সেরাটা পেতে তাসকিনের শক্তি জমিয়ে খেলাতে চায় বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
অনাকাঙ্খিত সেঞ্চুরিতে তাসকিনের বিব্রতকর রেকর্ড
১৮ মার্চ ২৫
ফিট থাকলে ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই নিয়মিত খেলতে চান তাসকিন আহমেদ। খেলতে চান সুযোগ পাওয়া সব ম্যাচেই। তবে তাসকিনকে নিয়ে বাংলাদেশের পরিকল্পনাটা একটু ভিন্ন। দলের সেরা পেসারের সেরাটা পেতে বিশ্রাম দিয়ে খেলাতেই স্বাচ্ছন্দ্য বাংলাদেশের। বিশ্বকাপেও তাসকিনকে এমন পরিকল্পনায় রাখা হবে বলে জানিয়েছেন অ্যালান ডোনাল্ড।
তাসকিন বাংলাদেশের পেস ইউনিটের নেতা তো বটেই দেশের ক্রিকেটের জন্য লম্বা রেসের ঘোড়া। আরও অনেকটা সময় বাংলাদেশকে নিজের সেরা সার্ভিস দেবেন এমনটা ভাবছেন অনেক। লম্বা রেসের ঘোড়া হলেও তাসকিন রেসের ঘোড়াদের মতো নয়। এমনটা মনে করেন বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ ডোনাল্ড। সেটির ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি।

রেসের ঘোড়ারা মূলত এক টানা অনেকক্ষণ দৌড়াতে পারে। তাদের ক্ষেত্রে বিশ্রাম নিয়ে খুব বেশি মাথা ব্যথা নেই। একটা সময় পেসাররাও বিশ্রামের কথা না ভেবে প্রতিটি ম্যাচেই খেলে যেতেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে দৃশ্যপট। ব্যস্ত সূচির কারণে এখন প্রায়শই পেস বোলারদের বিশ্রাম দিয়ে খেলাতে হয়। তাসকিনও তাদেরই একজন।
বিশ্বকাপে অন্তত নয়টি ম্যাচ খেলতে হবে বাংলাদেশকে। যেখানে একটি ইতোমধ্যে খেলে ফেলেছে। বাকি আছে আরও আটটি ম্যাচে। সবার বিপক্ষে তাসকিনকে যে দেখা যাবে সেটার ইঙ্গিতই যেন দিয়ে রাখলেন ডোনাল্ড। বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ জানান, তাসকিনের সেরাটা পেতে তার শক্তি জমিয়ে খেলাতে চান। সেটাই তার প্রধান লক্ষ্য বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
বিবিসির সঙ্গে আলাপকালে ডোনাল্ড বলেন, ‘সে (তাসকিন) রেসের ঘোড়াদের মতো করে তৈরি নয়। আপনি যদি তার শক্তি ঠিকঠাক জমিয়ে রাখতে পারেন এবং দেখভাল করকে পারেন তাহলে আপনি তার সেরাটা বের করে আনতে পারবেন। এটি লম্বা একটি বিশ্বকাপ এবং তাসকিনকে ম্যানেজ করাটা আমাদের প্রধান লক্ষ্য হবে।’
সবশেষ ১২ মাসে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের নেয়া উইকেটের ৬০ শতাংশ নিয়েছেন পেসাররা, বোলিং করেছেন ৪৮ শতাংশ ওভার। যদিও বেশিরভাগই নিজেদের মাটিতে খেলেছেন তাসকিনরা। তবে সেখানে পেসারদের তুলনায় স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন। এমন উইকেটে সাফল্য পাওয়ার পেছনের কথা শুনিয়েছেন ডোনাল্ড।
এমন পেস বিরুদ্ধ কন্ডিশনে সাফল্য পেতে তাসকিনদের চিন্তা-ধারার পরিবর্তন আনাটা সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল বলে জানান বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ। ডোনাল্ড বলেন, ‘সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল তারা যেভাবে চিন্তা করে সেটা পরিবর্তন করা এবং গ্রুপ হিসেবে কিভাবে আরও আক্রমণাত্বক হওয়া যায় সেটা শেখানো।’