‘ম্যাক্সওয়েল কেন আমরাও পারি’, ক্রিকেটারদের এমন আত্মবিশ্বাস চান সুজন

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
জাতীয় দলের ছায়া কোচিং প্যানেল চান সুজন
৩ ঘন্টা আগে
আফগানিস্তানের পেসারদের তোপে অস্ট্রেলিয়া তখন হারের অপেক্ষায়। তবে পুরো ম্যাচের চিত্রপট বদলে দিয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল একাই। অবিশ্বাস্য, অতিমানবীয় অপরাজিত ২০১ রানের ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়াকে জিতিয়েছেন, তুলেছেন বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও। ম্যাক্সওয়েলের এমন ইনিংস দেখার পর বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মাঝে এমন আত্মবিশ্বাস চান খালেদ মাহমুদ সুজন যে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা যেন বিশ্বাস করতে পারেন তারাও এমন করতে পারেন।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে অস্ট্রেলিয়ার জন্য লক্ষ্যটা ২৯২ রান। সেটি তাড়া করতে নেমে মাত্র ৯১ রানে ৭ উইকেট হারায় পাঁচবারের বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা। তখনও জয়ের জন্য অজিদের প্রয়োজন ২০১ রান, স্বীকৃত ব্যাটার বলতে কেবলই ম্যাক্সওয়েল। প্যাট কামিন্সকে সঙ্গে নিয়ে সেই পথই পাড়ি দেবার চেষ্টা করলেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত অসম্ভব এক পথ পাড়িও দিলেন ম্যাক্সওয়েল। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন অধিনায়ক কামিন্স। তাদের দুজনের ১৭০ বলে অবিচ্ছিন্ন ২০২ রানের জুটিতে অবিশ্বাস্য জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। যেখানে সবচেয়ে বেশি অবদান ২০১ রানে অপরাজিত থাকা ম্যাক্সওয়েলের। কামিন্সের সঙ্গে গড়া ২০২ রানের জুটিতে ম্যাক্সওয়েল করেছেন ১৭৯ রান।

এমন ইনিংস খেলাটা মোটেও সহজ ছিল না ম্যাক্সওয়েলের জন্য। পায়ে ক্র্যাম্প হওয়ায় দৌড়ে রান নিতে পারছিলেন না সেভাবে। কখনও কখনও মাঠে পড়েও গিয়েছেন। ফিজিও এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আবারও খেলার উপযুক্ত করে তুলেছেন তারকা এই অলরাউন্ডারকে। ফুটওয়ার্কের ব্যবহার না করেও বড় বড় সব ছক্কা মেরেছেন, দলকে জিতিয়েছেন।
আমরা শুধু ম্যাক্সওয়েলের বিপক্ষে খেলছি না: শহীদি
২৮ ফেব্রুয়ারি ২৫
ম্যাক্সওয়েলের এমন ইনিংস নিয়ে সুজন বলেন, ‘এটা অবিশ্বাস্য ইনিংস। এটা শুধু বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের না সারা বিশ্বের অনুপ্রেরণা পাওয়ার কথা। কত বছরে একবার এমন হবে সেটা আল্লাহ জানে। দুইশ হয়ত অনেকেই মারবে কিন্তু এই কন্ডিশন থেকে, এই ক্রাইসিস থেকে, নিজের ইনজুরি নিয়ে। আমি যদি ভুল না করি দলের যখন ১০৫ রান লাগে তার মাঝে ওই ১০১ করল। দুইশ রানের মাঝে কামিন্সের ১২ রান। কিন্তু কামিন্সের ইনিংসটাকেও ছোট করে দেখা যাবে না। সে যেভাবে তাকে গাইড করেছে সেটা দারুণ।’
‘ক্রিকেটে যে সব কিছু সম্ভব সেটা ম্যাক্সওয়েল বুঝিয়ে দিয়েছে। আমার মনে হয় সেই মোটিভেশন নিয়েই ছেলেদেরকে আবার আগামীতে শুরু করা উচিত যে ম্যাক্সওয়েল ক্যান, আমরাও করতে পারি। শুধু দরকার সঠিক ট্রেনিং, সঠিক ফিটনেস এগুলো গুরুত্বপূর্ণ। স্ট্রেন্থ যে কত গুরুত্বপূর্ণ সেটা কালকের ম্যাচে বোঝা গেছে। কোন ফুটওয়ার্ক ছাড়া এত বড় বড় ছয় মারা।’
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত তেমন কিছু করে দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ ম্যাচের মাঝে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা ছাড়া জিততে পারেনি আর কারও সঙ্গে। শেষ ম্যাচে টাইগারদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। যেখানে নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে চায় বাংলাদেশ। হার জিত নিয়ে না ভেবে সুজনের চাওয়া যারা খেলবে তারা যেন সেরাটা দেয়।
সুজন বলেন, ‘আমরা আমাদের সেরা ক্রিকেটটা এখনও খেলতে পারিনি। শ্রীলঙ্কার সাথে ম্যাচ জিতেছি কিন্তু আমার মনে হয় সেরাটা এখনও বাকি। হয়তবা হারতে পারি, হারা, জেতার কথা বলছি না একবারও। আমি মুখিয়ে আছি আমাদের সেরা খেলাটা দেখার জন্য। আমি আশা করি শেষ ম্যাচটায় আমরা সেরা খেলা খেলব।’
‘হারা, জেতা কোন ব্যাপার না। কারণ আপনি হারতেই পারেন ওদের যে ফর্ম, ওরা কালকে যে ম্যাচ জিতল। এটা আপনাকে মানতেই হবে। একটা ম্যাচ জেতায় আমাদেরও ড্রেসিং রুমের পরিবেশটা পরিবর্তন হয়েছে। বিশ্বাস করি যারা খেলবে তারা তাদের সেরাটা দেবে।’