আফ্রিদিদের গতি কমে যাওয়ায় চিন্তিত ওয়াকার

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাদ পড়ার ‘ভয়ে’ বিরতি নিতে চাচ্ছেন বাবর-আফ্রিদিরা
২৮ ফেব্রুয়ারি ২৫
ক্রিকেটে পাকিস্তানের নাম মুখে আনলেই যেন সবার আগে মনের মাঝে উঁকি দেয় পেসারদের কথা। যুগে যুগে গতি আর সুইংয়ে বিশ্বের বাঘা বাঘা সব ব্যাটারদের নাকাল করেছেন তারকা সব পেসাররা। পাকিস্তান যেন ফাস্ট বোলারদের উর্বর ভূমি। অথচ সেই পাকিস্তানই কিনা পেস বোলিংয়ে প্রত্যাশা মেটাতে পারছেন না সাবেক ক্রিকেটারদের। শাহীন শাহ আফ্রিদিদের গতি চিন্তিত করে তুলেছে ওয়াকার ইউনিসকে।
দারুণ লেংথের সঙ্গে গতিময় বোলিংয়ের জন্য প্রায় বিশ্ব জুড়েই পরিচিত নাসিম শাহ-হারিস রউফরা। চোটের কারণে অস্ট্রেলিয়া সফরে নেই নাসিম। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কথা বলে বিগ ব্যাশ খেলে বেড়ানো হারিসকেও পাচ্ছে না পাকিস্তান। সেরা একাদশের একমাত্র পেসার হিসেবে অস্ট্রেলিয়া সফরে পাকিস্তানের শাহীন আফ্রিদি। তাদের দুজনের তুলনায় বাঁহাতি এই পেসারের গতি তুলনামূলক কমই।

অস্ট্রেলিয়ার পেস এবং বাউন্সি কন্ডিশনে পেসাররা ব্যাটারদের নাভিশ্বাস তুলবেন এটা অবধারিত এক রীতিই বলা যায়। সদ্য শেষ হওয়া পার্থ টেস্টে পাকিস্তান বোলারদের মাঝে চিরচেনা সেই গতির দেখাই মেলেনি। টেনেটুনে ১৪০ কি.মি. প্রতি ঘণ্টা গতিতে বল করেছে তারা। সেটার দেখাও মিলেছে খুব কমই। এই বিষয়টি চিন্তিত করে তুলেছে ওয়াকারকে।
‘টাকার জন্য ওয়াসিম-ওয়াকাররা সব করতে পারে’, দাবি রশিদের
৮ মার্চ ২৫
ইএসপিএন ক্রিকইনফোর ‘রাউন্ড দ্য উইকেট’ শোতে পাকিস্তানের পেসারদের গতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ওয়াকার বলেন, ‘একটি বিষয় নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন, যেটা হলো যখন আমরা অস্ট্রেলিয়ায় আসি, ফাস্ট বোলিং নিয়ে সব সময়ই রোমাঞ্চিত থাকি। এবার এমন কিছু দেখছি না। আমি দেখছি, মিডিয়াম পেসার, স্লো-মিডিয়াম পেসার, অলরাউন্ডার। প্রকৃত গতিময় কোনো বোলার নেই। মানুষ দেখতে আসে পাকিস্তান পেসাররা দ্রুত গতিতে দৌড়ে আসছে এবং ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করছে। এবার সেটা দেখছি না।’
‘এটাই আমার কাছে চিন্তার বিষয়। কারণ, ঘরোয়া ক্রিকেটেও গতিময় বোলার দেখি না। আমি বুঝতে পারি, কয়েকজন চোটে বাইরে আছে। কিন্তু অতীতে তাকালে দেখবেন, ফাস্ট বোলারে সমৃদ্ধ ছিল পাকিস্তান। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এখন সেটা নেই এবং বিষয়টি নিয়ে আমি সত্যিই অনেক চিন্তিত।’
দলের সেরা ও অভিজ্ঞ পেসার হওয়ায় শাহীন আফ্রিদির ওপর দায়িত্বটা একটু বেশি। তবে পার্থ টেস্টে সেটা পালন করতে পারেননি একদমই। দুই ইনিংসে বাঁহাতি এই পেসারের শিকার মাত্র দুই উইকেট। গতি আর সুইংয়েও সমর্থকদের মন ভরাতে পারেননি শাহীন আফ্রিদি। নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিতে গিয়ে সমস্যা থাকলে শাহীন আফ্রিদিকে খেলা থেকে বিরতি নেয়ার পরামর্শও দিয়েছেন ওয়াকার।
আফ্রিদিকে নিয়ে সাবেক এই পেসার বলেন, ‘আমি জানি না তার সমস্যাটা কী। যদি সে ফিট না থাকে, যদি তার কিছু সমস্যা থাকে তাহলে তাকে খেলা থেকে দূরে থাকতে হবে এবং সমস্যার সামাধান করতে হবে। কারণ, সে এই অবস্থায় খেলা চালিয়ে গেলে ভবিষ্যতে একজন মিডিয়াম পেসার হয়ে উঠবে। সে ১৪৫-১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করত এবং বল সুইং করাত। এখন কিছুটা সুইং আছে, কিন্তু তার গতি অনেক কমে গেছে। যে কারণে সে খুব বেশি উইকেট পাচ্ছে না।’