promotional_ad

বাংলাদেশের জয় ছিনিয়ে নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে জেতালেন ফিলিপস-স্যান্টনার

ক্রিকফ্রেঞ্জি
promotional_ad

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||


৮৭ রানের ইনিংস খেলে নিউজিল্যান্ডকে লিড এনে দেয়ার কারিগর ছিলেন গ্লেন ফিলিপস। এমন একজনকে ফেরানোর সুযোগ ছিল রানের খাতা খোলার আগেই। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ফিলিপসের ব্যাটের কানায় লাগা বল স্লিপে গেলেও সেটা লুফে নিতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। হাত ফসকে যাওয়া সেই ক্যাচই যেন শেষ পর্যন্ত কাল হয়েছে বাংলাদেশের। থিতু হওয়া ড্যারিল মিচেলকে ফেরানো গেলেও ফিলিপসকে সাজঘরে পাঠানো যায়নি। বরং ফিলিপসের সঙ্গে বাংলাদেশের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ান মিচেল স্যান্টনার। ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ডকে দারুণ এক জয় এনে দেন তারা দুজন। বাংলাদেশকে ৪ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে ড্র করলো নিউজিল্যান্ড।


মিরপুরে জয়ের জন্য ১৩৭ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। শরিফুল ইসলামের অফ স্টাম্পে পড়ে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে ফেরেন ডেভন কনওয়ে। এরপর টম লাথামের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন কেন উইলিয়ামসন। তবে তাদের জুটি বেশি বড় হতে দেননি তাইজুল ইসলাম। বাঁহাতি এই স্পিনারের টার্ন ও বাউন্সে পরাস্ত হয়ে স্টাম্পিং হয়েছেন উইলিয়ামসন। এবারের সিরিজে তৃতীয়বারের মতো তাইজুলের শিকার হয়েছেন ১১ রান করা এই ব্যাটার।


জীবন পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি হেনরি নিকোলস। মিরাজের অফ স্টাম্পের ওপর করা ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে ফিরেছেন তিনি। পুরো সিরিজে ব্যাট হাতে সাফল্য না পাওয়া নিকোলস এদিন আউট হয়েছেন ৩ রানে। এক প্রান্তের ব্যাটাররা যখন আসা-যাওয়ার মিছিলে ছিলেন তখন অপর প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন লাথাম। শেষ পর্যন্ত তার প্রতিরোধ ভেঙেছেন মিরাজ।


ডানহাতি এই অফ স্পিনারের ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন লাথাম। ব্যাটের কানায় লেগে বল স্লিপে গেলে সেটা সহজেই লুফে নেন শান্ত। টম ব্লান্ডেলকে ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ। তাইজুলের অফ স্টাম্পে পড়ে টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে ডিফেন্স করেছিলেন ব্লান্ডেল। বল পেছনে যাওয়ার সময় তার গ্লাভসে লেগে যায়। নুরুল হাসান সোহান গ্লাভস বন্দি করলে ফিরতে হয় তাকে।


ব্লান্ডেলের পর ফিরতে পারতেন ফিলিপসও। তবে মিরাজের বলে ক্যাচ নিতে পারেননি শান্ত। ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে থাকা মিচেলকে ফিরিয়ে আরও ম্যাচের লাগাম টেনে ধরে বাংলাদেশ। মিরাজের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে রিভার্স সুইপ খেলেছিলেন মিচেল। বল গ্লাভসে লেগে স্লিপে থাকা শান্তর হাতে গেলে ১৯ রানে ফিরতে হয় তাকে। এরপর দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন স্যান্টনার ও ফিলিপস। তারা দুজনে মিলে ৭০ রানের জুটি গড়ে নিউজিল্যান্ডকে জয় এনে দেন। ফিলিপস ৪০ এবং স্যান্টনার অপরাজিত ছিলেন ৩৫ রানে।



promotional_ad

এর আগে সকালে ২ উইকেটে ৩৮ রান নিয়ে মুমিনুল হক ও জাকির হাসানের ব্যাটে চতুর্থ দিনের শুরুটা বেশ ভালোভাবেই করে বাংলাদেশ। খানিকটা দেখেশুনেই খেলতে থাকেন মুমিনুল। তার সঙ্গী জাকিরও দলের স্কোরবোর্ডে নিয়মিত রান যোগ করতে থাকেন। কিন্তু দলীয় রান ৭০ পার হওয়ার পরই এলোমেলো হয়ে যায় বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড স্পিনারদের সামনে নিজেদের উইকেট বার বার বিলিয়ে দিয়ে ফেরেন ব্যাটাররা।


দলীয় ৭১ রানে ১০ রান করা মুমিনুল ফেরেন এজাজ প্যাটেলের বলে, লেফ বিফরের ফাঁদে পড়ে। প্রথম ইনিংসে অবস্ট্রাক্টিং দ্যা ফিল্ডে আউট হওয়া মুশফিক বিদায় নেন মিচেল স্যান্টনারকে উইকেট দিয়ে। এক ওভার পর শাহাদাত হোসেন দিপুকেও বিদায় করেন স্যান্টনার। দলীয় রান একশ’র ঘরে যাওয়ার আগে আরও দুই ব্যাটারকে হারায় বাংলাদেশ। এজাজকে স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে স্যান্টনারকে ক্যাচ দেন মিরাজ।


৩ রানে তিনি ফিরলে একই বোলারদের বিপক্ষে লেগ বিফরের ফাঁদে পড়ে রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন নুরুল হাসান। ব্যাটারদের এই আসা যাওয়ার মিছিলে একাই লড়াই করছেন জাকির হাসান। এই মুহূর্তে ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরির পথে হাঁটা এই ক্রিকেটারের ব্যাটেই চেয়ে আছে বাংলাদেশ। দলীয় রান ১০০ ছুঁলেও ৭ ব্যাটারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে স্বাগতিকরা।


যদিও একপ্রান্তে একাই লড়াই চালিয়ে জাকির হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিলেও মাঝে স্যান্টনারের বলে ফেরেন নাঈম। হাফ সেঞ্চুরি হাঁকানো জাকির সুইপ খেলতে গিয়ে লেগ স্লিপে ড্যারেল মিচেলের তালুবন্দি হন। ৫৯ রানে তিনি ফিরলে এজাজ ষষ্ঠ উইকেট হিসেবে শরিফুলকে স্টাম্পিংয়ে বিদায় নিলে ১৪৪ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। ৫৭ রানে ৬ উইকেট নেন এজাজ।


সংক্ষিপ্ত স্কোর:


বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস)- ১৭২/১০ (৬৬.২) (জয় ১৪, মুশফিক ৩৫, দিপু ৩১, মিরাজ ২০; ফিলিপস ৩/৩১, স্যান্টনার ৩/৬৫)



নিউজিল্যান্ড (প্রথম ইনিংস)- ১৮০/১০ (৩৭.১ ওভার) (ফিলিপস ৮৭, জেমিসন ২০, মিচেল ১৮; মিরাজ ৩/৫৩, তাইজুল ৩/৬৪, নাইম ২/২১, শরিফুল ২/১৫)


বাংলাদেশ (দ্বিতীয় ইনিংস)- ১৪৪/১০ (৩৫ ওভার) (জাকির ৫৯, প্যাটেল ৬/৫৭)


নিউজিল্যান্ড (দ্বিতীয় ইনিংস)- ১৩৯/৬ (৩৯.৪ ওভার) (ফিলিপস ৪০*, স্যান্টনার ৩৫*, লাথাম ২৬; মিরাজ ৩/৫২, তাইজুল ২/৫৮)



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball