promotional_ad

‘দেশের মানুষ অনেক আবেগী, তাদের খুশি করা কঠিন’

ক্রিকফ্রেঞ্জি
promotional_ad

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||


আরো পড়ুন

ডিপিএল থেকে নিজের নাম সরিয়ে নিলেন সাকিব

১০ ঘন্টা আগে
রূপগঞ্জের জার্সিতে মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসান

সাকিব আল হাসানকে বলা হয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার। এটা নিয়ে বোধহয় খুব বেশি তর্ক করার সুযোগও নেই। রেকর্ড, পরিসংখ্যান, মাঠের ক্রিকেটে সবাইকে ছাপিয়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য এক উচ্চতায়। বাংলাদেশের ক্রিকেটের পোস্টারবয় তো বটেই বিশ্ব ক্রিকেটেরই তারকা সাকিব। ২০০৬ সাল থেকে মাঠের ক্রিকেটে দাপিয়ে বেড়ানো সাকিবের এবারের বিচরণ রাজনীতির মাঠে।


ক্রিকেট ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় এসে আওয়ামী লীগের সঙ্গে রাজনীতির ময়দানে নেমেছেন। ক্যারিয়ারের পুরোটা সময়ই খ্যাতির বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে সাকিবকে। অথচ জাতীয় নির্বাচনে নেমে সেই সাকিবই যাচ্ছেন মানুষের কাছে। মিছিল, মিটিং, জনগণের দুয়ারে যাওয়া যেন সাকিবের প্রতি ম্যাচে মাঠে নামার মতো। জীবনের নতুন ইনিংসটা উপভোগও করছেন মাগুরা-১ আসনের নৌকার প্রার্থী সাকিব।


রাজনীতি মিছিল, মিটিংয়ের ব্যস্ততার ফাঁকে ক্রিকফ্রেঞ্জিকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ক্রিকফ্রেঞ্জির প্রতিনিধি তাসফিক পলক’র সঙ্গে আলাপকালে শুনিয়েছেন মাগুরার উন্নয়নের রূপরেখা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, মাশরাফি বিন মুর্তজার পরামর্শের ইতিবৃত্ত এবং ছোট বেলায় মাটির ব্যাংকে টাকা জমানোর গল্পও।


ক্রিকফ্রেঞ্জি- ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক, রাজনীতিতে কদিন আগেই অভিষেক হলো। ক্রিকেটের অভিষেকের অনুভূতিটা নিশ্চই অন্যরকম ছিল। রাজনীতি অভিষেকও কী ক্রিকেটের মতোই?


সাকিব আল হাসান- না, ক্রিকেটের অনুভূতিটা এক রকম ছিল, রাজনীতিরটা আরেক রকম। এখন দুটো জিনিসের সময়েরও পার্থক্য ছিল। যখন জাতীয় দলে সুযোগ পাই, তখন আমার বয়স ছিল ১৯ কিংবা ২০ বছর। স্বাভাবিকভাবেই অনুভূতিটা একটু আলাদা হবে। এই বয়সে আমি ক্রিকেটে আসলেও অনুভূতিটা অন্য রকম হতো। সে কারণে আমি বলব না এটা অস্বাভাবিক কিছু। এখন একটা বয়স হয়েছে। অভিজ্ঞতার একটা জায়গায় এসেছি। অনেক কিছু দেখে ফেলেছি। স্বাভাবিকভাবে এই জায়গায় অন্যভাবে মানুষের অনুভূতি কাজ করে।


ক্রিকফ্রেঞ্জি- বাংলাদেশকে লম্বা সময় নেতৃত্ব দিয়েছেন। এবার জনগনের নেতা হলেন। কোনটা বেশি উপভোগ করেন?


সাকিব- আমি তো সবকিছুই উপভোগ করি। দুটোই উপভোগ করি।


ক্রিকফ্রেঞ্জি: নেতা সাকিবের অনুভূতিটা একটু আলাদা কিনা...


