কুমিল্লা নয় খুলনার কাছে হার বেশি কষ্ট দিচ্ছে হোয়াটমোরকে
ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
এমন বিপিএলে বিদেশিরা কেউ বিনিয়োগ করবে না: মিজানুর
১১ ফেব্রুয়ারি ২৫
১৮৮ রান করেও খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ২ ওভার বাকি থাকতেও হারতে হয়েছে ফরচুন বরিশালকে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ১৬১ রান করে তামিম ইকবালের দলের হার অবশ্য শেষ ওভারে গিয়ে। জয়ের সুযোগ থাকলেও সেটা লুফে নিতে পারেনি বরিশাল। কুমিল্লার কাছে শেষ ওভারে হারলেও খুলনার বিপক্ষে হার বেশি কষ্ট দিচ্ছে হোয়াটমোরকে।
খুলনার বিপক্ষে এবারের আসরে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ১৮৮ রানের পুঁজি পেয়েছিল বরিশাল। তবে এভিন লুইস এবং এনামুল বিজয়ের ব্যাটিং তাণ্ডবে পাত্তাই পায়নি তামিমের দল। খুলনার কাছে হারের ক্ষত না শুকাতেই আরও এক হার দেখতে হলো তাদের। মিরপুরে সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটের ওপর ভর করে ১৬১ রানের পুঁজি পেয়েছিল বরিশাল।
রাতের ম্যাচে স্বাভাবিকের তুলনায় রান খানিকটা কম হলেও জয়ের আশা ঠিকই জাগিয়েছিল তারা। বোলাররা বরিশালকে ম্যাচে রাখলেও ক্যাচ মিস ভুগিয়েছে তাদের। শেষ ওভারে কুমিল্লার ১৩ রান প্রয়োজন থাকলেও খানিকটা এগিয়ে ছিল বরিশালই। খুশদিল শাহকে আউট করলেও ম্যাথু ফোর্ডের কাছে বাউন্ডারি হজম করেন খালেদ আহমেদ।

এক বল বাকি থাকতে ১৩ রানের সমীকরণ মিলিয়ে এবারের আসরে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নেয় কুমিল্লা। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে শেষ ওভারে হারলেও হোয়াটমোরকে পোড়াচ্ছে খুলনার বিপক্ষে হার। বরিশালের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর মনে করেন, কুমিল্লার সঙ্গে তারা আরও কিছু রান করতে পারতো। তবে এই রানকে জেতার মতই বলছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে হোয়াটমোর বলেন, ‘৮ ম্যাচ হয়েছে, সব ম্যাচের আগে ব্যাট করা দল হেরেছে। ভেবেছিলাম আজ সেই ম্যাচ যেখানে আগে ব্যাট করা দল জিতবে। কিন্তু হলো না। এটা হতে পারত, আমরা কিছু ভুল করেছি। খালেদের জন্য কাজটা সহজ ছিল না। গতকাল তো ১৮৮ রান করেও জিততে পারলাম না। সিলেট ১৭৭ রান করেও চট্টগ্রামের কাছে হেরেছে। আমরা আরও ক’টা রান করতে পারতাম। তবে এই রানটাও জেতার মতোই ছিল।’
তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘তোমাকে তো অনেক হতাশ শোনাচ্ছে। তুমি কি হতাশ? কেন? আজ তো ভালো ম্যাচ হয়েছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে আমরা হেরে গেছি। এই দলটার যথেষ্ট সামর্থ্য আছে। একাদশ ঠিকঠাক ছিল। আমি মনে করি এখান থেকে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব। হেরে গেছি ব্যাপারটা দুর্ভাগ্যজনক। তবে ম্যাচটা দারুণ ছিল। গতকাল যে ম্যাচ হারলাম এটা বরং আমাকে বেশি কষ্ট দিয়েছে।’
প্রথম দুই ম্যাচে তামিমের সঙ্গে ওপেন করেছিলেন ইব্রাহিম জাদরান। যেখানে মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করেছিলেন সৌম্য। কুমিল্লার বিপক্ষে ইব্রাহিম না থাকায় ধারণা করা হচ্ছিলো হয়ত ওপেনিংয়ে দেখা যাবে সৌম্যকে। যদিও তামিমের সঙ্গে ইনিংসের গোড়াপত্তন করেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সৌম্যকে বাদ দিয়ে মিরাজকে ওপেন করার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন হোয়াটমোর।
তিনি বলেন, ‘সৌম্য ওপেন করতে পারত। এটা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। আমরা মিরাজকে খেলিয়েছি, তারও কিন্তু ওপেনিংয়ে অনেক সাফল্য আছে। সে আজ ভালো করেনি, এটা সে নিজেও মেনে নেবে। তবে আমরা তার সম্পর্কে জানি। তার সামর্থ্য আছে। ব্যাটিং অর্ডার বারবার পরিবর্তনের ভিকটিম সে, বিশেষ করে ওয়ানডে ফরম্যাটে। আমাদের তাই তাকে একটু সুযোগ দিতে হবে।’