ব্যাটাররা যথেষ্ট রান না করায় প্রতিপক্ষ ঝুঁকি নেয়নি: তাসকিন

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ব্যাটিং ব্যর্থতায় মোহামেডানের কাছে হারল রূপগঞ্জ
১৬ ঘন্টা আগে
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হারের পর সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বাজে বিশ্বকাপ। ব্যাটি, বোলিং কিংবা দলীয় পারফরম্যান্স কোথাও প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি বাংলাদেশ। ব্যাটাররা যেমন ব্যর্থ হয়েছেন বোলাররাও তেমনি হতাশার গল্প লিখেছেন। বিশ্বকাপে পেসারদের ভালো করতে না পারার পেছনে ব্যাটারদের যথেষ্ট রান তুলতে না পারার দায় দেখছেন তাসকিন আহমেদ। বোলাররা নিজেদের কাজ যে করতে পারেনি সেটিও স্বীকার করেছেন ডানহাতি এই পেসার।
এবারের বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের ম্যাচ, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভালো শুরু, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং লিটন দাসের দু-তিনটে ইনিংস ছাড়া ব্যাটারদের নিয়ে বলার মতো নেই কিছুই। বেশিরভাগ ম্যাচেই প্রতিপক্ষের সামনে মুখ থুবড়ে পড়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিমদের মতো সময়টা ভালো যায়নি বোলারদেরও।
অথচ উপমহাদেশের কন্ডিশন হওয়ায় প্রত্যাশার পারদ একেবারে উঁচুতে উঠে গিয়েছিল। সব এখন ব্যর্থতার গল্পে ভরা। তাসকিন যেটা বলার চেষ্টা করেছেন সেটার যুক্তিও আছে খানিকটা। নয় ম্যাচের বিশ্বকাপে চারটিতে আগে ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ। যেখানে একবারই তারা তিনশ পেরিয়েছে। অথচ বিশ্বকাপের প্রতি ম্যাচেই প্রায় তিনশ রানের ছড়াছড়ি। বেশিরভাগ উইকেটগুলো সাড়ে তিনশ রানের।

এমন উইকেটে ব্যাটাররা আড়াইশ রান করলে বোলারদের জন্য শুধু কঠিন না মহা কঠিন। আগে বোলিং করলেও যে প্রত্যাশিত ফল পাওয়া গেছে তা নয়। ইংল্যান্ড ও সাউথ আফ্রিকার মতো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বাংলাদেশের বোলাররা রান দিয়েছিলেন সাড়ে তিনশ পেরিয়ে। তাতে করে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে দোষ দেবার রসদ খুঁজে পাওয়ার উপায় নেই। তাসকিন অবশ্য নিজেদের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেছেন।
পরের প্রজন্মের জন্য ট্রফি জিততে চান মিরাজ
১১ ঘন্টা আগে
বিশ্বকাপে ভালো করতে না পারলেও সামনে ভালো করার চেষ্টা করতে চান। চেষ্টা করার আশা করা ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছেন না তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে তাসকিন বলেন, ‘ব্যাটিং উইকেটে আমরা যথেষ্ট রান না করায় আমাদের খান???কটা কম ঝুঁকি নিয়ে ব্যাটিং করেছে প্রতিপক্ষরা। যখন থিতু হয়ে গেছে তখন আবার মেরে খেলছে। যদিও আমরা আরও একটু ভালো করতে পারতাম।’
‘ভারতে খেলে কেউ যদি ছয় কিংবা সাড়ে ছয় ইকনোমিতে ১০ ওভার শেষ করতে পারে এটা খুব ভালো। আমার কাছে মনে হলো। ভালো করতে পারিনি, সামনে আবার চেষ্টা করতে হবে। কারণ আশা করা ছাড়া তো কিছুই নেই জীবনে। না পারলে আবার চেষ্টা করতে হবে এই আরকি।’
এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল যাচ্ছে তাই। পুরো বিশ্বকাপে টাইগারদের জয় কেবল আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। হারতে হয়েছে নেদারল্যান্ডসের মতো প্রতিপক্ষের বিপক্ষেও। দুই জয় নিয়ে বাংলাদেশ আপাতত দেশে ফিরছে পয়েন্ট টেবিলের আটে থেকে। ব্যাটাররা খারাপ করায় বোলারদের এমন পারফরম্যান্স বেশি চোখে পড়ছে কিনা এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল তাসকিনকে।
ডানহাতি এই পেসার মনে করেন, এটা হতে পারে। তবে বাংলাদেশ ম্যাচ জিতলে এত সব প্রশ্ন হতো না বলে জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে তাসকিন বলেন, ‘এটাও হতে পারে। যদি আমরা জিততাম এসব কোনো প্রশ্নই হতো না। হারার কারণে চোখে পড়ছে বেশি।’