ইংল্যান্ডের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে সেমিফাইনালের পথে ভারত

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আইসিসির ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ব্যাটারদের সেরা পাঁচে ভারতের ৩
১২ মার্চ ২৫
বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের দুয়ারে থাকা ইংল্যান্ডের সামনে সুযোগ ছিল ভারতের অপরাজেয় থাকার রেকর্ড ভাঙার। পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে বাজে ব্যাটিং পারফরম্যান্স দেখানো ইংল্যান্ড করতে পারেনি কিছুই। মোহাম্মদ শামি ও জসপ্রিত বুমরাহর আগুনে বোলিংয়ে সামনে মুখ থুবড়ে পড়েছেন ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ১০০ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালের পথে অনেকটা এগিয়ে গেল ভারত। এদিকে স্বাগতিকদের কাছে হারিয়ে বিশ্বকাপ শেষ ইংলিশদের।
লক্ষ্ণৌতে জয়ের জন্য ২৩০ রান তাড়া করতে নেমে ভালো শুরুর আভাসই দিয়েছিলেন দাভিদ মালান ও জনি বেয়ারস্টো। তবে তাদের দুজনের জুটি বড় হতে দেননি জসপ্রিত বুমরাহ। ডানহাতি এই পেসারের লেংথ ডেলিভারিতে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হয়েছেন ১৭ বলে ১৬ রান করা মালান। পরের বলে আউট হয়েছেন জো রুট। বুমরাহর দারুণ এক ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
রিভিউ নিলেও শেষ রক্ষা হয়নি রানের খাতা খুলতে না পারা রুট। চারে নামলেও সুবিধা করতে পারেননি বেন স্টোকস। রান তোলার চাপে পড়া বাঁহাতি এই ব্যাটার মোহাম্মদ শামির স্কিড করা ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন। এদিন ১০ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি স্টোকস। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর বেয়ারস্টোকে ফিরিয়েছেন শামি। ডানহাতি এই পেসারের লেংথ ডেলিভারিতে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হয়েছেন ১৪ রান করা বেয়ারস্টো।

৩৯ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর জস বাটলার ও মঈন আলীর হাতে সুযোগ ছিল ইংল্যান্ডকে টেনে তোলার। তবে সেটি করতে পারেননি তাদের দুজনের কেউই। কুলদীপ যাদবের দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন ১০ রান করা বোল্ড। শামির লেংথ ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ১৫ রান করেছেন মঈন। লিয়াম লিভিংস্টোন ২৭ রানে ফিরলে স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের। শেষ দিকে ডেভিড উইলির অপরাজিত ১৬ রান কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। ভারতের হয়ে শামি চারটি এবং বুমরাহ তিনটি উইকেট নিয়েছেন।
কোনো ঘোষণা দিচ্ছি না, আমি খেলা চালিয়ে যাব: কোহলি
৩ ঘন্টা আগে
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত অপরাজিত ভারত। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি স্বাগতিকরা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ৯ রান করা গিলকে হারায় তারা। ক্রিস ওকসের গুড লেংথ ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন গিল। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি কোহলি। বেশ কয়েকটি ভালো শট খেললেও রান বের করতে পারছিলেন না।
তাতে করে চাপে পড়ে গিয়েছিলেন কোহলি। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে আসতে গিয়ে ডেভিড উইলির বলে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে মিড অফে থাকা বেন স্টোকসের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন রানের খাতা খুলতে না পারা ভারতের সাবেক অধিনায়ক। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আইয়ারও। ওকসের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে টপ এজ হয়ে মিড অনে ক্যাচ দিয়েছেন ৪ রান করা এই ব্যাটার।
এরপর দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন রোহিত ও রাহুল। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৯১ রান। মাঝে ৬৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন রোহিত। তাদের দুজনের জুটি ভাঙেন উইলি। বাঁহাতি এই পেসারের লেংথ ডেলিভারিতে ডাউন দ্য ট্র্যাকে এসে খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন ৩৯ রান করা রাহুল। কিছুক্ষণ পর ফিরেছেন রোহিতও। আদিল রশিদের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লিভিংস্টোনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ৮৭ রানের ইনিংস খেলা রোহিত।
শেষ দিকে ভারতের রান বাড়িয়েছেন সূর্যকুমার। যদিও তাকে হাফ সেঞ্চুরি পেতে দেননি উইলি। বাঁহাতি এই পেসারের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ৪৯ রানে আউট হয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ভারত থামে ২২৯ রানে। ইংল্যান্ডের হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন উইলি। এ ছাড়া দুটি করে উইকেট পেয়েছেন ওকস এবং রশিদ।