স্টার্কের কাছে সবার ওপরে এখনও টেস্ট

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বিগ ব্যাশে আসছে নতুন নিয়ম, একসঙ্গে আউট করা যাবে দুই ব্যাটারকে!
২৪ জানুয়ারি ২৫
জাতীয় দলের সঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ব্যস্ততার কারণে অনেক সময়ই বিপাকে পড়তে হয় ক্রিকেটারদের। পরিবারকে সময় দিতেও হিমসিম খেতে দেখা যায় অনেককে। অনেক ক্রিকেটার জাতীয় দলের স্বার্থ বাদ দিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটকেই ধ্যান জ্ঞান বানিয়ে ফেলেন।
এক্ষেত্রে ভিন্ন নজিরও আছে। মিচেল স্টার্কের কথাই ধরা যাক। জাতীয় দলকে বেশি সময় দিয়ে বেশ কয়েক বছরই ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলেননি অস্ট্রেলিয়ার এই পেসার। যদিও এবার নিলামে নাম দিয়েই রেকর্ড পৌনে ২৫ কোটি রুপিতে দল পেয়েছেন তিনি।
যদিও স্টার্ক জানিয়েছেন তার পছন্দের শীর্ষে এখনও টেস্ট ক্রিকেট। কদিন আগেই তিনি মন্তব্য করেছিলেন নিজের শরীর যতদিন সায় দিবে ততদিন টেস্ট ক্রিকেট খেলবেন। চলতি বছরও সাদা পোশাকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করেছেন এই অজি পেসার। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালসহ দেড় মাসের মধ্যে পাঁচটি টেস্টে খেলেছেন স্টার্ক।

এমনকি বিশ্বকাপের জন্যেও লম্বা সময় ভারতে থাকতে হয়েছে স্টার্ককে। ফলে পরিবারকেও সময় দিতে পারেননি। এদিকে স্টার্কের স্ত্রী অ্যালিস হিলি নিজেও অস্ট্রেলিয়া নারী দলের অধিনায়ক। ফলে উভয়ের জন্যই নিজেদের জন্য সময় বের করা খুব কঠিন। তাই আইপিএল না খেলে পরিবারের জন্য সময় বের করে, নিজেকে চাঙ্গা রাখতেন স্টার্ক। এ বছর তাকে ব্যস্তসময় কাটাতে দেখা যাবে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে না খেলার কারণ খোলাসা করলেন স্টার্ক
২৭ ফেব্রুয়ারি ২৫
নিজের পরিকল্পনা নিয়ে স্টার্ক বলেন, ‘লাল বলের ক্রিকেটই এখন পর্যন্ত আমার কাছে পছন্দের শীর্ষে। টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে আমার নিজের চাওয়ার আগে শরীরই আমাকে জানান দেবে (কখন থামতে হবে)। আগামী বছর একটু সুযোগ আছে (আইপিএল খেলার)।’
ব্যস্ত সূচি নিয়ে স্টার্ক আরও বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার এবারের শীত মৌসুমে খেলা খুব বেশি নেই। মার্চে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টের পর অস্ট্রেলিয়ান গ্রীষ্মের আগ পর্যন্ত (অক্টোবর) কোনো টেস্ট ম্যাচ নেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও আছে (আগামী জুনে)। আইপিএলে যে মানের ক্রিকেট হয়, তাতে বিশ্বকাপের পথে ভালোভাবে এগিয়ে যাওয়া যায়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সূচির দিক থেকে আগামী বছর ব্যস্ততা বেশ কম।’
আইপিএল ছাড়ার পর টেস্টে স্টার্কের উইকেটের গড়ও বেড়েছিল। যেখানে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ২৫ টেস্টে ম্যাচপ্রতি ৩.৬৪ উইকেট তুলেছিলেন। সেখানে আইপিএল ছাড়ার পর তার ম্যাচপ্রতি উইকেট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪.২৫তে। মূলত পরিবারকে সময় দিয়ে নিজেকে চাঙ্গা রাখার মাধ্যমেই জাতীয় দলের জন্য নিজেকে প্রস্তত করেন তিনি।
সেই রহস্য খোলাসা করে এই অজি পেসার বলেন, ‘যখনই আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে, সবসময়ই বলেছি যে, আমি প্রাধান্য দেই টেস্ট ক্রিকেটকে। ক্রিকেট থেকে দূরে থাকার ওই সময়টুকু অ্যালিসার সঙ্গে কাটিয়েছে, পরিবারিক সময় কাটিয়েছি এবং অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের জন্য নিজেকে তরতাজা করেছি ও ফিট রাখার চেষ্টা করেছি। কাজেই এটা নিয়ে আক্ষেপ নেই আমার।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমার ধারণা, এটা নিশ্চিতভাবেই টেস্ট ক্রিকেটে সহায়তা করেছে আমাকে। সবসময় বলেছি যে, এত টাকা পাওয়াটা অবশ্যই দারুণ ব্যাপার এবং এবার তা পাচ্ছি। তবে আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকেই সবসময়ই প্রাধান্য দিয়েছি এবং এটা আমার খেলার উন্নতি প্রভাব রেখেছে অবশ্যই।’