‘স্পিনার কম খেলালে কেউ প্রশ্ন করে না তাইজুল কেন নেই’

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট, সিলেট থেকে ||
মুশফিকের বিদায়ে সতীর্থরা যা বললেন
৬ মার্চ ২৫
ইতিহাস বলে টেস্টে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তিন পেসার, দুই স্পিনার সঙ্গে একজন অলরাউন্ডার নিয়ে একাদশ সাজানো হয়। তবে আপনি কোথায় খেলছেন, কাদের বিপক্ষে খেলছেন সেটা বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করে একাদশ নির্বাচনে। ইংল্যান্ডের মাটিতে খেললে একাদশে পেসারের যেমন আধিক্যতা থাকবে তেমনি উপমহাদেশে খেললে স্পিনার বেশি থাকবে এটা অনুমেয়ই।
একটা সময় একাদশে চার পেসার নিয়ে খেলতো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেটার উদাহরণ টেনে বাংলাদেশের সাবেক কোচ স্টিভ রোডস একবার বলেছিলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ চার পেসার খেলাতে পারলে আমরা কেন চার স্পিনার খেলাতে পারব না। রোডসের এমন চাওয়াটা দোষের কিছু নয়। একটা দেশের টেস্ট সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবিই দেখা যায় এসবে। বাংলাদেশ বরাবরই স্পিন নির্ভর। ঘরের মাঠে খেলা হলে প্রতিপক্ষ ঘায়েল করতে তাইজুলরাই বড় শক্তি।

অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে সাফল্য পাওয়ায় সেটার উপর নির্ভরতা বেড়েছে ক্রমশই। নিউজিল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে খেলতে বাংলাদেশ হেঁটেছে তাই এক পেসার তত্ত্বে। এ দেশের ক্রিকেটে এটা অস্বাভাবিক নয়। একটা সময় টেস্টে মোহাম্মদ শহিদ, আবু জায়েদ রাহীদের খেলানো হয়েছে একমাত্র পেসার হিসেবে। মাঝে দেখা গেছে সৌম্য সরকার, মুস্তাফিজুর রহমানদেরও একই ভূমিকায়। তবে মাঝে পেসারদের বিপ্লবে প্রেক্ষাপট একটু একটু করে বদলে যেতে শুরু করেছে।
‘বিকল্প আছে কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কেমন করবে আগে থেকে বলা মুশকিল’
৭ ঘন্টা আগে
অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড কিংবা সাউথ আফ্রিকায় দাপট দেখাতে হলে পেসারদের বাড়তি সুবিধা দেয়ার বিকল্প নেই। সেটার কারণেই একাদশে এক পেসার দেখলে সবাই নানান প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। একাদশে এক পেসার হরহামেশাই দেখা গেলেও এক স্পিনার নিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ এমনটা বোধহয় দেখা যায়নি। সিলেটে এক পেসার খেলানোর পর আরও একবার পেসার কম খেলানো নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল।
এমন প্রশ্নের জবাবে শান্ত বলেন, ‘আসলে যদি ভিন্ন কন্ডিশন, ভিন্ন প্রতিপক্ষের সাথে খেললে হয়ত পেসার বেশি থাকত। আমার কাছে মনে হয় যখন আমরা স্পিনার বেশি খেলাই তখনই এই প্রশ্নটা হয়। পেসার বেশি খেলাইলে স্পিনার কম খেলাইলে তখন এই প্রশ্নটা আসে না তাইজুল কেন নাই? মিরাজ কেন খেলতেসে না বা নাঈম কেন নাই? এই বিষয় আলাদা করার কিছু নাই সবাই বোলার। কোন কন্ডিশনে কোন উইকেটে কোন বোলার আমার কাজে দিবে এটার ওপর নির্ভর করে।’
সিলেট টেস্টে বাংলাদেশ সাত ব্যাটার এবং চার বোলার নিয়ে মাঠে নেমেছিল। যেখানে তিন স্পিনারের সঙ্গে ছিলেন একমাত্র পেসার শরিফুল ইসলাম। চার বোলার নিয়ে খেলাটা সবসময়ই ঝুঁকির। এই টেস্টে একজন বোলার কম খেলানোর বিপদ থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন মুমিনুল হক। পার্ট টাইম বোলার হিসেবে নিজের কাজটা করে দেয়ায় খুব বেশি বিপাকে পড়তে হয়নি বাংলাদেশকে। শান্ত জানালেন, এই ম্যাচের কম্বিনেশন নিয়ে তিনি বেশ খুশি ছিলেন।
শান্ত বলেন, ‘নির্ভর করে উইকেট, প্রতিপক্ষের উপরে। এই ম্যাচের জন্য আমার মনে হয় খুবই ভালো কম্বিনেশন ছিল। উইকেটে ব্যাটিং করা খুব একটা সহজ ছিল সেটা বলব না। সেজন্য কম্বিনেশন নিয়ে আমি খুশি ছিলাম। আরেকটা খুব ভালো জিনিস হচ্ছে, মিরাজ, তাইজুল ভাই, নাঈম এরা লম্বা সময় ধরে বোলিং করতে পারে মানে বলই ছাড়তে চায় না। স্বাভাবিকভাবে আমার জন্য কাজটা সহজ হয়ে যায়। নির্ভর করে কোন দলের সাথে খেলছি।’