ওয়ার্নারের শাস্তি চান সাইমন ডুল

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
অস্ট্রেলিয়ায় ‘বাজবল’ ঝুঁকিপূর্ণ হবে, দাবি ওয়ার্নারের
১৫ মার্চ ২৫
বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলার এক পর্যায়ে আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্কে জড়ান ডেভিড ওয়ার্নার। অজি এই ওপেনারের এমন মনোভাব একটুও পছন্দ হয়নি সাইমন ডুলের। ওয়ার্নারের শাস্তি দাবি করেছেন এই ধারাভাষ্যকার।
লক্ষ্ণৌতে লঙ্কানদের দেওয়া ২১০ রানের লক্ষ্য পাঁচ উইকেট হাতে রেখে টপকে যায় শ্রীলঙ্কা। যদিও লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে আম্পায়ার জোয়েল উইলসনের সঙ্গে তর্কে জড়ান ওয়ার্নার। সেই ওভারে দিলশান মাদুশঙ্কার প্রথম বলে এলবিডব্লু হয়েছিলেন ৬ বলে ১১ রান করা ওয়ার্নার।
গুড লেংথে করা মাদুশঙ্কার সেই ডেলিভারিটি ওয়ার্নারের সামনের প্যাডে আঘাত হানে। সেটায় পরাস্ত হওয়ার আগমুহূর্তে এক পায়ে ভর দিয়ে খানিকটা লাফিয়ে ওঠেন ওয়ার্নার। লঙ্কানরা লেগ বিফোর উইকেটের আবেদন জানালে আম্পায়ার উইলসন আউট দিয়ে দেন।

ওয়ার্নার রিভিউ নেন। তার কাছে মনে হয়েছিল, বলটি লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে চলে যাবে। রিভিউয়ে পিচিং এবং ইমপ্যাক্ট লাইনে দেখা গেলে উইকেট হিটিংয়ের ক্ষেত্রে আম্পায়ার্স কল আসে। এদিকে টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে বলটি লেগ স্টাম্প ছুঁয়ে চলে যেত। অর্থাৎ আম্পায়ার উইলসন আউট না দিলে ওয়ার্নার আউটই হতেন না।
এ কারণেই ক্ষেপে যান ওয়ার্নার। প্রতিবাদস্বরূপ নিজের ব্যাট দিয়ে প্যাডে সজোরে আঘাতও করেন তিনি। মাঠ ছাড়ার আগমুহূর্তে উইলসনের দিকে ইঙ্গিত করে কিছু একটা বলতে দেখা যায় তাকে। এ নিয়ে সমালোচনা করেন ডুল।
তিনি বলেন, ‘ডেভিড ওয়ার্নার ওর কিছু ম্যাচ ফি হারাবে। যদি এটা না হয়, বুঝতে হবে কোনো ভুল হয়েছে। সে জোয়েল উইলসনের দিকে যেভাবে ফিরে তাকাল এবং আজেবাজে কথা বলল, তাতে কিছু জরিমানা তো হওয়াই উচিত। এ ধরনের আচরণ আমার খুব বিরক্তকর লাগে।’
এদিকে শ্রীলঙ্কার ইনিংসে শ্রীলঙ্কার সাদিরা সামাবিক্রমাও কাল প্রায় একইভাবেই আউট হয়ে ফিরে গেছেন। ওয়ার্নার তখন উদযাপন করেছেন ঠিকই। তার এমন দ্বৈত মানসিকতায় বিরক্ত হয়ে ডুল বলেন, ‘বলটা স্টাম্পে একটু হলেও লাগত বলেই আউট দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীকালে ডেভিড ওয়ার্নার যখন ফিল্ডিং করবে এবং বলটা একটুখানি স্টাম্পে লেগে বেল পড়বে, তখন কি সে ব্যাটারের কাছে গিয়ে বলবে, 'দুঃখিত, বলটা আলতোভাবে স্টাম্পে লেগেছে। তুমি আউট হওনি। ফিরে এসো?'’
‘স্টাম্পে লেগেছে মানেই আউট। এটা নিয়ে আম্পায়ারকে বাজে কথা বলো না। যখন আমি (টিভিতে) সরাসরি দেখেছি, আমারও মনে হয়েছে, আম্পায়ারের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা কঠিন। কারণ, আম্পায়ারকে প্রকৃত সময়ে ও এক দেখাতেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। শেষ পর্যন্ত তিনি (আম্পায়ার উইলসন) সঠিক প্রমাণিত হয়েছেন।’