হাল না ছেড়ে আইসিসির সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাবেন খাওয়াজা

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
লঙ্কানদের গুঁড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড গড়া জয়
১ ফেব্রুয়ারি ২৫
আইসিসির চাওয়ায় জুতায় টেপ লাগিয়ে মানবাধিকারের স্লোগান মুছে দেন উসমান খাওয়াজা। যদিও পরবর্তীতে ‘কালো আর্মব্যান্ড’ পড়ে পার্থ টেস্ট খেলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি এই ওপেনার। বক্সিং ডে টেস্টে সেটিও না পড়তে রাজি হয়েছেন তিনি। তবে এখনই হাল ছাড়ছেন না খাওয়াজা। বরং ‘ন্যায্য দাবি’র কথা বলে আইসিসির সঙ্গে লড়ে যেতে চান অজি এই ক্রিকেটার।
পার্থে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে বিশেষ এক জোড়া জুতা (বার্তা সম্বলিত) পায়ে খেলতে চেয়েছিলেন খাওয়াজা। তার জুতায় লেখা ছিল ‘স্বাধীনতা একটি মানবাধিকার, প্রতিটি জীবনের মূল্য সমান’। এই লেখা নিয়ে খাওয়াজা অস্ট্রেলিয়ার একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, তিনি কোনো প্রতিবাদ করছেন না। তিনি শুধু মানবাধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন।
যদিও আইসিসি মানা করায় এবার আর সেই জুতা পরে খেলা হচ্ছে না অস্ট্রেলিয়ার এই ওপেনারের। মূলত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনে 'বার্তা সম্বলিত' জুতা পড়তে চেয়েছিলেন তিনি। সেই জুতা পড়ে খেলতে না পারলেও পার্থে সেদিন ‘কালো আর্মব্যান্ড’ পড়ে নেমেছিলেন। মূলত কোনো ক্রিকেটার মারা গেলে কিংবা কোনো কিছু নিয়ে শোক প্রকাশ করে ‘কালো আর্মব্যান্ড’ পড়া হয়।

টেস্টের দ্বিতীয় দিনই খাওয়াজার কাছে এটি নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। যে কারণে পরের টেস্টে কালো আর্মব্যান্ড পড়বেন না তিনি। এদিকে আইসিসির কাছে অনুমতি না নেয়ায় তাকে ভর্ৎসনা করেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ব্যক্তিগত শোকের কারণে বলার পরও কেন তাকে ভর্ৎসনা করা হয়েছে সেটি বুঝতে পারছেন না খাওয়াজা।
গোলাপি বলে হবে টেস্ট ক্রিকেটের দেড়শ বছর পূর্তির ম্যাচ
১১ মার্চ ২৫
তিনি বলেন, ‘আইসিসি আমাকে (পার্থ টেস্টের) দ্বিতীয় দিনই জিজ্ঞাসা করেছে, কালো আর্মব্যান্ড কেন? আমি বলেছি, এটি ব্যক্তিগত শোকের কারণে। এর বাইরে কিছু বলিনি। জুতার ব্যাপারটি ভিন্ন ছিল, সেটি বলতেই পারি। কিন্তু আর্মব্যান্ডের (কারণে ভর্ৎসনার) ব্যাপারটি বুঝতে পারছি না কোনোভাবেই।’
এটির পেছনে তার কোনো অ্যাজেন্ডা নেই নিশ্চিত করে খাওয়াজা বলেন, ‘আমার কোনো অ্যাজেন্ডা নেই, শুধু নিজে যে ব্যাপারে আবেগী ও কঠোর, সেসব ব্যাপারে আলোকপাত করেছি শুধু। আমি এটি যথাসম্ভব সম্মানসূচক উপায়েই করার চেষ্টা করছি। জুতায় যা লিখেছি, বেশ কিছু দিন ধরেই সেটি ভে???েছি। আমি নিশ্চিত করেছি, যাতে জনসংখ্যার একটা অংশ, কোনো ধর্মীয় বিশ্বাস ও সম্প্রদায়ের কাউকে যাতে বাদ না দিই। এ কারণে ধর্মকে টানিনি। আমি মানবতার কথা বলছি। এটিই সত্যিকারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’
মেলবোর্ন টেস্টে কালো আর্মব্যান্ড না পড়লেও এখনই হাল ছাড়ছেন না খাওয়াজা। অস্ট্রেলিয়ার এই ওপেনার মনে করেন, তিনি সব নিয়ম মেনেই করেছেন। সেটি বলতে গিয়ে অতীতের উদাহরণ টেনেছেন। বাঁহাতি এই ব্যাটার জানান, এর আগে অনেকেই আইসিসির অনুমতি ছাড়াই কেউ ব্যাটে স্টিকার লাগিয়েছে, জুতায় নামও লিখিয়েছে। কিন্তু তাদের কাউকে ভর্ৎসনা করা হয়নি।
আইসিসির নিয়মকে সম্মান জানালেও লড়াই চালিয়ে যাবেন নিশ্চিত করে খাওয়াজা বলেন, ‘অতীতেও এমন ঘটনার উদাহরণ আছে, মনে করিয়ে খাজা বলেন, ‘আমি সব নিয়মই মেনেছি আর অতীতেও এমন ঘটনা আছে—ব্যাটে কেউ স্টিকার লাগিয়েছে, জুতায় নাম লিখেছে। অতীতে এমনটা করা হয়েছে আইসিসির অনুমতি ছাড়াই এবং ভর্ৎসনাও শুনতে হয়নি কাউকে। আমি আইসিসিকে সম্মান জানাই, তাদের যা নিয়ম আছে, সেগুলোকেও। আমি তাদের বলব, দাবি জানাব আমার দিক থেকে। আমার মনে হয়, এ ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা ধরে রাখা হয়নি।’