promotional_ad

রংপুরকে হারিয়ে খুলনার হ্যাটট্রিক জয়

ক্রিকফ্রেঞ্জি
promotional_ad

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট, সিলেট থেকে ||


আরো পড়ুন

দ্য হান্ড্রেডের ড্রাফটে বাংলাদেশের ২৯ ক্রিকেটার

৫ মার্চ ২৫
ফাইল ছবি

শেষ ১২ বলে রংপুর রাইডার্সের প্রয়োজন ছিল ৩৭ রান। মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রের করা প্রথম বলেই মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মারেন মোহাম্মদ নবি। তবে চতুর্থ বলেই আউট হয়েছেন তারকা এই ব্যাটার। গালিতে দাঁড়িয়ে আফিফ হোসেন ক্যাচ নিতেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায় খুলনা টাইগার্সের। রংপুরকে ২৮ রানে হারিয়ে হ্যাটট্রিক জয় তুলে নিলো এনামুল হক বিজয়ের দল।


মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। তারা দলীয় ৬ রানেই হারায় বাবর আজমের উইকেট। পাকিস্তানি এই ব্যাটার স্বদেশী ওয়াসিম জুনিয়রের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে আউট হয়েছেন। ওয়াসিমের করা গুড লেংথের বলে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন বাবর। তবে ব্যাটে লাগেনি। বল সোজা আঘাত হানে প্যাডে। আম্পায়ার আউট দিয়ে দেন। তবুও রিভিউ নিয়েছিলেন বাবর। তবে রক্ষা হয়নি। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বলের অল্প অংশ লেগ স্টাম্প স্পর্শ করেছে। পিচিং এবং ইম্পেক্ট দুটোই ছিল লাইনে। ফলে ফিরতে হয় বাবরকে।


এরপর বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি ব্রেন্ডন কিং। ফরচুন বরিশাল ও সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে রানের খাতাই খুলতে পারেননি কিং। খুলনার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক ডাকের শঙ্কা ওড়ালেও এক রান করে ফিরতে হয়েছে তাকে। মোহাম্মদ নাওয়াজের ফুলার লেংথের বলে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন তিনি। মাত্র ১১ রানে ২ উইকেট হারে ধুঁকছে রংপুর।


একপ্রান্ত আগলে রাখা রনি তালুকদারকে আউট করেছেন দাসুন শানাকা। লঙ্কান এই পেসারের বলে লং অফ দিয়ে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন রনি। সীমানায় থাকা মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ডাইভ দিয়ে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন। এরপর মোহাম্মদ নাওয়াজ আউট করেছেন দারুণ খেলতে থাকা শামীম পাটোয়ারিকে। ডিপ স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ নিয়েছেন নাহিদুল ইসলাম।


আজমতউল্লাহ ওমরজাই আউট হয়েছেন চড়াও হতে গিয়ে নাসুম আহমেদের ওপর। লং অফে তার দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন মেহেদী হাসান। দাসুন শানাকার ডিরেক্ট থ্রুতে রান আউট হয়েছেন ১ রান করা নুরুল হাসান সোহান। এদিন ৭ নম্বরে খেলতে নেমে ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব  আল হাসানও। তিনি শানাকার করা অফ স্টাম্পের বাইরের লাফিয়ে ওঠা বলে জায়গা করে খেলতে চেয়েছিলেন। তবে তা ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষক এনামুল হক বিজয়ের হাতে।



promotional_ad

রান তোলার চাপে দ্রুত আউট হয়েছেন শেখ মেহেদীও। শানাকার স্লোয়ার ডেলিভারিতে এক্সট্রা কভারের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সীমানার কাছে ক্যাচ দিয়েছেন ১২ রান করা এই ব্যাটার। একই ওভারে টানা দুই বলে দুই চার মারা রিপন মণ্ডলকেও ফিরিয়েছেন শানাকা। শেষ দিকে ৫০ রান করা নবিকে বিদায় করে খুলনার জয় নিশ্চিত করেন ওয়াসিম জুনিয়র। খুলনার হয়ে একাই চার উইকেট নিয়েছেন শানাকা।


আরো পড়ুন

সকালে এসে রাসেলদের দুপুরে ম্যাচ খেলাকে আদর্শ মনে করেন না আশরাফুল

৩ ফেব্রুয়ারি ২৫
রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলতে এসে ব্যর্থ আন্দ্রে রাসেল, ক্রিকফ্রেঞ্জি

এদিকে আগের ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়েছিলেন এনামুল হক বিজয় ও এভিন লুইস। তাদের দুজনের উদ্বোধনী জুটিতেই বাজিমাত করেছিল তারা। তবে এদিন তাদের জুটিই গড়তে দেননি শেখ মেহেদী হাসান। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের সুইংয়ে খানিকটা খাবি খাচ্ছিলেন বিজয়। পরের ওভারে রান তুলতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত দিয়ে গেলেন নিজের উইকেট।


মেহেদীর টসড আপ ডেলিভারিতে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মিড উইকেটে রনি তালুকদারের হাতে ধরা পড়েছেন ৭ বলে রানের খাতা খুলতে না পারা বিজয়। খুলনার অধিনায়ক ফিরলেও দ্রুত রান তুলতে থাকেন লুইস। তাকে অবশ্য সঙ্গ দিতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে মেহেদীর বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে ব্রেন্ডন কিংয়ের হাতে ধরা পড়েন। জয়ের ব্যাট থেকে এসেছে ৭ রান। 


চারে নেমে সুবিধা করতে পারেননি আফিফ হোসেনও। হাসান মাহমুদের লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তবে টপ এজ হলে নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে ধরা পড়তে হয় ৪ রান করা আফিফকে। ৫০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লুইসও। শুরু থেকে ঝড়ো ব্যাটিং করতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ব্যাটারকে হাসান সেঞ্চুরি করতে দেননি হাসান মাহমুদ।


ডানহাতি এই পেসারের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে এজ হয়ে সোহানের গ্লাভসে ধরা পড়েন ৩৭ রান করা লুইস। ৬৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর অবশ্য দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন শানাকা ও নওয়াজ। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৭৭ রান। শানাকাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন হাসান। ডানহাতি এই পেসারের ফুলটস ডেলিভারিতে স্কুপ করতে গিয়ে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন শ্রীলঙ্কার এই ব্যাটার। শানাকার ব্যাট থেকে এসেছে ৪০ রান।


শানাকা না পারলেও শেষ ওভারে গিয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন নওয়াজ। রিপন মণ্ডলের বলে ছক্কা মেরে ৩৩ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন তিনি। যদিও পরের বলেই আউট হয়েছেন পাকিস্তানের এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান তুলেছে খুলনা। রংপুরের হয়ে হাসান তিনটি এবং মেহেদী নিয়েছেন দুটি উইকেট। 



সংক্ষিপ্ত স্কোর:


খুলনা টাইগার্স-  ১৬০/৬ (২০ ওভার) (বিজয় ০, লুইস ৩৫*, জয় ৭, আফিফ, শানাকা ৪০, নওয়াজ ৫৫)


রংপুর রাইডার্স-  ১৩২/১০ (১৮.৪ ওভার) (রনি ১৫, বাবর ২, কিং ১, শামীম ৩০, নবি ৫০)



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball