আমরা খাওয়াজার পাশে আছি: কামিন্স

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
কামিন্স-হেডদের ছাড়াই অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা
৪ জুন ২৫
ফিলিস্তিনে ইসরাইলের আগ্রাসন ও মানবিক সঙ্কট নিয়ে বরাবরই সোচ্চার উসমান খাওয়াজা। আইসিসির কাছে পার্থ টেস্টে বার্তা লেখা কেডস পরে খেলার অনুমতি না পেয়ে মেলবোর্ন টেস্টে শান্তির প্রতীক সম্বলিত কেডস পরার অনুমতি চেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এই ওপেনার। তবে এবারও অনুমতি দেয়া হলো না তাকে। এমন অবস্থায় অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে সঙ্গে পাচ্ছেন খাওয়াজা।
একটি ঘুঘু পাখির মুখে জলপাই সম্বলিত লোগোসহ কেডস পরে অস্ট্রেলিয়ার অনুশীলনেও নামেন খাওয়াজা। বৈশ্বিক মানবাধিকারের ওপর জোর দিয়েই আইসিসির কাছে অনুমতি প্রত্যাশা করেন তিনি। যদিও দ্বিতীয় দফায়ও তাকে নিরাশ করেছে আইসিসি।

ঘুঘু পাখির লোগো সম্বলিত জুতা ব্যবহারের জন্য ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের ছাড়পত্রও পেয়েছিলেন খাওয়াজা। যদিও আইসিসির যুক্তি, আইন অনুযায়ী এই ধরনের ব্যক্তিগত বার্তা প্রকাশ করা যাবে না পোশাকে।
ফাইনালে হারের ক্ষত ভুলে সামনে এগোতে চান হেড
৯ ঘন্টা আগে
অথচ অস্ট্রেলিয়ার আরেক ক্রিকেট মারনাস ল্যাবুশেন প্রতিনিয়তই তার ব্যাটের পেছন দিকে একটি ঈগলের প্রতীক ব্যবহার করেন। এটা মুলত তার ধর্ম অনুরাগের বহিঃপ্রকাশ। এটি দিয়ে তিনি মূলত তুলে ধরে বাইবেলের একটি পংক্তিকে। আইসিসি ল্যাবুশেনকে অনুমতি দিলেও খাওয়াজাকে বারবারই হতাশ করছে।
এই ব্যাপারে কামিন্স বলেন, 'সত্যি বলতে, কোনো পার্থক্য দেখছি না (খাওয়াজা ও লাবুশেনের বার্তায়)… (খাওয়াজার) আবেদনের বিস্তারিত সবকিছু আমি জানি না। তবে আমার তো মনে হয়, এটি একদমই সাধারণ, একটি ঘুঘু। আমরা সত্যিই উজির (খাওয়াজা) পাশে আছি। নিজের বিশ্বাসের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে সে এবং সেটা বেশ সম্মানজনকভাবেই তুলে ধরেছে সে।'
'অবশ্যই প্রতিটি জীবনই সমান মূল্যবান এবং এখানে আক্রমণাত্মক কিছু আছে বলে আমার মনে হয় না। এই ঘুঘু নিয়েও একই কথা বলব আমি। উজি (খাওয়াজা) এমনই… যেভাবে সে সবকিছু তুলে ধরেছে, অবশ্যই মাথা উঁচু রাখতে পারে সে। তবে আইন তো আইনই এবং আইসিসি বলেছে যে, তারা অনুমতি দিচ্ছে না। তারাই আইন তৈরি করে এবং তা মেনে নিতেই হবে আমাদের।
এদিকে খাওয়াজার প্রতি আইসিসির এমন আচরণে নড়েচড়ে বসেছে ক্রিকেট বিশ্ব। ইতোমধ্যে আইসিসিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার মাইকেল হোল্ডিং। দ্বিমুখী আচরণের জন্য আইসিসিকে ধুয়ে দিয়েছেন তিনি।