সালাহউদ্দিনের দলের সঙ্গে তুলনা করলে আমার দল কিছুই না: সুজন

ছবি: দুর্দান্ত ঢাকা

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ইফতিকে বলে রেখেছিলাম নিয়মিত বল করতে হবে: সুজন
৩ মার্চ ২৫
ছয় আসরে খেলে চারবারই চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বেশিরভাগ মৌসুমেই তারকা ঠাসা দল সাজিয়ে বাজিমাত করে তারা। তবে বিপিএলের এবারের আসরে উদ্বোধনী ম্যাচেই হোঁচট খেয়েছে মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের শিষ্যরা। কুমিল্লাকে হারালেও কুমিল্লার দল বিবেচনায় নিলে দুর্দান্ত ঢাকা কিছুই না বলে মনে করেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
স্কোয়াডে বড় তারকা থাকলেও বিভিন্ন লিগে খেলার কারণে এখনই আন্দ্রে রাসেল, সুনিল নারিন, মঈন আলীদের পাচ্ছে না কুমিল্লা। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের হয়ে খেলতে দেখা যাবে মোহাম্মদ রিজওয়ান, জনসন চার্লসদের মতো ক্রিকেটারদের। দেশি হিসেবে আছেন লিটন দাস, মুস্তাফিজুর রহমানরা।

কুমিল্লার সঙ্গে তুলনা করলে তারকাখ্যাতিতে অনেকটা পিছিয়ে ঢাকা। তাদের সবচেয়ে বড় তারকা দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। বিদেশি হিসেবে নেই তেমন কোনো বড় নাম। তারকা বিবেচনায় কতটা এগিয়ে কুমিল্লা সেটাই যেন মনে করিয়ে দিলেন সুজন। দুই কোচের লড়াইয়ে তিনি জানালেন, ক্রিকেটাররাই সব।
‘একার খুশির চেয়ে সবার খুশিটা হলে ভালো হতো’
১৯ ফেব্রুয়ারি ২৪
এ প্রসঙ্গে সুজন বলেন, ‘দিন শেষে খেলোয়াড়েরাই সব। আমার কাছে যদি ওই অস্ত্রই না থাকে তাহলে আমি লড়াই করতে পারব না সালাউদ্দিনের সঙ্গে। সালাউদ্দিনের দল যে হেভিওয়েট, ওটার সঙ্গে তুলনা করলে আমার দল দলই না। আমরা যতই কোচিং ভালো করি না করি খেলোয়াড়দের এক্সিকিউশন না থাকলে কোচদেরও দেখতে ভালো লাগবে না, তাই না? সব কথার শেষ কথা খেলোয়াড়েরা কেমন মাঠে পারফর্ম করছে।’
কাগজে-কলমে কুমিল্লাকে এগিয়ে রাখলেও সুজন মনে করেন, এদিন তারাই এগিয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আজকে ??ো কাগজে-কলমে শক্তিশালী না, আজকে তো মনে হয় আমরাই ছিলাম। নাম বিচারে অবশ্যই কুমিল্লা অনেক বড় নাম, চার বারের চ্যাম্পিয়ন। অবশ্যই, ওদের দলে এমন কিছু খেলোয়াড় আছে যারা নিজেরাই ম্যাচ উইনার। আমি মনে করি কাগজে কলমে আমরা শক্তিশালী ছিলাম।’
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ইমরুল কায়েসের হাফ সেঞ্চুরি ও তাওহীদ হৃদয়ের দারুণ ব্যাটিংয়ের পরও ১৪৩ রানের বেশি তুলতে পারেনি কুমিল্লা। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের অল্পতে আটকে দেয়ার কাজটা করেছেন তাসকিন ও শরিফুল। শেষ দুই ওভারে তারা দুজন মিলে নিয়েছেন ৫ উইকেট। ম্যাচ জয়ের জন্য তাই তাদের দুজনকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন সুজন।
ঢাকার প্রধান কোচ বলেন, ‘তাসকিন-শরিফুলকে অবশ্যই কৃতিত্ব দিতে হবে শেষ দুই ওভারে যেভাবে বোলিং করেছে, খেলাটাকে আটকে রেখেছে। আমি আশা করছিলাম হয়ত ১৫৫ কিংবা ১৬০ রান তাড়া করতে হবে। ওইখান থেকে ১৭ রান কম দেয়া বিরাট ব্যাপার। দুজনই আমার মেরুদণ্ড ঢাকার তারকা। তাসকিন-শরিফুলের এই পারফরম্যান্সটাই আমি চাই, তারা ঠিকঠাক দিয়েছে। হয়তবা আমাদের জন্য কাজ করার অনেক জায়গা আছে।’