অধিনায়ক না থাকলেও বাবর দলের একজন নেতা: শান মাসুদ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাবর-রিজওয়ানদের বাদ দেয়ার ব্যাখ্যা দিলেন পাকিস্তান কোচ
৫ মার্চ ২৫
বিশ্বকাপে ভালো করতে না পারায় বাবর আজম যেন নেতৃত্ব থেকে পদত্যাগ করেন! নিজে থেকে সরে না দাঁড়ালে তাকে অব্যাহতি দেবে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড, এমন রব উঠেছিল পাকিস্তানের ক্রিকেটে। ফলে দেশে ফিরে এক প্রকার বাধ্য হয়েই তিন সংস্করণের দায়িত্ব ছাড়েন বাবর।
দলটির সেরা ব্যাটার নেতৃত্ব ছাড়ার পর টেস্ট দলের অধিনায়কের করা হয়েছে শান মাসুদকে। দলকে এগিয়ে নিতে লম্বা সময় পাকিস্তানের টেস্ট দলকে নেতৃত্ব দেয়া বাবরের সহযোগিতা চেয়েছেন সদ্য অধিনায়ক হওয়া এই ক্রিকেটার। সেই সঙ্গে শান মাসুদ জানিয়েছেন, অধিনায়ক না থাকলেও বাবর দলের একজন নেতা।

২০২০ সালে পাকিস্তানের টেস্ট দলের নেতৃত্ব পেয়েছিলেন বাবর। এরপর তার অধীনে প্রায় চার বছরে দলটি সাফল্য যেমন পেয়েছে তেমনি ব্যর্থতার মুখও দেখেছে। বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়ে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার কিংবা সমর্থকদের মাঝে প্রায়শই অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। এবারের বিশ্বকাপে সেরা চারে উঠতে না পারায় সেটা আরও প্রখর হয়েছিল।
বিশ্বকাপে ভালো করতে না পারায় বাবরকে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব ছাড়তে বলা হয়েছিল। সবার চাওয়া ছিল টেস্ট দলের নেতৃত্বে থাকুক বাবর। তবে পিসিবির এমন প্রস্তাবে রাজি হননি অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ফলে তিন সংস্করণ থেকেই পদত্যাগ করেছেন তিনি। এদিকে অস্ট্রেলিয়া সফর দিয়ে অধিনায়কত্বের যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছেন শান মাসুদ।
এমনিতেই টেস্টে পাকিস্তানের ফর্ম আশানুরূপ নয় তার সঙ্গে মাসুদের নতুন চ্যালেঞ্জ অস্ট্রেলিয়া সফর। নেতৃত্ব ছাড়ার সময় বাবর জানিয়েছিলেন, নতুন অধিনায়ককে সব ধরনের সহযোগিতা করবেন। শান মাসুদও তাই পাকিস্তানকে সামনে এগিয়ে নিতে বাবরের সহযোগিতা চাইছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, বাবর অধিনায়ক না থাকলেও দলের নেতাদের একজন।
এ প্রসঙ্গে শান মাসুদ বলেন, ‘বাবর এই দলটাকে চার বছর নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর অভিজ্ঞতা অনেক। তাই সে যদি অধিনায়ক নাও হন, এরপরও সে দলের একজন নেতা। পাকিস্তানকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁর বড় ভূমিকা ছিল। আমার মনে হয়, ভবিষ্যতেও তিনি এই দলকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।’
এদিকে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক করা হয়েছে শাহীন শাহ আফ্রিদিকে। শুধু নেতৃত্বেই নয় পাকিস্তান ক্রিকেট ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনায় নেমেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। ফলস্বরূপ পাকিস্তানের ডিরেক্টর অব ক্রিকেট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে মোহাম্মদ হাফিজকে। এ ছাড়া ইনজামাম উল হকের ছেড়ে যাওয়া প্রধান নির্বাচকের পদে বসানো হয়েছে ওয়াহাব রিয়াজকে।