সাকিবের চোখের সমস্যা নিয়ে বিসিবির বিবৃতি

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
দ্য হান্ড্রেডের ড্রাফটে বাংলাদেশের ২৯ ক্রিকেটার
৫ মার্চ ২৫
বেশ কিছুদিন ধরেই চোখের সমস্যায় ভুগছেন সাকিব আল হাসান। যে কারণে দেশে ও দেশের বাইরে গিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। এতদিন পুরো সমস্যাটা জানা না গেলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নিশ্চিত করেছে সাকিব বাম চোখে সেন্ট্রাল সেরাস কোরিওরেটিনোপ্যাথি সমস্যায় ভুগছেন। আপাতত বিসিবির পর্যবেক্ষণে থাকবেন তারকা এই ক্রিকেটার।
ভারত বিশ্বকাপ থেকেই চোখের সমস্যা বয়ে বেড়াচ্ছেন সাকিব। বিশ্বকাপ চলাকালীন চেন্নাইয়ে চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। দেশে আসার পরও ঢাকাতেও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছিলেন তিনি। এরপর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শুরুর আগে লন্ডনে গিয়েছিলেন। তাতেও অবশ্য সমস্যা দূর হয়নি। বিপিএলে ম্যাচ খেলার সময় আবারও সমস্যা দেখা দেয় সাকিবের চোখে।

যার ফলে বিপিএলের মাঝেই সিঙ্গাপুরের বিমান ধরেন তিনি। যেখানে পরীক্ষা শেষে দেশে ফেরার অপেক্ষায়। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর সাকিবের চোখের সমস্যা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিসিবি। যেখানে তারা নিশ্চিত করেছেন সাকিব সেন্ট্রাল সেরাস কোরিওরেটিনোপ্যাথি সমস্যায় ভুগছেন। এটি মূলত চোখের রেটিনার সমস্যা। মেকুলাতে সমস্যা হলে দৃষ্টিতে সমস্যা হয়ে থাকে।
কলকাতার নতুন সহকারী কোচ গিবসন
৮ মার্চ ২৫
জানা গেছে অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে মেকুলায় তরল জমা হয়েছে। যা সেন্ট্রাল সেরাস কোরিওরেটিনোপ্যাথি নামে পরিচিত। আপাতত বিসিবির অধীনে দেখভাল করা হবে সাকিবের চোখের সমস্যাটি। পর্যবেক্ষণ শেষে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান বিসিবির মেডিকেল বিভাগের প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরি।
বিসিবির বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘সাকিব বাম চোখের সুক্ষ্ম সমস্যায় ভুগছে। বাংলাদেশ ও বিদেশের চক্ষু বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করার পর ও একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার চোখে এক্সট্রাফোভাল সেন্ট্রাল সেরাস কোরিওরেটিনোপ্যাথি রোগের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। আপাতত তার সমস্যা পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এক্সট্রাফোভাল সেন্ট্রাল সেরাস কোরিওরেটিনোপ্যাথি এমন একটি অবস্থা যা চোখের রেটিনাকে প্রভাবিত করে। যা দৃষ্টিশক্তিতে ব্যাঘাত ঘটায়। সাকিবের ব্যাপারটি মেডিক্যাল দল গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে এবং কার্যকরভাবে এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে।’
এমন সমস্যা হলে তিন থেকে ছয় মাসের সময় লাগে সেরে উঠতে। তবে পুরোপুরি ঠিক হয়ে যাবেন এমন নিশ্চয়তা নেই। কারণ ৫০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে এটি আবার দেখা যায়। সাকিবের সেরে উঠতে অবশ্য কতদিন লাগবে সেটা জানায়নি বিসিবি। এদিকে দ্রুতই সেরে না উঠতে পারলে বিপিএলে নাও দেখা যেতে পারে তাকে। যদিও গুঞ্জন আছে নিজে ফিট বোধ করলে সিলেট পর্ব থেকেই খেলতে পারেন সাকিব।