সাকিব- না, দুইটা দুই দিক থেকে ভালো লাগার জায়গা। কিন্তু কোনোটাই কম না।


ক্রিকফ্রেঞ্জি: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে মাগুরার নৌকা তুলে দিয়েছেন। মাঝি হিসেবে এই নৌকাটাকে আপনি কীভাবে সাজাতে চান?



promotional_ad

সাকিব- এই মুহূর্তে অনেক কিছুই করার আছে। তিনটা গুরুত্বপূর্ণ দিক আছে যেখানে কাজ করার অনেক কিছু আছে। হয়ত এটা করতে পারলে বাকিগুলো এমনিতেই হয়ে যাবে। সেটা হচ্ছে আমাদের কৃষি, চিকিৎসা, শিক্ষা। এই তিন জায়গায় কাজ করার অনেক কিছু আছে। সাথে সাথে যেহেতু এখন আইটির যুগ চলে এসেছে। সারা পৃথিবীতে এটার একটা জাগরণ হয়েছে আমি বলব। রেভ্যুলেশন বলতে পারেন। সব জায়গায় আইটি, আইটি, আইটি... তো ওরকম ভালো কিছু করা গেলে... পুরো মাগুরাকে ফ্রি ওয়াই-ফাই জোনের মধ্যে নিয়ে আসলে দেখা যাবে ঘরের মধ্যেই আয় করার একটা সুযোগ আসবে। জব তৈরি করাটা একটা চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। তো এভাবে অনেক জব তৈরি করা সম্ভব।


আরো পড়ুন

মাহমুদউল্লাহর ফিটনেস দেখে একাদশ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ

৬ ঘন্টা আগে
অনুশীলনে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আইসিসি


ক্রিকফ্রেঞ্জি - ২০০৯ সালে প্রথমবার আপনি নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার হন। এবার রাজনীতিতে এলেন, এখানেও নাম্বার ওয়ান হিসেবে দেখবেন কিনা।


সাকিব- ইচ্ছা তো আছে ভালো কিছু করার। আসলে রাজনীতিতে এক নম্বর হওয়ার যে কোনও মানদণ্ড আছে সেটা আমি জানি না। মানুষকে খুশি রাখাও অনেক কষ্ট। বিশেষ করে আমাদের দেশে সবাই অনেক আবেগী... তাদের মন ধরে রাখাটা অনেক কষ্ট। ছোট ছোট কারণে অনেক বেশি মন খারাপ করে ফেলে আমাদের দেশে। তো এখান থেকে আসলে জায়গাটা অনেক চ্যালেঞ্জিং। তো ওই চ্যালেঞ্জ নিতে আমি প্রস্তুত আছি।


ক্রিকফ্রেঞ্জি - আপনি বলেছেন প্রধানমন্ত্রী আপনার রাজনীতিতে আসার আইডল। তার সঙ্গে আপনার প্রায়শই কথাও হয়। উনার কোন পরামর্শগুলো মাগুরার উন্নয়নে কাজে লাগাবেন?


সাকিব- উনার দেয়া সব পরামর্শই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আসলে এতো দিন ধরে রাষ্ট্র পরিচালনার একটা অভিজ্ঞতা, এতো বছর রাজনৈতিক একজন ব্যক্তিত্ব হিসেবে থাকা। তার জন্মের পর থেকেই সে রাজনীতি দেখে আসছে...তার প্রতিটি কথাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং অর্থবহ হয়। সুতরাং প্রতিটি কথাই আমার জন্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং আমি চেষ্টা করি সেইগুলোকে অনুসরণ করার।


ক্রিকফ্রেঞ্জি: জিতে গেলে হয়ত এমপি থেকে মন্ত্রীও হতে পারেন। ভবিষ্যতে আপনাকে কী দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখা যেতে পারে?


সাকিব- না, এখনও আসলে ওভাবে কখনো চিন্তা করা হয়নি। যেহেতু রাজনীতিতে মাত্র আসলাম প্রথমে অ আ পড়ি, এরপর ক খ পড়ব। তারপর আস্তে আস্তে এ বি সি ডি, ১ ২ ৩ ৪ সব পড়ার চেষ্টা করব। তবে এখন পর্যন্ত আসলে ওরকম কোনও চিন্তা নেই। এখন একটাই চিন্তা ৭ তারিখ নির্বাচন উপলক্ষে সুন্দরভাবে কীভাবে ক্যাম্পেইনটা শেষ করা যায়। ‍


ক্রিকফ্রেঞ্জি - নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে আপনার সম্পর্কটা বেশ ভালো। উনি অনেক দিন ধরেই এমপি হিসেবে আছেন। আপনার এক সময়ের সতীর্থ মাশরাফি বিন মুর্তজাও এমপি। রাজনীতিতে আসার আগে তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে? তারা কী পরামর্শ দিয়েছে..


সাকিব- হ্যাঁ, এখনও নিয়মিতই তাদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। শুধু আগে হয়নি, এখনও হচ্ছে। তারা বিভিন্ন ভালো ভালো পরামর্শ দিচ্ছেন। আমি দেখতে পাচ্ছি যেটা আমাকে অনেক সাহায্য করছে। এই নতুন পথ চলাতে।


ক্রিকফ্রেঞ্জি- কদিন আগে আপনার ছোটবেলার কোচ গোর্কি ভাইয়ের ইন্টারভিউ করেছিলাম। উনি বলেছেন যে আপনি ছোটবেলা থেকে টাকা জমাতে পছন্দ করতেন। এখনও সেই নেশাটা আছে?



