promotional_ad

যেভাবে পেসার ফয়সাল থেকে স্পিনার হয়েছিলেন সাকিব

ক্রিকফ্রেঞ্জি
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


আরো পড়ুন

দ্য হান্ড্রেডের ড্রাফটে বাংলাদেশের ২৯ ক্রিকেটার

৫ মার্চ ২৫
ফাইল ছবি

সাকিব আল হাসানের স্পিন জাদুতে মোহ পুরো বাংলাদেশ। যার বাঁ হাতের কারিশমায় বোকা বনে গেছেন বিশ্বের বাঘা বাঘা সব ব্যাটার। ব্যাটিংয়ের মতো বল হাতেও বাংলাদেশকে জিতিয়েছেন অসংখ্য ম্যাচ। অথচ ক্যারিয়ারের শুরুতে স্পিনারই ছিলেন না সাকিব। শৈশবে পেসার হিসেবে খেলা সাকিব হঠাৎই হাত ঘুরাতে থাকেন স্পিনার হিসেবে। সেই গল্প শুনিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নিজেই।


মাগুরার স্থানীয় কোচ আর আম্পায়ার সাদ্দাম হোসেন গোর্কির হাত ধরে জেলা ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে অনুশীলনের সুযোগ পান সাকিব। সেই কোচের হাত ধরে খেলেছেন ইসলামপুর স্পোর্টিং ক্লাবের হয়েও। তবে সাকিবের ক্রিকেটের শুরুটা নোমানি ময়দান থেকে। বাবা ফুটবলার হওয়ায় ছোট বেলায় ফুটবল খেলতেন মাগুরায় ফয়সাল হিসেবে পরিচিত সাকিব। ফুটবলের পাশাপাশি ক্রিকেটেও পারদর্শী ছিলেন তিনি।


নিজের গ্রামে খেলার পাশাপাশি বাইরে হায়ারে টুর্নামেন্ট খেলতে যেতেন তখনকার তরুণ ফয়সাল। সেই সময় তাদের এলাকার স্থানীয় কোচ গোর্কি সাকিবের খেলা দেখে পছন্দ করেন এবং নোমানি ময়দানে আসতে বলেন। তখন নোমানি ময়দানে একটি জাম্বুল গাছের নিজে একটা টিনেশড বিল্ডিং ছিল, সাথে ছিল ছোট প্রাচীর। সময়ের পরিক্রমায় অবশ্য সেই প্রাচীর এখন আগের থেকে উঁচু। মাগুরা জেলা ক্রিকেটারদের উদ্যোগে আয়োজিত ক্রিকেট ম্যাচে অতিথি হিসেবে ছিলেন সাকিব।



promotional_ad

নিজের শেকড়ে ফিরে পুরনো সেই স্মৃতি রোমন্থন করলেন তিনি। বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ‘এই মাঠ থেকে আমার ক্রিকেটের শুরু, শুরু বলতে পেছনে তখন ওত বড় প্রাচীর ছিল না। ছোট একটা জাম্বুল গাছ ছিল, নিচে একটা টিনশেড বিল্ডিং এবং ছোট একটা প্রাচীর ছিল। তো আমি প্রথমদিন ওখানে এসে বসেছিলাম, দেখতেছিলাম অনুশীলন।’


আরো পড়ুন

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে মাহমুদউল্লাহর অবসর

৫ ঘন্টা আগে
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ

সেই গোর্কি আসতে বলায় মূলত নোমানি ময়দানে এসেছিলেন সাকিব। বয়সে ছোট হলে মাঠে গিয়েই খেলার সুযোগ পাওয়া বড্ড কঠিন। আপনাকে যদি একেবারে না চেনে তাহলে ব্যাটিং ও বোলিং পাওয়াটা তো প্রায় অসম্ভব। প্রথম কয়েকদিন ফিল্ডিং করা কিংবা বল কুড়ানোই যেন ডিউটি হয়ে দাঁড়ায়। সাকিবকেও তেমন অবস্থার মুখেই পড়তে হয়েছিল প্রথম দিন মাঠে এলেও সুযোগ মেলেনি তার।


প্রথম দিনের মতো হতাশ হয়ে ফিরতে হতো পরের দিনও। সেদিন অবশ্য সাকিবের কপাল খুলে একেবারে সন্ধ্যা নাগাদ। সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে গোর্কি গিয়ে বলার পর সাকিবকে বোলিং করার সুযোগ করেন দেন। প্রথম দিন একটু খানি বোলিং করা সাকিব পরের দিন স্পিন বোলিংয়ের সঙ্গে সুযোগ পান ব্যাটিংয়েরও। গ্রামে পেস বোলিং করা ফয়সাল সেদিন সেই গোর্কির কথায় হয়ে যান স্পিনার সাকিব।


সেই পুরনো গল্প বলতে গিয়ে সাকিব বলেন, ‘গোর্কি ভাই আমাকে বলেছিল এখানে আসতে তার দলের হয়ে খেলার জন্য। একটা টুর্নামেন্টে সে আমার খেলা দেখে পছন্দ করে। তো প্রথমদিন লজ্জায় আমি আসতেই পারিনি এখানে ট্রেনিং করতে। ওইখানে বসেছিলাম, পরেরদিন আবার আসছি বিকেলে। এসে পরেরদিন, তারপর অপেক্ষা করতে করতে একেবারে শেষ মুহূর্তে গিয়ে সন্ধ্যার আগে আগে আসছি উনার কাছে।’



‘গিয়ে বলি আপনি আমাকে বলেছিলেন এখানে আসতে। তখন বলে তাহলে বোলিং করো। তো প্রথম দিন বল করলাম একটু, তারপর দিন স্পিন বোলিং করলাম আর ব্যাটিং করলাম। বলল যে এরপর থেকে স্পিন বোলিংই করো তুমি। তারপর থেকে আসলে আমি স্পিনার হয়ে যাই। তার আগ পর্যন্ত ফাস্ট বোলার ছিলাম কিংবা যখন যেটা করা লাগতো আরকি।’



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball