মিডিয়া কাভারেজ নিয়ে আক্ষেপ নেই, জ্যোতিদের ফোকাস ক্রিকেটে
ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
অনেক সময় মেয়ে ক্রিকেটারদের প্রতি অবিচার করা হয়: জ্যোতি
১৮ ফেব্রুয়ারি ২৫
মেয়েদের ক্রিকেটে বছরটা বলতে গেলে স্বপ্নের মতোই। ঘরের মাঠে ভারতের মতো দলের সঙ্গে ড্র করার পাশাপাশি ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে পাকিস্তানের সঙ্গে। দেশের বাইরে গিয়েও সাফল্য পেয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে দারুণভাবে লড়াই করেছেন বাংলাদেশের মেয়েরা।
টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে, দুই সিরিজেই জয়ের সম্ভাবনা ছিল তাদের। তবে শেষ পর্যন্ত হিসেব মেলাতে পারেনি তারা। যদিও প্রথমবারের মতো সাউথ আফ্রিকাকে তাদের মাটিতে টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডেতে হারিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এমন পারফরম্যান্স দেশে ২৫ ডিসেম্বর রাতে দেশে ফিরেছেন জ্যোতি-ফারজানা হক পিংকিরা।
প্রোটিয়াদের হারিয়ে দেশে ফিরলেও মেয়ে নিয়ে খুব বেশি আগ্রহ ছিল না মিডিয়ার। বিমানবন্দরে মেয়েদের জন্য অপেক্ষায় ছিল ক্রিকফ্রেঞ্জি ও সময় টিভি। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন জ্যোতি। সেখানে মিডিয়া কাভারেজ না পাওয়ায় আক্ষেপ নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। জ্যোতি মনে করেন, তাদের কাজ ক্রিকেট খেলা এবং সেটাতেই তারা ফোকাস করতে চান।

এ প্রসঙ্গে জ্যোতি বলেন, ‘আমাদের কাজ হচ্ছে ক্রিকেট খেলা আমরা সেখানে মনোযোগ দিতে চাই। এখন মিডিয়া কতটুুকু কাভার করলো, কেন করলো না, কেন আসলো না সেটা নিয়ে আমাদের কোনো আক্ষেপ নেই। কারণ এটা আমাদের কাজ না। সুতরাং যেটা আমাদের কাজ সেটা নিয়ে আমরা ফোকাস করতে চাই।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে মাহমুদউল্লাহর অবসর
১ ঘন্টা আগে
সাউথ আফ্রিকাকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। দ্বিতীয় ম্যাচটি ভেস্তে যায় বৃষ্টিতে। জ্যোতিদের সামনে সুযোগ ছিল সিরিজ জয়ের। তবে শেষ ম্যাচে প্রোটিয়াদের সঙ্গে পেরে উঠতে পারেনি। তাতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হয়েছে ১-১ ব্যবধানে।
ওয়ানডেতে সুযোগ পেলেও শেষ দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। সিরিজ জেতা না হলেও মেয়েদের পারফরম্যান্স নিয়ে খুশি জ্যোতি। বিশেষ করে ব্যাটারদের পারফরম্যান্স মন জয় করেছে বাংলাদেশের অধিনায়ক। জ্যোতি মনে করেন, সাউথ আফ্রিকা সফর ব্যাটারদের অনেক কিছু অর্জনের।
জ্যোতি বলেন, ‘অবশ্যই, দেখুন আমাদের জন্য বড় সুযোগ ছিল। তবুও দলের পারফরম্যান্সে আম?? হতাশ নই। কারণ সাউথ আফ্রিকার মাটিতে তাদের আমরা প্রথমবারের মতো হারিয়েছি। দ্বিতীয়ত হচ্ছে ধারাবাহিকভাবে দুইটা ম্যাচে দুইশর বেশি রান করেছি এটা কিন্তু দলের জন্য বড় অর্জন।’
‘এটা সবসময় দেখতাম যে আমাদের ব্যাটিংটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতো আমরা কেন রান করতে পারছি না কিংবা ব্যাটাররা কেন একটা ছন্দে আসছে না। আমার কাছে মনে ব্যাটারদের জন্য এই সফরে অন্তত অনেক কিছু অর্জনের ছিল।’