সল্টের সেঞ্চুরি আর ব্রুকের ব্যটিং ঝড়ে জয়ে ফিরল ইংল্যান্ড

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
গোলাপি বলে হবে টেস্ট ক্রিকেটের দেড়শ বছর পূর্তির ম্যাচ
১১ মার্চ ২৫
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই পরাজিত হয় ইংল্যান্ড। ফলে সিরিজ বাঁচাতে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে বড় কিছুই করার দরকার ছিলো সফরকারীদের। এমন দিনেই ফিলিপ সল্ট করলেন সেঞ্চুরি। তবে শেষ দিকে তরুণ ইংলিশ ব্যাটার হ্যারি ব্রুক দেখিয়েছেন ব্যটিং ঝড়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেয়া ২২৩ রানের লক্ষ্যে পৌছাতে শেষ ওভারে দরকার ছিলো ২১ রান। সেই কাজটা একাই সারলেন ব্রুক।
সল্টের সেঞ্চুরিও ওয়েস্ট ইন্ডিজের রানের পাহাড় টপকানোর জন্য যথেষ্ট ছিলো না। সিরিজ বাঁচাতে শেষ ৪ ওভারে ইংলিশদের দরকার ছিলো ৭১ রান। ব্রুক যখন উইকেটে আসলেন তখনো সফরকারীদের জয়ের জন্য দরকার ১৩ বলে ৩৭ রান। কিন্ত নিজের প্রথম বলেই ছক্কা মেরে জয়ের বার্তা দিলেন ২৪ বছর বয়সী এই ব্যাটার।

অবশ্য কঠিন এই সমীকরণটাও মিলিয়েছেন ব্রুক নিজেই। ইনিংসের ১৯ তম ওভারে ৯ রান আসার পর, শেষ বলে এক রান নিয়ে আবারো স্ট্রাইক নেন ব্রুক। শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ২১ রান। ২০ তম ওভারের শুরু থেকেই আন্দ্রে রাসেলের উপর চড়াও হন ব্রুক। প্রথম পাঁচ বলে ৪, ৬, ৬, ২, ৬ এমন সমীকরণ মিলেই সিরিজে প্রথম জয়ের দেখা পায় ইংল্যান্ড।
বরুণ-নোমানকে পেছনে ফেলে মাসসেরা ওয়ারিক্যান
১১ ফেব্রুয়ারি ২৫
এ দিন টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে স্বাগতিকরা। তাদের শুরুটাও বাজে ভাবেউ শুরু হয়। ইনিংসের প্রথম দুই ওভারে ৮ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বসে তারা। এরপর শুরুর ধাক্কা বেশ ভালো ভাবেই সামলে নিয়েছেন নিকোলাস পুরান ও শাই হোপ। তবে তাদের ৫৪ রানের জুটি ভাঙেন আদিল রাশিদ। এই স্পিনারের বলে মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে ২৬ রান করে ফেরেন তিনি।
অবশ্য ক্যারিবীয়ানদের বড় সংগ্রহ গড়তে সাহায্য করেন পুরান। হোপ ফেরার পর অধিনায়ক রভম্যান পাওয়ালকে নিয়ে ৫৮ ও শারফানে রাদারফোর্ডকে নিয়ে ৬১ রানের জুটি গড়েন। তবে ইনিংসের ১৮ তম ওভারে থামেন পুরান। ৬ চার ও ছয়ে, ৪৫ বলে তিনি করেছিলেন ৮২ রান। তবে রাশিদের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে শট খেলতে গিয়ে ডিপ মিডি উইকেটে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
শেষ দিকে জেসন হোল্ডারের ৫ বলে ১৮ রানের ইনিংসে ভর করে ২২ রানের বড় সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা। জবাবে ইংল্যান্ডের দারুণ সূচনা এনে দেন দলের দুই ওপেনার সল্ট ও জস বাটলার। তাদের উদ্বোধনি জুটিতে আসে ১১৫ রান। বাটলার ৫১ ও লিয়াম লিভিংস্টোন ফিরেছেন ৩০ করে।
অবশ্য উইকেটের অন্য পাশে ব্যাট হাতে অনবদ্য ছিলেন সল্ট। খেলেছেন ৫৬ বলে ১০৯ রানের ইনিংস। এ সময় ৯টি ছক্কা ও ৪ টি চারের মারে নিজের ইনিংস সাজান সল্ট। আর শেষ দিকে ব্রুকের ৭ বলে ৩১ রানের ব্যাটিং ঝড়ে ৭ উইকেটের জয় পায় ইংল্যান্ড।