‘এত পারিশ্রমিক বাড়তি চাপও বয়ে আনে’, স্টার্ক-কামিন্সদের উদ্দেশে মরিস

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে না খেলার কারণ খোলাসা করলেন স্টার্ক
২৭ ফেব্রুয়ারি ২৫
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) শেষবারের নিলামে রেকর্ডমূল্যে বিক্রি হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার দুই পেসার মিচেল স্টার্ক এবং প্যাট কামিন্স। যোগ্যতা অনুযায়ীই এতো পারিশ্রমিক পেয়েছেন তারা, এমনটাই বিশ্বাস ক্রিস মরিসের। স্টার্ক-কামিন্সদের আগে আইপিএলের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় ছিলেন সাউথ আফ্রিকার এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।
এবারের আইপিএল নিলামে কামিন্স ও স্টার্ক ছাপিয়ে গেছেন অতীতের সবকিছু। প্রথমে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ককে ২০ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে দলে নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সেই রেকর্ড ঘণ্টাখানেকও টিকেনি। ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে মিচেল স্টার্ককে দলে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স।
এই দুজনের পারিশ্রমিক দেখে এতদিন চুপ থাকলেও সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন মরিস, 'এটা দুর্দান্ত ব্যাপার। বিডিং তো আর আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ক্রিকেটের সঙ্গে যদি অন্য খেলাগুলোর তুলনা করুন, তাহলে এখন এটা দারুণ ব্যাপার যে খেলাটার সেরা তারকারা এখন এত অর্থ পাচ্ছে।

'এটা অসাধারণ ব্যাপার, তবে এত পারিশ্রমিক বাড়তি চাপও বয়ে আনে। অবশ্য সেই চাপ সামাল দেওয়ার সামর্থ্য তাদের আছে। সেটা আছে বলেই তাদেরকে এতটা টাকা দিয়ে দলে নেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে তারা দুর্দান্ত পারফর্ম করছে এবং তাদের চাহিদা তুঙ্গে।'
পরিসংখ্যান গুরুত্বপূর্ণ নয়, এগুলো বিশ্লেষণ করা আপনাদের কাজ: কোহলি
৫ মার্চ ২৫
আইপিএলে শুরু থেকেই চাহিদা ছিল মরিসের। ভালোমানের ডেথ বোলিংয়ের পাশাপাশি লোয়ার অর্ডারে নেমে চার-ছক্কা হাঁকানোর সামর্থ্য ছিল তার। ২০১৩ সালে যখন সর্বপ্রথম চেন্নাই সুপার কিংসের হাত ধরে আইপিএলে আসেন মরিস। সেবার তাকে ৬ লাখ ২৫ হাজার ডলারে দলে নেয় চেন্নাই।
এটা তার ভিত্তিমূল্যের ৩১ গুণ ছিল। অথচ সাউথ আফিকার হয়ে ততদিনে মাত্র একটি টি-টোয়েন্টি খেলেন তিনি। অবশ্য তার ঘরোয়া পারফরম্যান্সে নজর দেয় চেন্নাই। তারপর ২০১৬ সালের নিলামে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস তাকে দলে নেয় ৭ কোটি রুপিতে।
এরপর ২০২০ আসরের আইপিএল নিলামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু তাকে দলে ভেড়ায় ১০ কোটি রুপিতে। তারপর ২০২১ সালের নিলামে তিনি সবাইকে ছাড়িয়ে যান। ১৬ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে তাকে দলে নেয় রাজস্থান রয়্যালস, তিনিই ছিলেন স্টার্ক-কামিন্স আগে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া ক্রিকেটার। রাজস্থানের হয়ে সেই আইপিএলে ১১ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিতে পারেন তিনি। ওভারপ্রতি দেন ৯.১৭ রান। ব্যাট হাতে ৭ ইনিংসে করেন মাত্র ৬৭ রান।