প্রথম ৬ ওভারেই ম্যাচ হাত ছাড়া হয়ে গেছে: মিরাজ

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
‘সে ভীষণ বিপজ্জনক’, বুমরাহর স্ত্রীকে মিরাজ
২০ ফেব্রুয়ারি ২৫
পাওয়ার প্লে শেষে ৬ ওভারে খুলনা টাইগার্সের রান ৮৭। এভিন লুইস এবং এনামুল হক বিজয় মিলে ফরচুন বরিশালের বোলারদের ওপর রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছেন তারা দুজন। ১৮৯ রান তাড়া করতে নেমে খুলনা জয় পেয়েছে ২ ওভার বাকি থাকতেই। হারের ম্যাচ মেহেদী হাসান মিরাজ জানালেন, প্রথম ওভারেই ম্যাচ তাদের হাত ছাড়া হয়ে গেছে।
দিনের বেলা রান না হলেও রাতের ম্যাচে বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন ব্যাটাররা। ম্যাচের স্কোর কার্ডের দিকে তাকালে সেটা আরও স্পষ্ট। টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ঝড়ো ব্যাটিং করতে থাকেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। তাদের দুজনের ঝড় থামালেও আটকানো যায়নি মুশফিকুর রহিমকে। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের অপরাজিত ৬৮ রানের ইনিংসে ১৮৮ রানের পুঁজি পায় বরিশাল।

বড় লক্ষ্য তাড়ায় ভালো শুরুর বিকল্প শুরু ছিল না খুলনার সামনে। ইনিংসের শুরু থেকে খুলনার দুই ওপেনার যা শুরু করলেন তা একেবারে চোখে লেগে থাকার মতো। প্রথম ওভারে থেকেই বিজয় ও লুইস ছিলেন আক্রমণাত্বক। বরিশালের বোলাররা যেন বল ফেলার জায়গা খুঁজে পাচ্ছিলেন। খুলনার যেমন শুরুর প্রয়োজন ছিল ঠিক তেমনই এনেছিলেন তারা দুজন।
এমন বিপিএলে বিদেশিরা কেউ বিনিয়োগ করবে না: মিজানুর
১১ ফেব্রুয়ারি ২৫
২৪০.৯১ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করা লুইস ফেরার আগে করে গেছেন মাত্র ২২ বলে ৫৩ রান। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন বিজয়ও। তাদের দুজনের ব্যাটেই শেষ পর্যন্ত প্রথম ৬ ওভারে ৮৭ রান তোলে খুলনা। তাতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় বিজয়ের দল। মিরাজ মনে করেন, প্রথম ওভারেই তারা ম্যাচ হেরে গেছেন। ৮৭ রানের জায়গা ৬০ এর মাঝে রাখা গেলে শেষ পর্যন্ত লড়াই করা যেতো বলে জানান তিনি।
মিরাজ বলেন, ‘দেখুন, আমরা যে রান করেছিলাম অবশ্যই ডিফেন্ড করার মতোই রান ছিল। রান কম হয়েছে তা না। ১৮৮ রান করেও যদি হেরে যাই এটা বলতে পারি না যে রান কম হয়েছে। কিন্তু এটা জিনিস আমার কাছে মনে হয়েছে হয়ত ওদের ব্যাটাররা খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। বিশেষ করে প্রথম ৬ ওভার। ওইখানেই খেলা অনেকটা ওদের পক্ষে চলে গেছে। ওইখানে রানটা যদি ৬ ওভারে ৬০ এর ভেতরে রাখতে পারলেও খেলাটা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত যেতো। প্রথম ৬ ওভারেই খেলা আমাদের হাত ছাড়া হয়ে গেছে।’
পুরোটা সময় ভালো ব্যাটিং করলেও শেষ দুই ওভারে বরিশাল তুলতেছে পেরে ২২ রান। বল হাতে তুলনামূলক ভালো করেছিলেন ফাহিম আশরাফ ও মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। মিরাজ মনে করেন, শেষের দুই ওভারে আরও কিছু রান হলে দলের জন্য ভালো হতো। সেই সঙ্গে খুলনার বোলাররা যে ভালো করেছেন সেটারও কৃতিত্বও দিয়েছেন তিনি।
মিরাজ বলেন, ‘দেখুন, যেটা আপনি বলেছেন উইকেটে শিশির ছিল। আমি মনে করি আমাদের ব্যাটাররা ভালো ব্যাটিং করেছে। হয়ত শেষের দুই ওভারে যদি একটু আরও কয়েকটা রান বেশি হতো তাহলে আমাদের দলের জন্য ভালো হতো। কিন্তু ওদের দুজন বোলার শেষ দুই ওভারে ভালো বোলিং করেছে।’