সৌম্য জানতো পুরো দেশ তার বিপক্ষে ছিল: হাথুরুসিংহে

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সৌম্যকে ছোঁয়া হলো না নাইমের
৯ মার্চ ২৫
ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতে না পারায় সবশেষ দুবছরে নিয়মিত বিরতিতে জাতীয় দলে খেলেছেন সৌম্য সরকার। পারফর্ম করুক না আর করুক প্রতি দুই-তিন সিরিজ পর পর সৌম্যর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ফর্মে ফেরানোর আশায় সবশেষ এসিসি ইমার্জিং এশিয়া কাপে খেলানো হলেও প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি বাঁহাতি এই ওপেনার। তিন ম্যাচে সৌম্য করেছিলেন ৯৫ রান।
সবশেষ ডিপিএলেও করতে পারেননি বলার মতো কিছু। ১১ ইনিংসে ২৯৩ রান করেছিলেন। যেখানে একটি সেঞ্চুরিও আছে। অর্থাৎ একটি বাদে বাকি বেশিরভাগ ম্যাচেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। তবুও বিশ্বকাপ খেলার জোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল তার। তবে বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ড সিরিজে ব্যর্থ হওয়ায় কপাল পুড়ে সৌম্যর। নিউজিল্যান্ড সফরে খেলতে নামার আগের ১৬ ওয়ানডেতে সৌম্যর হাফ সেঞ্চুরি ছিল একটি।
এমন পারফরম্যান্সের পরও বারংবার জাতীয় দলে ডাক পাওয়ায় তাকে ঘিরে সমালোচনার বন্যা বইয়ে গেছে। প্রশ্ন উঠেছে চান্ডিকা হাথুরুসিংহের ভূমিকা নিয়েও। তবে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে অবশেষে নিজের ছন্দ খুঁজেছেন পেয়েছেন ৩০ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার। ১৬৯ রানের ইনিংস খেলার পাশাপাশি বল হাতেও কার্যকারিতা দেখিয়েছেন তিনি। কিউইদের বিপক্ষে ভালো করায় সৌম্যকে নিয়ে প্রশংসা করছেন সমর্থকরা। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে হাথুরুসিংহে মনে করিয়ে দিলেন, সৌম্য জানতেন পুরো দেশ তার বিপক্ষে ছিল।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান কোচ বলেন, ‘আমি না ও নিজেই নিজেকে ফিরিয়েছে। দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে এটা সৌম্যর জন্য ছিল ‘হয় মারও না হয় মরো’ এটা প্রমাণ করে সে মানসিকভাবে কতটা শক্তিশালী। সে জানতো পুরো দেশ তার বিপক্ষে ছিল। সে যদি ব্যর্থ্য হতো তাহলে কি হতো সেটা আমরা জানি না। আমরা যে কাজটা ভালো করেছি সেটা হলো আমরা তাকে বিশ্বাস করেছি, তাকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছি এবং পুরো দল তাকে সমর্থন দিয়েছে। তাতে মনে হয়ে সে ফর্ম ফিরে পেয়েছে।’
সৌম্যকে দলে ফেরানো নিয়ে সবসময়ই বড় ভূমিকা রেখেছেন হাথুরুসিংহে। টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে সেটির ব্যাখ্যাও দিয়েছেন খানিকটা। প্রথম দফায় হাথুরুংসিহে যখন বাংলাদেশের কোচ ছিলেন সেই সময় জাতীয় দলে অভিষেক হয় সৌম্য। পাকিস্তান, ভারত ও সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। চোখ ধাঁধানো সব শটে মুগ্ধ করা সৌম্য হারিয়ে যান হঠাৎই।
পুরনো সেইসব দিনের কথা ভুলেননি হাথুুরুসিংহে। বাংলাদেশের প্রধান কোচ জানান, তিনি সবসময় বিশ্বাস করতেন সৌম্য ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়ার মতো ইনিংস খেলার সামর্থ্য রাখে। নিজের ভূমিকা সম্পর্কে পরিষ্কার থাকলে এবং মাথা দুঃশ্চিন্তা মুক্ত থাকলে প্রত্যেক ক্রিকেটারই নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারে বলে মনে করেন হাথুরুসিংহে। সেই সঙ্গে সৌম্য যেভাবে পারফর্ম করেছে তাতে খুশি বলে জানান তিনি।
হাথুুরুসিংহে বলেন, ‘সে (সৌম্য) যেভাবে পারফর্ম করেছি তাতে আমি খুশি। আমি জানতাম সে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়ার মতো ইনিংস খেলার সামর্থ্য রাখে। আমি যখন এখানে ছিলাম তখন সে এটা করে দেখিয়েছে। আমরা সবাই বলি ক্লাস ইজ পারমানেন্ট, ফর্ম অনেক কিছুর কারণেই প্রভাবিত হয়।’
‘বিশেষ করে আপনার মাথায় কি চলছে। আপনার মাথা যদি পরিষ্কার থাকে, আপনি যদি আপনার ভূমিকা বুঝতে পারেন, পরিবেশের সঙ্গে কমফোর্টেবল থাকলে প্রত্যেক খেলোয়াড়ই তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারে। তার মাথাটা একেবারে পরিষ্কার, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সে পারফর্ম করতে না পারার মতো কোনো কারণ নেই।’