সাকিব- এখন আর জমাতে পছন্দ করি না। আগে জমাতে পছন্দ করতাম। আমার মাটির ব্যাংক ছিল, সেখানে টাকা রাখতাম। এখন আসলে টাকা জমাতে পছন্দ করি না।


ক্রিকফ্রেঞ্জি- জনগনের পেছনে নিশ্চই খরচ করবেন ?


সাকিব- জনগণের পেছনে টাকা খরচ করাটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। জনগণ কিন্তু এই জিনিসগুলো এত চায় না। আমরা হয়ত ভাবি যে জনগণ টাকা চায়। জনগণ চায় শান্তি, তারা চায় তাদের যে মৌলিক অধিকার গুলো আছে সেগুলো যেন তারা পায়। শিক্ষা, চিকিৎসা, খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান। বাসস্থান নিয়ে কোনো সমস্যা নেই, কেননা বাংলাদেশে গৃহহীন মানুষ নেই। বস্ত্রের সমস্যা আমি খুব একটা দেখি না। খাদ্যেও ওরকম কোনো... যদিও খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আমি দেখি না যে খাদ্যের ওরকম কোনো সমস্যা হচ্ছে। যেটা আছে যে শিক্ষা, চিকিৎসা আর নিরাপত্তা। এই তিনটা জিনিস যদি ভালোভাবে মানুষকে দেয়া যায় তাহলেই তারা অনেক খুশি থাকে।


প্রশ্ন- আপনি মাগুরার ফয়সাল ছিলেন...এরপর বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান হয়েছেন। তারকাখ্যাতির যে বিড়ম্বনা সেটা থাকার জন্য হয়ত আপনি মানুষের সঙ্গে মিশতে পারেননি। রাজনীতি করতে এসে তার উল্টোটা করতে হচ্ছে। এই বিষয়টা আপনি কীভাবে দেখছেন?


সাকিব- এই বিষয়টাকে আমি আসলে কোনোভাবেই দেখছি না। একটা জিনিস হচ্ছে যে ক্রিকেট মাঠে যখন আমি ছিলাম... আমার কখনো মানুষের কাছে যেতে হয়নি। আমার ওই প্রয়োজনটা ছিল না। একদম সাধারণভাবে বললে মানুষের সাথে আমার মেশারও কিছু ছিল না। আমি ওরকম বাইরে ঘোরার অপশনও কখনো দেখিনি। আর রাজনীতিতে যেটা, সেটা হচ্ছে আপনার মানুষের কাছে যেতে হবে, তাদের আস্থা অর্জন করতে হবে, তাদের জন্য কাজ করতে হবে...স্বাভাবিকভাবে একটা ভিন্ন জায়গা। একেবারেই আলদা জায়গা। এখানে একটার সাথে একটা তুলনা করা একেবারেই বোকামি বলে আমি মনে করি।


ক্রিকফ্রেঞ্জি- আপনি যেহেতু ক্রিকেটের মানুষ... ক্রিকেটটা চলেই আসে। আইপিএলে এবার মুস্তাফিজুর রহমান সুযোগ পেয়েছেন চেন্নাই সুপার কিংসে। একাদশে তার সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা কতটুুকু দেখেন...


সাকিব- ভাই, আমি জানিই না যে ওদের দলে কে কে আছে.. কম্বিনেশন কী হবে। আমার তো বিচার করা দরকার নেই আসলে। আমি চাই ও (মুস্তাফিজ) সবগুলো ম্যাচ খেলুক এবং ভালো করুক।


ক্রিকফ্রেঞ্জি: নিলামে তিনজন নাম দিলেও শেষ মুহুর্তে বিসিবি তাসকিন ও শরিফুলের নাম সরিয়ে নেয়। সুযোগ আসলেও বিসিবির চাওয়াতে যাওয়া হচ্ছে না। তাতে তো সেই ক্রিকেটারদের ক্ষতি হচ্ছে। বিসিবির দায় কতটা দেখছেন?


সাকিব- এটা আসলে বিসিবির সিদ্ধান্ত। বিসিবি যেটা ভালো মনে করবে। আমাদের অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচ আছে। তো বিসিবি সেই ভাবনা থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখানে আসলে আমার মন্তব্য করাটা ঠিক হবে না।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball