বাজে বলের অপেক্ষায় ছিলেন দিপু

ছবি: বিপিএল

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশের প্রস্তুতির ঘাটতি ছিল, মানছেন সালাহউদ্দিনও
২৬ ফেব্রুয়ারি ২৫
সিলেট স্ট্রাইকার্সের ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় একের পর এক জীবন পেয়েছেন নাজিবউল্লাহ জাদরান ও শাহাদাত হোসেন দিপু। জীবন পেয়ে পূর্ণ ফায়দা তুলে নিয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন এই দুই ব্যাটার। দুজনই ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরিতে চট্টগ্রামের জয় নিশ্চিত করেছেন।
বিপিএল অভিষেকেই ম্যাচের দারুণ পারফর্ম করে নজর কেড়েছেন দিপু। তার সঙ্গে নাজিবউল্লাহর ৬৮ বলে ১২১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি ম্যাচের মোড়ই ঘুরিয়ে দিয়েছে। ম্যাচ শেষে দিপু জানিয়েছেন তাদের লক্ষ্য ছিল উইকেট ধরে রেখে জুটি বড় করা। সেই পরিকল্পনাতেই সফল হয়েছেন তারা।

এ প্রসঙ্গে দিপু বলেছেন, 'আমি তখন চেষ্টা করছিলাম পরিস্থিতি কী চাচ্ছে। ওই সময় আমাদের ২-৩টি উইকেট দ্রুত পড়ে গিয়েছিল। তখন একটা জুটি প্রয়োজন ছিল। তখন চাচ্ছিলাম আর যেন উইকেট না হারাই। কথা বলছিলাম, আমরা যদি ৩-৪টা ওভার ভালো খেলতে পারি তাহলে তারপরে দেখা যাবে।'
দিপুর ব্যাট থেকে এসেছে ৩৯ বলে অপরাজিত ৫৭ রানের ইনিংস। ইনিংস জুড়ে ৪টি চার ও ৪টি ছক্কা মেরেছেন এই তরুণ ব্যাটার। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটাই তাঁর প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। এর আগে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলে তার সর্বোচ্চ রান ছিল মাত্র ২১। দিপু জানিয়েছেন তার লক্ষ্য ছিল স্লটে বল পেলে বড় শট খেলা। সিলেটের বোলাররা তাকে সেই সুযোগই করে দিয়েছেন।
নিজের ব্যাটিং নিয়ে দিপু বলেন, 'আমি অপেক্ষা করছিলাম দুই তিনটি জোনে বল পেলে শটস খেলব। স্কয়ার লেগ দিয়ে বলেন, সোজা যেগুলো খেলেছি সেগুলো। আমি ওই জায়গাতে বল পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এই জায়গাতে বল করাতে আমার জন্য সুবিধা হয়েছে।'
সাধারণত লম্বা ফরম্যাটের ক্রিকেটার হিসেবেই দেখা হয় দিপুকে। তবে তিনি জানিয়েছেন সব ফরম্যাটের সঙ্গেই মানিয়ে নিতে নিজেকে তৈরি করেছেন। দিপু বলেন, 'ছোটোবেলা থেকে যখন ক্রিকেট শুরু করেছি যে ফরম্যাটেই খেলে টি-টোয়েন্টি বা ওয়ানডে আমি চিন্তা করতাম যে যেই ফরম্যাটেই খেলি যেন মানিয়ে নিতে পারি। পরিস্থিতি বা উইকেট কি চায় সেভাবেই নিজেকে তৈরি করার চেষ্টা করেছি।'