বানিয়ে কট বিহাইন্ড করেছেন সামিত প্যাটেল। ১৬ বলে ১৪ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।
ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি ইনফর্ম ব্যাটার ইমরুল কায়েস। তিনি ২৮ বলে ৩০ রান করে প্যাটেলের দ্বিতীয় শিকার হয়েছেন। প্যাটেলের টসড আপ ডেলিভারিতে টপ এজ হয়ে কাভারে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ইমরুল। এরপর তাওহীদ হৃদয় ৯ রান করে রান আউট হয়ে ফিরেছেন।
রস্টন চেজকেও থিতু হতে দেননি প্যাটেল। এই ইংলিশ স্পিনারের ফুল লেংথের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন ২ রান করা চেজ। ষষ্ঠ উইকেটে দলের হাল ধরেন জাকের আলী অনিক ও খুশদিল শাহ। এই দুজনের ৩৯ রানের জুটি ভেঙেছেন জিম্বাবুইয়ান পেসার রিচার্ড এনগারাভা। দারুণ এক ইয়র্কারে খুশদিলের স্টাম্প গুঁড়িয়ে দিয়েছেন এনগারাভা। এরপর জাকেরকে সঙ্গ দিতে আসেন ম্যাথু ফোর্ড।
তাকে দ্রুত আউট করেছেন তানজিম হাসান সাকিব। সিলেটের এই পেসারের লেংথ বলে লং অন দিয়ে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন ফোর্ড। তবে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি তিনি। ধরা পড়েছেন রায়ান বার্লের হাতে। এরপর তানভির ইসলামকেও আউট করেছেন এনগারাভা। এক প্রান্ত আগলে রেখে কুমিল্লাকে ১৩০ রানের সংগ্রহ এনে দিয়েছেন জাকের। তিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ২৭ বলে ২৯ রান করে। কোনো রান না করেই অপরাজিত ছিলেন আলিস আল ইসলাম।