এখন শুধু শেষ কাজটা বাকি: রোহিত

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
দীর্ঘ সময় পর ইংল্যান্ডের ওয়ানডে একাদশে রুট
৬ ফেব্রুয়ারি ২৫
এক যুগ পর আবারও বিশ্বকাপ জয়ের দ্বারপ্রান্তে ভারত। শিরোপা থেকে আর মাত্র এক ম্যাচ দূরে রোহিত শর্মার দল। তাও আবার ঘরের মাঠে টুর্নামেন্ট জুড়ে অপরাজিত থেকে। প্রত্যাশার চাপ আছেই সঙ্গে আছে কোটি ভক্তের ভালোবাসাও। এগুলোই ভারতের আরেকটি বিশ্বকাপ জয়ের প্রেরণা।
গ্রুপ পর্বের ৯টি ম্যাচই ভিন্ন ভিন্ন ৯টি ভেন্যুতে খেলেছে ভারত। রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরা যেখানেই গিয়েছেন সেখানেই ম্যাচ বিশ্বকাপ জয়ের প্রেরণা পেয়েছেন। এক যুগ আগে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে দর্শক হয়ে ছিলেন রোহিত। এবার আরেকটি বিশ্বকাপে ভারতের নেতার আসনে এই ডানহাতি ব্যাটার।

প্রত্যাশার চাপ নিয়ে রোহিত ফাইনালের আগে বলেছেন, 'বিশ্বকাপ জিতলে ভালোই লাগবে। কারণ এর জন্য আমরা অনেক পরিশ্রম করেছি। আমরা রোমাঞ্চিত হতে চাই না, খুব বেশি চাপও অনুভব করতে চাই না। এয়ারপোর্টে সবসময়ই শুনতে হয়েছে আমাকে বিশ্বকাপ জিততে হবে। একে ২০০ রান করতে হবে, ওকে পাঁচ উইকেট নিতে হবে। তাই এমন কথা সবসময়ই কানে বাজে। আমি দেখেছি যে কয়েকজন এর থেকে নিজেকে দূরে রাখতে কানে হেডফোন ব্যবহার করে। তবে এখন পর্যন্ত আমরা আমাদের যাত্রাটা উপভোগ করেছি, কেবল শেষ কাজটা বাকি।'
আইসিসির ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ব্যাটারদের সেরা পাঁচে ভারতের ৩
১২ মার্চ ২৫
ব্যাট হাতেও এবারের বিশ্বকাপে সেরা ফর্মে আছেন রোহিত। তিনি ১০ ম্যাচে এক সেঞ্চুরি ও তিন হাফ সেঞ্চুরিতে করেছেন ৫৫০ রান। প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই ভারতের বিস্ফোরক শুরু এনে দিয়েছেন রোহিতই। সেমি ফাইনালের আগে ভারতের প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড় বলেছেন রোহিতের ব্যাটিং অন্যদের চাপ কমিয়ে দিচ্ছে।
রোহিতও জানিয়েছেন দলের কথা চিন্তা করে বিশ্বকাপের আগেই এমন ব্যাটিংয়ের পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন তিনি। স্বাধীনতা নিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। অবশ্য দলের প্রয়োজনে হাল ধরেও খেলেছেন রোহিত। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০১ বলে ৮৭ রানের ইনিংস খেলেছিনে তিনি। সেই ইনিংসও প্রশংসা কুড়িয়েছে।
রোহিত নিজের ব্যাটিং নিয়ে বলেছেন, 'বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে থেকে আমার পরিকল্পনা ছিল এমন ধরনের ক্রিকেট খেলার। জানতাম না সেটা কাজে দেবে কি না। কিছুটা স্বাধীনতা নিয়ে খেলে নিজেকে প্রকাশ করতে চেয়েছিলাম আমি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে আমি আমার খেলার ধরনে পরিবর্তন আনি এবং সিনিয়র খেলোয়াড়রা এটাই করে। নিজের কৌশলে পরিবর্তন এনেছি। '