খুলনার প্রথম, হোঁচট খেল চট্টগ্রাম

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
টুর্নামেন্টের শুরুটা হয়েছিল দাপুটে জয় দিয়ে। কিন্তু নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে বাস্তবতা দেখল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। খুলনা টাইগার্সের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে শুভাগত হোমের দল। ফলে আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জয়ের স্বাদ পেল এনামুল হক বিজয়ের দল।
১২২ রানের ছোট লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা খুলনা পাওয়ার প্লে'তেই হারিয়ে বসে ৩ ব্যাটারকে। এনামুল হক বিজয় ৯ ও আল আমিনের জোড়া শিকার হয়ে ফেরেন এভিন লুইস ও শাই হোপ। ৩২ রানে ৩ ব্যাটারকে হারালেও দলের পক্ষে হাল ধরেন আফিফ হোসেন ও মাহমুদুল হাসান জয়।
নিজেদের মধ্যে জুটি গড়ে দলকে ৫০'র ওপর নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে খুলনার পক্ষে লড়তে থাকেন। ৪৬ রানে জুটি গড়ে অবশ্য ২৬ রানে নিহাদউজ্জামানের শিকার হন আফিফ। খানিক পর হাবিবুর রহমান ফিরে যান ৩ রানে।

৫ উইকেট হারালেও একপ্রান্তে লড়াই চালিয়ে যান জয়। তাকে সঙ্গ দেন ফাহিম আশরাফ। দুজনের ব্যাটেই জয়ের পথে হাঁটছিল খুলনা। কিন্তু শেষের দিকে জয়কে ৩৯ রানে বিদায় করেন শহিদুল। তবে ফাহিম ও নাহিদুল মিলে ৪ উইকেট হাতে রেখে খুলনার জয় নিশ্চিত করেন।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি খুলনার। গেল ম্যাচে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেয়া আভিস্কা ফার্নান্ডো এই ম্যাচে দ্রুত ফিরেছেন সাজঘরে। তৃতীয় ওভার চলাকালীন নাহিদুল ইসলামের বলে স্টাম্পিং হয়ে ফেরেন তিনি। এর এক বল পরই ইমরানউজ্জামানকে রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ দেখান এই স্পিনার।
অবশ্য জোড়া উইকেট নিয়েও থেমে যাননি নাহিদুল। তৃতীয় শিকার হিসেবে পঞ্চম ওভারে তানজিদ তামিমকে লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন এই স্পিনার। ৩২ রানে ৩ উইকেট হারানো চট্টগ্রাম দিপু ও নাজিবউল্লাহর ব্যাটে লড়াইয়ের চেষ্টায় ছিল। গেল দিন শতরানের জুটি গড়লেও এদিন বেশিদূর দলকে নিতে পারেননি তারা।
দলীয় রান ৫০ পার হওয়ার পরই নাসুম আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে ৬ রানে। উইকেটে নেমে অধিনায়ক শুভাগত হোমও দলের জন্য বড় কিছু করতে পারেননি। ফাহিম আশরাফকে লাইনের বিপক্ষে খেলতে গিয়ে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফেরেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক।
ব্যাটারদের এমন আসা-যাওয়ার মিছিলে উইকেটে টিকতে পারেননি নাজিবউল্লাহও। নাহিদুলের চতুর্থ শিকার হয়ে ফেরেন এই আফগান। এর খানিক পর কার্টিস ক্যাম্ফারও ফেরেন ওশেন থমাসকে উইকেট নিয়ে। ফলে শঙ্কা জেগেছিল চট্টগ্রামের ১০০'র নীচে গুঁড়িয়ে যাওয়ার।
নীচের দিকে নেমে শহিদুল ইসলাম অবশ্য ঢাল হয়ে দাঁড়ান চট্টগ্রামের। ৩১ বলে ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংসে দলকে উদ্ধার করেন তিনি। ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় দলকে ১২১ রানে পৌঁছে দিয়ে আউট হন শহিদুল। ১২১ রানে গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম। ১২ রানে ৪ উইকেট নেন নাহিদুল।